১৩ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:২৯

৫ জনের মৃত্যু : ঘণ্টায় ৫২ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে

১৫০ টাকায় ডেঙ্গুর সব পরীক্ষা হবে

প্রতি ঘণ্টায় এখন প্রায় ৫২ জন মানুষ ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা আগ পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ২৪৬ জন এবং ডেঙ্গুতে ভুগে গতকাল মারা গেছে পাঁচজন। জনঘনত্বপূর্ণ রাজধানী ঢাকায় গতকাল ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭০৯ জন অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় ২৯ জনের কিছু বেশি (২৯.৫৪ জন)। চলতি মৌসুমে এই প্রথমবারের মতো গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত এতো অধিকসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে দেশে ৮৮ জন মারা গেছে ডেঙ্গুতে।

এর আগে চলতি মৌসুমে গত মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে এক হাজার ৫৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং সেদিন মৃত্যু হয়েছে সাতজন। চলতি মাসের গত ১১ দিনে দেশে মোট ৮ হাজার ১৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে। এটা কেবল ঢাকার ৫৩ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং দেশের বাকি অংশের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। এর বাইরে আরো অনেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তি হয়নি বলে তাদের সংখ্যা স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকায় নেই।

অন্যদিকে যে হারে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে তাতে জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, চলতি মাসেই আক্রান্ত ও মৃত্যুতে পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে। মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক থাকলেও ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস মশা নির্র্মূলে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানীয় সরকার পরিষদ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক এম মোজাহেরুল হক বলেন, সিটি করপোরেশন বা অন্যান্য স্থানীয় সরকার পরিষদ মশার যে ওষুধ দিচ্ছে তা কার্যকর কি না নতুন করে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। একই সাথে জনসচেতনতার বৃদ্ধির সাথে সাথে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাভিত্তিক জনবল বাড়াতে হবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে। এটা করতে না পারলে ডেঙ্গু সংক্রমণ শুধু বাড়তেই থাকবে।

গতকাল ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের ভর্তি হয়েছে ৫৩৭ জন। সারা দেশে ৩ হাজার ৭৯১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই চিকিৎসাধীন আছে ২ হাজার ৫৩০ জন।

১৫০ টাকায় ডেঙ্গুর সব পরীক্ষা হবে : এদিকে প্রচুর ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে আসছে বলে কেবল সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। আইজিজি, আইজিএম ও এনএসআই এই তিন পরীক্ষা করা যাবে মাত্র ১৫০ টাকায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন নির্দেশনায় এ কথা বলা হয়েছে। নতুন কোনো নির্দেশনা জারি না হলে নতুন এই মূল্য বলবৎ থাকবে মাত্র এক মাসের জন্য অর্থাৎ আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত। নতুন নির্দেশনা বলে এখন ডেঙ্গুর প্রতিটি পরীক্ষা করাতে এখন কেবল সরকারি হাসপাতালে ৫০ টাকা লাগবে। এর আগে সরকারি হাসপাতালে আইজিজি ও আইজিএম করানো যেত ৩০০ টাকায় এবং এনএসআই করানো যেত ২০০ টাকায়। আইজিজি ও আইজিএম একই সাথে এক খরচে করানো যেত। তবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই তিন পরীক্ষা প্রতিটি ৫০ টাকা করে মোট ১৫০ টাকায় করা যাবে বলে গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। শেখ দাউদ আদনান জানান, ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে রোগীদের চিকিৎসা খরচ কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে এ নতুন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
শেখ দাউদ আদনান অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, যেসব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্ণার স্থাপিত হয়েছিল সেগুলোর কার্যক্রম জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। একই সাথে হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্ণারে প্রয়োজনীয় জনবল ও চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে সব হাসপাতালে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে আপডেটেড গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে (িি.িফমযং.মড়া.নফ) এই গাইডলাইন পাওয়া যাবে। ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট (এনএসআই) সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং ডেঙ্গুজ্বরে ভর্তি রোগীর মশারি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

গাজীপুরে বাসা-অফিসে চলবে অভিযান
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুর সিটিতে ডেঙ্গু রোগ নিধন/ প্রতিরোধে বাসা ও অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে। এ ক্ষেত্রে কোথাও ডেঙ্গু রোগের লার্ভা পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ।

গতকাল বুধবার দুপুরে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াবিষয়ক মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই সব কথা বলেছেন মেয়র।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম সফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো: খায়রুজ্জামান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো: শাহীন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মো: জিসানুল হক, কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল ও নুরুল ইসলাম নুরু প্রমুখ।

