৮ জুলাই ২০২৩, শনিবার, ১১:৫৭

৬৪ জায়গায় নদীর পানি বেড়েছে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাবে আরো ৩ দিন

দেশের ৬৪ জায়গার নদ-নদীর পানি বেড়েছে। গত কয়েক দিন খুব বেশি বৃষ্টিপাত না হলেও কয়েক স্থানে এখনো বন্যা পরিস্থিতি রয়ে গেছে। আবার এর মধ্যেই বড় নদীর মধ্যে পদ্মার (গঙ্গা-পদ্মা) পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরো কমপক্ষে ৩ দিন পদ্মার পানি বাড়তে থাকবে বলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি গতকাল ও আজ শনিবার পর্যন্ত বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিলেও আগামীকাল রোববার থেকে কমতে শুরু করতে পারে। অপরদিকে আজ শনিবার নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য নদীর পানি হ্রাস পেতে থাকলেও সুরমা-কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুরের কলমাকান্দা স্টেশনে সুমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত সপ্তাহ থেকে নেত্রকোনা জেলায় পানি বেড়ে চলেছে সে এলাকার অভ্যন্তরীণ বৃষ্টি ও নেত্রকোনা জেলার ওপারে ভারতের নদীগুলো থেকে পানি ধেয়ে আসার কারণে। নেত্রকনো জেলায় সুমেশ্বরী প্রধান নদী হলেও এই জেলায় রয়েছে বিশাল হাওর এলাকা। ফলে হাওর উপচে পানি চার দিকে ছড়িয়ে বন্যার সৃষ্টি করেছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা হ্রাস পেলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আবার বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেতে পারে। এ মুহূর্তে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় সিলেটে ও নেত্রকোনায় ৩৪ মিলিমিটার। সিলেট ও নেত্রকোনায় বৃষ্টি কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় সিলেট ও নেত্রকোনায় নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উজানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও বৃষ্টিপাত খুব বেশি হয়নি। যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তা মেঘালয়, আসামের নদীগুলো বয়ে নিয়ে এসে বাংলাদেশের নদীতে পৌঁছাতে গতিধারা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে উপর থেকেও খুব বেশি পানি আসছে না এই মুহূর্তে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরবরাহ করা তথ্যে দেখা গেছে, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ১০৯ মিলিমিটার, অরুনাচলের পাসিঘাটে ৯৬ মিলিমিটার, সিকিমের গ্যাংটকে ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে সিলেট বিভাগের নদীগুলোতে উপর থেকে আসার পানির গতিও কিছুটা কমেছে।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড শেরপুর-সিলেট সম্মিলিতভাবে ৬৩ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জের মহেশখোলাতে ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে বৃষ্টিপাতের তথ্য দিয়েছে।

কিন্তু যমুনা নদী জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাটে আগামী ১১ জুলাই থেকে বাড়তে শুরু করবে বলে পূর্বাভাসে বলছে বন্যার সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র। একই রকমভাবে ঈশ্বরদীর হার্ডিঞ্জ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি আজ রোববার থেকে বাড়তে শুরু করবে। পদ্মা নদী হার্ডিঞ্জে আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত রাখবে। ভৈরববাজারে মেঘনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে এবং তা আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত পানি কমা অব্যাহত থাকতে পারে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/760576