১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার, ১০:৪৩

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বানে অন্যদের আপত্তি কেন?

বাংলাদেশে এক দলের বিপরীতে অন্য রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার একথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছি আমরা। তা নিয়ে অন্যদের কেন আপত্তি তা জানি না। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও বার বার নিজেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তার প্রতিশ্রুতির কথা বলেছেন। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু এবং অংশীদার বাংলাদেশ। এ জন্য আমরাও একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি। ব্রিফিংয়ে তাকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়তার সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন প্রত্যাশা করে। কিন্তু রাশিয়া, চীন এবং ইরান এতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছে।

গত সপ্তাহে মস্কো এবং চীন, স্পষ্টত ইরানও এ বিষয়ে কড়া সমালোচনা করেছে। রাষ্ট্রীয় টিভি নেটওয়ার্কে এটা আমরা দেখেছি। আপনি কি উত্তর কোরিয়া থেকে এমন কোনো বিবৃতি দেখেছেন, এক্ষেত্রে আপনার মন্তব্য কী? জবাব দেন মিলার। বলেন, এর আগে আমি আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলেছি, যখন অন্য দেশ আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলে তখন আমরা এটাকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করি না। আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার একটি উপায় হিসেবে সেই সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। আমি জানি না, অন্য দেশগুলো কেন আপত্তি জানায়।

তার কাছে ভারত ও বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সফর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, তারা ক্ষমতাসীন সরকার এবং মূল বিরোধী দল বিএনপি’র সঙ্গে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করবেন কিনা, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে আসছে? এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনি ঠিকই বলেছেন।

আন্ডার সেক্রেটারি ১১ই জুলাই থেকে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সহ মানবিক উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরবেন সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সামনে। এ ছাড়া তিনি মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা, মানুষের শ্রম অধিকার (ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপসহ), সুশাসন ও গণতন্ত্র নিয়ে নাগরিক সমাজের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।

https://mzamin.com/news.php?news=64233