২২ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:২৭

বরগুনা ও কুমিল্লায় দুই সাংবাদিক হামলার শিকার

বরগুনার পাথরঘাটায় মানববন্ধনের সংবাদ সংগ্রহ এবং ছবি তুলতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার রূপধন আমিরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ওপরও হামলা চালায়। এতে এক সাংবাদিকসহ পাঁচজন আহত হন।

তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মো. আশরাফুল ইসলাম শাকিল নামের ওই সাংবাদিক জানান, বুধবার সকালে রূপধন আমিরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকের ব্যানারে মানববন্ধনের

আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে সেখানে পাঁচ-ছয়জন সাংবাদিক দায়িত্ব পালন করতে গেলে প্রধান শিক্ষকের অনুসারী একদল সন্ত্রাসী তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ওপরও হামলা চালায় তারা।
এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনিসহ পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি হন।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম কবির মধুর মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি। এরপর আবারও কল দেওয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে গত মঙ্গলবার কুমিল্লায় এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে আবু সুফিয়ান নামের এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। নগরীর কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ সড়কের ঢুলিপাড়া মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

অভিযুক্ত তোফায়েল হোসেন কাওছার কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সদ্য সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি নগরীর থিরাপুকুরপার এলাকার বাসিন্দা।

অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন নগরীর ঢুলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাসুদ তালুকদার।
সাংবাদিক আবু সুফিয়ানের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে এক সহকর্মীর মোটরসাইকেলে করে শহরের কর্মস্থলে ফিরছিলেন তিনি। ঢুলিপাড়া মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশা তাঁদের বাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে অটোরিকশাচালকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে যুবদল নেতা কাওছার ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যবসায়ী মাসুদ তালুকদার তাঁকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেয়।

এদিকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর অভিযুক্তরা গাঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহাম্মদ সঞ্জর মোর্শেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

https://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2023/06/22/1292295