২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:০০

কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ৬০ টাকার ওপরে

দেশের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও পাবনায় ৬০ টাকার নিচে পেঁয়াজ নেই। পাবনায় গতকাল বুধবার কৃষকরা পাইকারদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন কেজি ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা দরে। ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে কৃষক পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়।

রাজধানীতে গতকাল পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬৮ টাকায়, আর খুচরা পর্যায়ে ৮০ টাকা।
কৃষকদের কাছ থেকে কেনার পর পাবনায় পাইকাররা গতকাল পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন কেজি ৬৯ থেকে ৭০ টাকায়। রাজবাড়ীতে বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর ফরিদপুরে বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকা কেজি।

ক্ষেত থেকে উত্তোলনের মাত্র এক মাসের মাথায় পেঁয়াজের দাম এই পর্যায়ে এসেছে।
সাধারণ ক্রেতারা হিমশিম খেলেও দাম বাড়ায় পেঁয়াজ চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

পাবনার সুজানগর উপজেলার বনকোলা গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আনছার আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন আমরা পেঁয়াজের দাম পাচ্ছি। বর্তমানে পাইকারি বিক্রি করছি প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা দরে।’

পাবনা বড় বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬৯ থেকে ৭০ টাকা।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এবার পাবনায় পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৫২ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে। পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে সাত লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৮ মেট্রিক টন। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ১৪.০৬ মেট্রিক টন।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান জানান, রাজবাড়ী জেলা পেঁয়াজ উৎপাদনের জেলা। চাষিদের কাছে সংরক্ষিত যে পেঁয়াজ রয়েছে, তা তাঁরা বেশিদিন সংরক্ষণে রাখতে পারেন না।

ফরিদপুরের সালথা-নগরকান্দায় কৃষকরা স্থানীয় পাইকারদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন কেজি ৬০ থেকে সাড়ে ৬২ টাকায়। সালথার সোনাপুর গ্রামের কৃষক সোহেল মোল্লা ও নগরকান্দার বিনোকদিয়া গ্রামের হালিম শেখ বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর অনেকের ক্ষেতের পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। আবার পেঁয়াজের ফলনও অন্য বছরের তুলনায় কম হয়েছে। তবে মাসখানেক আগে পেঁয়াজ উত্তোলনের পর দাম বাড়তে শুরু করে।

উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের হাফেজ মোল্লা বলেন, ‘আজ (গতকাল) ঠেনঠেনিয়া বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি করেছি মণ দুই হাজার ৫০০ টাকা করে। তবে নিম্নমানের পেঁয়াজ দুই হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখেছি।’ এরই মধ্যে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দাম কিছুটা কমেছিল। এখন আবার বাড়ছে। রাজধানীর ভাটারা এলাকার বাসিন্দা রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের সংকট নেই, তার পরও ৮০ টাকার নিচে পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে না। এক মাস আগেও পেঁয়াজ কিনেছি কেজি ৩৫ টাকায়। একইভাবে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে।’ রাজধানীর পাইকারি আড়ত শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আজ (গতকাল) পাইকারিতে আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৬৮ টাকা কেজিতে।’

https://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2023/05/25/1283281