৪ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:২০

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল অনিয়ম, অব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ

মানা হয়নি প্রকল্প পরিকল্পনা


রাজধানীর শাহবাগে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : কালের কণ্ঠ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পের নানা অনিয়মের কারণে অসন্তুষ্ট অর্থায়নকারী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ নিয়েও।

কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল পরিচালনার জন্য নীতিমালাও তৈরি করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া কর্মপরিকল্পনা ছাড়া হাসপাতাল চালু, হাসপাতালের ভেতরকার বিভিন্ন কাঠামো পরিবর্তন করা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়হীনতা, লোকবল নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও অনিয়মের অভিযোগ, অপ্রয়োজনীয় ক্রয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে কোরীয় প্রতিষ্ঠান।

এরই মধ্যে তারা বিএসএমএমইউ উপাচার্যকে একাধিক চিঠি দিয়ে হাসপাতালের লোকবল, পরিচালন নীতিমালা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। কিন্তু এর কোনো জবাব পায়নি বলে জানিয়েছে অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান সূত্র।

কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অসন্তুষ্টির তেমন কোনো কারণ নেই।

তারা সময়মতো যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারেনি। তবে এগুলো সমাধান হয়ে গেছে। এখন আর কোনো অসুবিধা নেই।’
এ অবস্থায় গত ৭ জুন হাসপাতাল পরিদর্শনে আসে কোরিয়ান কর্তৃপক্ষ।

সব কিছু দেখে-শুনে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেনি বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র। প্রতিনিধিরা বলেছেন, এই হাসপাতাল পরিচালনার দক্ষতার ওপর নির্ভর করছে হাসপাতালটির দ্বিতীয় প্রকল্পের জন্য ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি।

প্রকল্পের বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আবদুল্লাহ আল হারুন কালের কণ্ঠকে বলেন, এই পরিদর্শনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। হাসপাতালের দ্বিতীয় প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে কোনো অনিশ্চয়তা আছে কি না সে বিষয়েও তিনি অবগত নন।

তবে প্রকল্পের সাবেক পরিচালন অধ্যাপক ডা. জুলফিকার আলী খান কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিনিধিদল তাঁকে ডেকে নিয়ে কথা বলেছে।

তারা হাসপাতালের কাঠামো পরিবর্তন, লোকবল নিয়োগ, নীতিমালা প্রণয়ন না করা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিকে হাসপাতাল পরিচালনায় না রাখার বিষয়ে জানতে চায় এবং কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করে। তিনি দাবি করেন, প্রতিনিধিদল তাঁর কাছে হাসপাতালের দ্বিতীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশটির এক্সিম ব্যাংক এর অর্থায়ন করছে। ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর প্রকল্পের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একনেক প্রকল্প অনুমোদন করে।

প্রকল্প তদারকি করছে ইউলজি ইউনিভার্সিটি হসপিটাল কনসোর্টিয়াম। তারা পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সানজিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেক্ট কোংকে। নির্মাণ ঠিকাদার হুন্দাই ডেভেলপমেন্ট কম্পানি। মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে স্যামসাং।

এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে হাসপাতাল নির্মাণ, পরামর্শ ব্যয়, যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ কয়েকটি খাতে এক হাজার ৪৭ কোটি টাকা ঋণ দেয় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। দেশটির এক্সিম ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হয়। কোরিয়া থেকে যন্ত্রপাতি আমদানির শুল্ক হিসেবে ৩৩৮ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। হাসপাতাল নির্মাণে জায়গা দিয়েছে বিএসএমএমইউ। জায়গার দাম ধরা হয়ে ১৭০ কোটি টাকা।

কেন এই হাসপাতাল : কেন্দ্রভিত্তিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য হাসপাতালটি করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে জরুরি চিকিৎসাকেন্দ্র, হৃদরোগ ও স্নায়ুরোগ সেবাকেন্দ্র, হেপাটোবিলিয়ারি ও যকৃৎ প্রতিস্থাপনকেন্দ্র, কিডনি রোগকেন্দ্র এবং মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকবে। এসব কেন্দ্রে যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে তাতে করে রোগীর অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। সব ধরনের পরীক্ষা করে একই ছাদের নিচে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

এর মাধ্যমে দেশে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া নিরুৎসাহ করাও ছিল বড় উদ্দেশ্য। এতে মানুষের দুর্ভোগ ও চিকিৎসা ব্যয় উভয়ই কমবে।

প্রকল্প পরিকল্পনা মানা হয়নি : প্রকল্প পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি হবে বিএসএমএমইউ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু এখন বিএসএমএমইউ থেকে লোকবল ও যন্ত্রপাতি এনে হাসপাতাল চালু করা হচ্ছে। হাসপাতাল পরিচালনায় নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি যুক্ত থাকার কথা ছিল।

কিন্তু হাসপাতালটি পরিচালনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিকে যুক্ত করা হয়নি। হাসপাতাল পরিচালনার জন্য নীতিমালা তৈরি করা হয়নি। দক্ষ লোকবল তৈরির জন্য অপারেশন প্ল্যান দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। কমিটির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের জন্য লোকবল বাছাই করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

প্রকল্প পরিকল্পনার বাইরে বিভিন্ন অবকাঠামো পরিবর্তন করা হয়েছে। যেমন, পরিকল্পনার বাইরে রোবট ক্রয় করা হয়েছে, যা চালানোর মতো দক্ষ জনবল নেই। অতিরিক্ত পরিচালকের কক্ষ, নার্স স্টেশনের জায়গা ভেঙে ক্যান্টিন বানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার আলী খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরেকজন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছেন। এর পর থেকে এই প্রকল্পে ঢোকার কোনো সুযোগ আমার নেই। হাসপাতাল পরিচালনার কোথাও আমাকে রাখা হয়নি।’

