৫ জুলাই ২০২৩, বুধবার, ১:২৮

নেত্রকোনার ৪৬ স্কুলে পানি

বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানি কমে যাওয়ায় সিলেট ও নেত্রকোনা অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতির দিকে। আগের দিনের তুলনায় গতকাল কমেছে নদ-নদীর পানি। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে সাময়িকভাবে বিপত্সীমা অতিক্রম করতে পারে। বাড়তে পারে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানিও।
তবে ওই অঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি কিছুটা কমে এসেছে।

এদিকে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ত্রিপুরাপল্লীতে যাতায়াতের একমাত্র সেতু ভেঙে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ত্রিপুরাপল্লীর সঙ্গে সংযোগকারী একমাত্র সেতুটি ভেঙে যায়। এতে আটকা পড়েছে ২৬টি ত্রিপুরা পরিবার।

এ ছাড়া নেত্রকোনার কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও বারহাট্টা উপজেলার ৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ও শ্রেণিকক্ষের বারান্দায় পানি ঢুকেছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি কমার প্রবণতা আগামীকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত

অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে এই সময় সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতি হতে পারে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন ভালোর দিকে।

আজকের (গতকাল) মধ্যেই আমরা আশা করছি সুনামগঞ্জ বন্যামুক্ত হয়ে যাবে। সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ স্টেশনে আজ (গতকাল) বিকেল ৩টায় দুই সেন্টিমিটার ওপরে থাকলেও আজকের মধ্যেই বিপত্সীমার নিচে নেমে যাবে। নেত্রকোনার কলমাকান্দা স্টেশনে পানি নামতে আরো কিছুটা সময় লাগবে, আগামীকাল (আজ) পর্যন্ত থাকতে পারে।’ উত্তরাঞ্চলেও বন্যার ঝুঁকি কমে এসেছে জানিয়ে পার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলেন, ‘তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে কয়েক দিন ধরেই পানি বিপত্সীমার কাছাকাছি থাকছে। তবে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় তিস্তাসংলগ্ন নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় বন্যার ঝুঁকি আজ (গতকাল) কিছুটা কমে এসেছে।

আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, গত কিছুদিনের তুলনায় গতকাল দেশে বৃষ্টি কমেছে। আগামী দুই দিনে (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

নেত্রকোনায় পানি কমলেও নতুন করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত : গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টি না হওয়ায় নেত্রকোনায় নদ-নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে দুর্গাপুর ও খালিয়াজুরী উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সোমবার রাতে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় একটি বাঁধ ভেঙে গেলে দুর্গাপুরের নেতাই নদীতে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে ইউনিয়নের নাওধারা, হাতিমারা, নন্দেরছটি, বন্দউষান, ভাদুয়া, গাঁওকান্দিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া কুল্লাগড়া ইউনিয়নের পলাশগড়া, বিলকাঁকড়াকান্দা, বন্দ কাটুরীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

https://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2023/07/05/1295650