২৫ এপ্রিল ২০১৭, মঙ্গলবার, ১০:০৫

হতাশায় এইচএসসির ১৩শ’ পরীক্ষার্থী

জাবিতে দেড় ঘণ্টা মোম জ্বালিয়ে পরীক্ষা

সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালে বজ পাত ও বৃষ্টির কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গেলে মোমবাতি এনে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে সব কক্ষে আলোর ব্যবস্থা করা যায়নি। এ অবস্থায় পরীক্ষা শেষে মাত্র ৭ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে। ফলে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে না পেরে ২৫টি কক্ষে ১৩০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। পরে পরীক্ষার্থীদের সবাইকে পরবর্তী পরীক্ষায় এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একটি করে মোমবাতি সঙ্গে নিয়ে যেতে বলেছেন কেন্দ্র সচিব। এতে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা হতবাক হয়েছেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে আলোর বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল জলিলকে দায় নিতে হবে। আবদুল জলিলের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ছাত্রদের পরীক্ষার সুবিধার জন্য তাদের বাসা থেকে মোমবাতি আনতে বলা হয়েছে। ঝড়ের কারণে অন্ধকার নেমে এলে এবং বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গেলে তিনি নিজ উদ্যোগে জাবির প্রান্তিক গেটবাজার থেকে পিয়ন মারফত দ্রুত মোমবাতি আনিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আলোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ১৩শ’ ছাত্র ও ২৫টি কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না করতে পারায় তিনি ছাত্রদের ৭ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় পরীক্ষার সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন তিনি।

তবে তিনি সব কক্ষে আলোর ব্যবস্থা না করতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে সাভার পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ ওয়াহেদুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, বজ পাত ও বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ রাখা হয়। কারণ মহাদুর্যোগের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কোনো বিকল্প নেই। এ সময় লাইন চালু থাকলে বজ পাতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। এতে তাদের করণীয় কিছু নেই। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এতবড় ক্যাম্পাসে বিকল্প জেনারেটর ব্যবস্থা থাকলেও পরীক্ষা কেন্দ্রে কেন তা প্রয়োগ করা হয়নি। তিনি বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা প্রতিটি কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বের ভেতর পড়ে।

http://www.jugantor.com/last-page/2017/04/25/120001/