ডা. জুলফিকার বলেন, যেভাবে একটি আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল সেটা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও কোরিয়ান কর্তৃপক্ষ বারবার তাগাদা দিয়েছে প্রকল্প পরিকল্পনা থেকে না সরার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেটা মানেনি। ফলে হাসপাতাল চালুর জন্য প্রস্তুতিটা ঠিক হয়নি।’

চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা : সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য চিকিৎসকসহ প্রায় ৬১০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে কোরিয়ায় উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা। এর মধ্যে প্রথম দফায় প্রশিক্ষণ পেয়েছেন মাত্র ১৬০ জন। তাঁদের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৩১ জন হাসপাতালটিতে কর্মরত আছেন।

দ্বিতীয় দফায় প্রশিক্ষণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৫৬ জন কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। তাঁরা হাসপাতালের বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেবেন। কিন্তু তা এখন প্রায় অনিশ্চিত।

প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার আলী খান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেছে ৩০ জুন। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য উপাচার্যের কাছে নাম চেয়েছিলাম। তিনি নাম দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের অনেকের যে যোগ্যতা বা সক্ষমতা থাকা প্রয়োজন সেটি ছিল না। ফলে তাঁদের অনেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এলেও ভালো অবদান রাখতে পারবেন না।

জানতে চাইলে বিএসএমএমইউ উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে কোরিয়ার সরকার যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা সেটি সেভাবে হয়নি। তার পরও আমরা যেকোনোভাবে এখানকার চিকিৎসক দিয়ে কাজ শুরু করেছি।’
উপাচার্যের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ : সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) অভিযোগ করেছেন বিএসএমএমইউ চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

অভিযোগ উঠেছে, যাচাই-বাছাই ছাড়া বিএসএমএমইউ উপাচার্য একক ক্ষমতাবলে ৩৩ জন মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন। যাঁদের অনেকের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি নেই। কেউ কেউ ভালো মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করেননি। অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ডা. রসুল আমিনকে; কিন্তু হাসপাতাল পরিচালনার অভিজ্ঞতা তাঁর নেই।

এ ছাড়া উপাচার্যের পুত্র-পুত্রবধূসহ ১০ আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১০৯ জন নার্স নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নেওয়া হয়েছে ৬৭০ জন। আগের উপাচার্যের নিয়োগ করা ৭৪ জন কর্মচারীর স্থায়ীকরণ বাতিল করে ৫৫০ জনকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাতটি ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়ার টাকা হিসাব এবং কনভোকেশনের তিন কোটি ৮৬ লাখ টাকার হিসাব নিয়েও উপাচার্যের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যারা এ ধরনের প্রচারণা করছে তারা আমার চেয়ার দখলের জন্য উৎসাহী। তারা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চায়। এ ধরনের প্রচারণা যারা করছে, আপনারা তাদের ছবি তুলে রাখবেন, টেলিফোন নম্বর রাখবেন। তারা বিএনপির কাছ থেকে টাকা খেয়ে এটি করছে কি না...এটা আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নলেজে দিতে চাই।’

নার্স নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, যেকোনো সময় পদসংখ্যা হ্রাস করা, বৃদ্ধি করার ক্ষমতা নিয়োগ কমিটির রয়েছে। কমিটি যখন দেখল পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দিতে ছয় মাস থেকে এক বছর লাগে, তখন তারা যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, সবাইকে নিয়েছে।’

৩০ শতাংশ প্রস্তুতি : সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি শিগগিরই উদ্বোধন করা হচ্ছে। এর জনবল কাঠামোয় ৫১ পদে এক হাজার ৮০২ জন নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। হাসপাতালটি অনানুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে প্রায় এক বছর। এ পর্যন্ত লোকবল নিয়োগ হয়েছে ৩৭১ জন। এর মধ্যে ১১৩ জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনা হয়েছে। নিয়োগকৃত লোকবল মোট জনবলের মাত্র ২১ শতাংশ।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৯৬ জন চিকিৎসক নিয়োগের কথা থাকলেও হয়েছে ৩৩ জন। মোট চিকিৎসকের তা ১২ শতাংশ মাত্র। ৩৫ জন কর্মকর্তার মধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন মাত্র দুজন। একজন পরিচালক ও একজন অতিরিক্ত পরিচালক।

উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রোগী ভর্তি ও অপারেশন চালু হবে আগামীকাল ৫ জুলাই থেকে। আগে থেকেই বহির্বিভাগ চালু আছে। সুতরাং এক ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। যন্ত্রপাতি না আসায় হাসপাতাল চালু করতে একটু বিলম্ব হয়েছে। এখন সব পুরোপুরি প্রস্তুত।’

প্রকল্প পরিচালক ডা. জুলফিকার আলী খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ৯৫ শতাংশ যন্ত্রপাতি চলে এসেছে। তবে তা পরিচালনার লোকবল নেই। বয়লার চালানোর লোক নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মাইক্রোওয়েভ পদ্ধতিতে করা হয়েছে। কিন্তু তা চালানোর লোক নেই। কিচেন চালানোর লোক নেই। রোগীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেনব্যবস্থায় সংকট আছে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ প্রস্তুত হয়েছে হাসপাতালটি।

বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কত স্বপ্ন নিয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি নির্মিত হলো। এত বড়, এত আধুনিক যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে এর আগে কেউ পায়নি। এখানে দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। এটি পাপ ছাড়া কিছু নয়। একটা কমিশন গঠন করে এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।’

https://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2023/07/04/1295313