গাজীপুরে ভর্তি ৫৫ ডেঙ্গু রোগী : গাজীপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। জেলার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে মোট ৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ যাবৎ এ মাসে মোট ৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার হাসপাতালে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ হাসপাতালে বুধবার ৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন এবং মহিলা ১১ জন। জুলাইয়ের ১১ তারিখ পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো: আমিনুল ইসলাম জানান, তার হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছে ২২ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও তিনজন মহিলা। এ মাসে তার হাসপাতালে মোট ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা: মো: খায়রুজ্জামান জানান, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ও মোকাবেলায় জেলায় নানা প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতার জন্য আমরা লিফলেট বিতরণ, কাউন্সিলিং ও অবহিতকরণ সভার মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছি। এ ছাড়া ডেঙ্গু রোগীর জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধসহ অতিরিক্ত বেড ও কর্নার স্থাপন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বরগুনায় ৭০ জন হাসপাতালে

বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বরগুনায় ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গতকাল দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৩ জন রোগী নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা পৌরসভা থেকে সাতজন এবং অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে ছয়জন ভর্তি হন। এ নিয়ে বরগুনায় ৭০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক লোকমান হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তবে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসায় তেমন কোনো আলাদা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

জেনারেল হাসপাতালে দেখা গেছে, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সাধারণ রোগীদের সাথে রেখে মশারি ছাড়াই চলছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা। এতে ঝুঁকিতে রয়েছেন অন্য রোগী ও স্বজনরা।

এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক লোকমান হোসাইন জানান, ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার ১২ জুলাই সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট ৭০ জন রোগী বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালে কোনো ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।

রাজশাহী মহানগরীর ২১ শতাংশ বাড়িতে এডিসের প্রজননক্ষেত্র : উদ্বেগ বাড়ছে
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মহানগরীতে ৭৫টি নমুনা থেকে ২৮টিতে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান মিলেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মহানগরীর পাঁচটি ওয়ার্ডের ৭৫টি বাড়িতে অনুসন্ধান চালানো হয়। এর মধ্যে ২১ শতাংশ বাড়িতে দুই প্রজাতির লার্ভার সন্ধান মিলে। এ দিকে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। তার পরও টনক নড়ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক)।

যদিও মঙ্গলবার ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে সভা করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। তবে এতে কেবল ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার বংশবিস্তার রোধ ও পরিচ্ছন্নতা এবং জনসচেতনতা বাড়াতে তাগিদ দেয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিসের লার্ভার অনুসন্ধান বা ধ্বংসের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়ের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত মহানগরীতে অনুসন্ধান চালানো হয়। এ ছাড়া মহানগরীতে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র শনাক্ত করতে কয়েকটি টিম মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করে। গত সোমবার নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শেষে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, মহানগরীর ৭৫টি বাড়ির মধ্যে ২৮টি বাড়িতেই এডিস মশার লার্ভা রয়েছে। এগুলো থেকে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু নিয়ে রাজশাহীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এডিসের লার্ভা ধ্বংসে সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেয়া হবে।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপপরিচালক আনোয়ারুল কবির গণমাধ্যমকে জানান, আমরা র্যানডম সিলেকশনের মাধ্যমে মহানগরীর পাঁচটি ওয়ার্ড এলাকার ৭৫টি বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। তাতে এজিপ্টাই মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে। এজিপ্টাই ও এলবোপিক্টাস- এই দুই প্রজাতির লার্ভাই মিলেছে। দুটো মিলে ডেঙ্গু ছড়াতে থাকলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই লার্ভা ধ্বংসে সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেয়া হবে।

রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, রামেক হাসপাতালে গত ১৪ জুন প্রথম তিনজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এরপর মঙ্গলবার (১১ জুলাই) পর্যন্ত ৪৯ জন রোগী ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তবে এদের মধ্যে ৩৬ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। আর পাপ্পু (২৫) নামে একজন মারা গেছেন। ফলে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ১২ জন। এর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাত মাস বয়সী সাবা রামেক হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রয়েছে। ভর্তি রেজিস্ট্রারে তিনজন ছাড়া সবারই ট্রাভেলিং হিস্ট্রি হিসেবে ঢাকা উল্লেখ করা হয়েছে।

এ দিকে মঙ্গলবার সকালে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার বংশবিস্তার রোধ, পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। ওয়ার্ড সচিব, মশক পরিদর্শক ও সুপারভাইজারদের সাথে আলোচনা সভায় ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তার রোধ, পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন। ড্রেনসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/761862