২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার, ৭:৪৬

মোটা চালের দাম কিছুটা বাড়তি

এবার বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। ফলে চালের দাম এখন নিম্নমুখী থাকার কথা। তবে বাজারে দেখা গেছে কিছুটা ভিন্ন চিত্র। গত সপ্তাহের চেয়ে মাঝারি ও মোটা চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া বেশিরভাগ নিত্যপণ্য উচ্চমূল্যে স্থির হয়ে আছে। তবে কিছুটা নিম্নগতি রয়েছে সবজির বাজারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর ও তেজকুনিপাড়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাঝারি চালের (পায়জাম ও লতা জাতীয়) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া মোটা চালও (গুটি স্বর্ণা, চায়না ইরি) কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে এ ধরনের চাল কেনা গেছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়। তবে সরু বা মিনিকেট চাল উচ্চমূল্যে স্থির হয়ে আছে।

সরকারি সংস্থা টিসিবির তথ্যেও চালের দাম বাড়ার চিত্র দেখা গেছে। সংস্থাটির তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে সরু চালে ৭, মাঝারি চালে ৩ এবং মোটা চালের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে।

গত এক বছরের তুলনায় সব ধরনের মসলার দাম বেশি। খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৬০ টাকা। যা মাসখানেক আগে বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। অথচ গত বছরের এ সময় জিরার কেজি ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে পণ্যটির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। লবঙ্গের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। এক বছর আগে লবঙ্গ কেনা গেছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। সেই হিসাবে পণ্যটি কেজিতে বেড়েছে ৪০০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে দারচিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫২০ টাকায়। বাজারে চীনা আদা মিলছে না। তবে অন্য দেশের আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।

চিনির বাজারে পুরোপুরি স্বস্তি ফেরেনি। মাঝে কয়েকদিন প্যাকেটজাত চিনি দেখা গেলেও এখন আবার আগের মতো ‘নাই’ হয়ে গেছে। তবে খোলা চিনি পাওয়া যাচ্ছে। সরকার ১২০ টাকা দর বেঁধে দিলেও বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা দরে।
সপ্তাহ দুয়েক ধরে মুরগি ও ডিম উচ্চমূল্যে উঠে স্থির হয়ে আছে। ব্রয়লারের কেজি ২০০ থেকে ২১০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ডিমের ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
রোজার ঈদের পর থেকেই বাজারে সবজির দাম চড়া ছিল। তবে গতকাল সবজি বাজারে কিছুটা নিম্নগতি ছিল। দু-তিনটি বাদে বেশিরভাগ সবজির দাম দেখা গেছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। তবে আলুর দাম এখনও আগের মতো। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে।

https://samakal.com/bangladesh/article/2305174641