১০ জুন ২০২৩, শনিবার, ৬:৪৭

বগুড়ায় বিদ্যুতের অভাবে শিল্প কারখানায় উৎপাদন অর্ধেক

বগুড়ায় একটানা লোডশেডিংয়ের কারণে শুধু জীবনযাত্রায় দুর্ভোগ নয় শিল্পকারখানায় উৎপাদন কমে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এ খাত। আর কিছু দিন এই অবস্থা চলতে থাকলে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং সেই সাথে বেকার হয়ে পড়বে শ্রমিক কর্মচারীরা।

জানা গেছে, বগুড়া জেলায় ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক। এসব কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। সারা বছর বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে এমনিতেই উৎপাদন ব্যাহত হয়। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে সারা দেশের মতো বগুড়া জেলাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানাগুলো মুথ থুবড়ে পড়েছে। দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না পেয়ে কর্মচারীরা বসে থেকে অলস সময় পার করছেন। কিন্তু শিল্প মালিকদের ঠিকই কাজ না করেই বেতনভাতা দিতে হচ্ছে।

কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা জম জম মেটালের ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কারখানায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কারণে দিনের অধিকাংশ সময় অলস কাটে শ্রমিকদের। এর ফলে বর্তমানে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছি। এভাবে আর কিছু দিন চললে কারখানা বন্ধ ছাড়া উপায় থাকবে না।
জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি (নাসিব) বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি টি জামান নিকেতা জানান, এখনো কোনো শিল্পকারখানা ন্ধ হয়নি। আমরা বিকল্প উপায়ে কারখানা চালুর পরামর্শ দিচ্ছি। তবে উৎপাদন কমে গেছে।

বগুড়া বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় শ্রমিকরা বসে থাকে। এতে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে গেছে। অথচ বসে বসে বেতনভাতা দিতে হচ্ছে।

বগুড়া শহরের হোটেল পট্টির হোটেল কাফেলার মালিক রাজু হোসেন বলেছেন, বিদ্যুৎ না পেয়ে জেনারেটর চালাতে হয়। এতে দিনে প্রায় দেড় হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। কিন্তু বিক্রি আগের চেয়ে কমে গেছে। এভাবে লোকসানে পড়েছি।

বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে নেসকো বগুড়া বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মোন্নাফ জানান, বগুড়া শহরের ৪টি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৯০ মেগাওয়াট থেকে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ মিলছে প্রায় অর্ধেক। তাই লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছি।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/754327