২৪ মে ২০২৩, বুধবার, ১১:৫৭

মেধাবী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা

স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে জীবন থেকেই ঝরে পড়েছেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। একইসাথে স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের পরিবারের স্বজনদের। গত ৩ বছরে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি এমনকি মেডিকেলসহ ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। স্কুল-কলেজ মিলিয়ে এ সংখ্যাটা কয়েকগুন বেশি। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, মূলত সম্পর্কের টানাপড়েন, পারিবারিককলহ, পড়ালেখার চাপ, আর্থিক অনটন, বিষণœতা, মানসিক অস্থিরতা এবং সর্বোপরি হতাশার কারণেই আত্মবিধ্বংসী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, মানুষ যদি তার মানসিক সমস্যা, মানসিক বেদনা ও মানসিক হতাশা ও মানসিক রোগগুলোকে দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা করাতে পারে, সেটি হবে আত্মহত্যার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার বা উপায়। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে হলে নীতিনির্ধারকের প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে।

সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপ বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে মোট ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ৮৪ জন শিক্ষার্থী। এর আগের বছর আত্মহত্যার চিত্র আরো আঁৎকে ওঠার মতো। ২০২১ সালে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ১০১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে ৭৯ জন। এছাড়া ২০১৯ সালে ১৭, ২০১৮ সালে ১১ এবং ২০১৭ সালে ১৯ জন বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সব মিলিয়ে গত ৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া আত্মহত্যা করতে গিয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে একটি বড় সংখ্যার শিক্ষার্থী। মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় এখনই প্রতিকারের উপায় বের করার ওপর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মের সুযোগ সৃষ্টি ও কর্মনিশ্চয়তা প্রদান করা জরুরি। ক্রমবর্ধমান অসমতা দূরীকরণ ও সেই সাথে দরকার সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা রহমান ইনকিলাবকে বলেন, করোনার সময় থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুইসাইড প্রবণতা বেড়েছে। গবেষণামূলক কার্যক্রম না থাকায় সুইসাইড কেন ঘটছে এবং প্রতিকারের বিষয়ে; কিন্তু সচেতন হতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুইসাইডের যে কারণগুলো রয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, এটা একটা ‘সাইকোপ্যাথলজি প্রবলেম’। মস্তিস্ক মানুষের মানসিক অবস্থার সাথে সম্পৃক্ত। ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে হতাশা অসম্মান এবং বিষণœতা বাড়ছে।

বয়সন্ধিকালে থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জায়গাটা খুবই কম। আমরা শুধু শারীরিক সমস্যাগুলো ডিল করি। ছোটোখাট মানসিক সমস্যায় এমনকি বড় মানসিক সমস্যায়ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হই না। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যেহেতু আমরা সচেতন না, তাই এই মানসিক সমস্যা অনেকদিন ধরে মনের ভেতরে দানা বেঁধে থাকে। যা আমরা কারো সঙ্গে শেয়ার করতে পারি না, যা প্রফেশনালি সলভ করতে পারি না। এগুলো যদি আমরা চিহিৃত কিংবা চিকিৎসা না করি, তাহলে একটা সময় এই মানসিক সমস্যাই সুইসাইডের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিক্ষার্থীরা যেহেতু বিভিন্নভাবে ড্রাগসের ওপর নির্ভরশীল সেহেতু সে জায়গাগুলো থেকে হতাশার বিষয়টি বাসায় শেয়ার করি না চিকিৎসকের পরামর্শ নেই না। অনেক ক্ষেত্রে শুধু ওষুধ দিয়েই চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করি। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা এবং একইসাথে যুব সমাজের জন্য উৎপাদন এবং সৃষ্টিশীল (প্রোডাকটিভ এবং ক্রিয়েটিভ) কাজের সুযোগ না থাকার কারণে অনেক সময় এই জেনারেশনটা সুইসাইডের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভ স্কিল বাড়াতে হবে। তাদের ফিজ্যিক্যাল একটিভিটিজ এবং সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের সঙ্গে যুক্ত করা বেশি দরকার। স্কুল-কলেজগুলোতে যাদের মানসিক কারণে স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয় তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হওয়া উচিৎ। মানসিক সমস্যাজনিত মানুষ আসলে পাগল এ ধরনের ট্যাবু থেকে আমাদের কঠিন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ। আমরা যদি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হই, তাহলে সুইসাইডের হার আস্তে আস্তে কমে আসবে।

আঁচল ফাউন্ডের জরিপে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে যে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করেছে, তাদের মধ্যে ৪০৫ জন বা টিনএজার। তাদের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা বেশি। মান-অভিমান, আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়া, শিক্ষকের হাতে অপমানিত, পরীক্ষায় অকৃতকার্য, মোবাইল ফোন কিংবা মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় আত্মহত্যা করেছে অনেকে।

২০২১ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১০১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার বড় অংশই ছিল পুরুষ শিক্ষার্থী। তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার তুলনামূলক বেশি। সম্পর্কগত, পারিবারিক সমস্যার কারণ ছাড়াও মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বেছে নিয়েছে আত্মহননের পথ। আঁচলের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সাধারণত নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা গেলেও ২০২১ সালে পুরুষ আত্মহত্যাকারীদের সংখ্যা নারীদের প্রায় দ্বিগুণ। করোনার মধ্যে সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক চাপ বেড়ে যাওয়া পুরুষ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়।

কেস স্ট্যাডি (এক) : গত ৩ এপ্রিল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিয়াম মো. আরাফাত। বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের বি-ব্লকের ১১৫ নম্বর কক্ষ থেকে তার লাশটি তার উদ্ধার করে সহপাঠীরা। সিয়াম পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায়। ঘটনার দিন সিয়াম রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে রশি গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগের দিন সন্ধ্যায় ফেসবুকে ‘অন্তিম যাত্রার পথে’ শীর্ষক একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লিখেন, ‘আমি চাইলেও সেটা অবর্ণনীয় যে আমি কিসের মধ্য দিয়ে গেছি। যদি সম্ভব হয়, তবে সেই আধ্যাত্মিক অনুভূতি উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। কত সময় কেটে গেছে জানি না। আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে আমি আবার আমার শরীরে ফিরে আসব কি-না। কিন্তু যখন আমি হুঁশ পেয়েছি তখন মেঝেতে বজ্রাহত অবস্থায় আবিষ্কার করেছি। এ সময় আমি আমার শরীর নাড়াতে পারিনি, অনেকক্ষণ কিছু বলতে পারিনি। আমি শুধু এই পৃথিবীতে চিরকাল থাকতে চেয়েছিলাম। সেখানে স্থায়ীভাবে যেতে হলে হয়তো দৈহিক দেহের মৃত্যুই একমাত্র সমাধান।’ শেষে তিনি লিখেন, ‘মানবিক সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতার বাইরে একজন মানুষ ছিলেন যিনি চলে গেছেন।’

কেস স্ট্যাডি (দুই) : এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আজিমপুর আব্দুল আজিজ লেনের একটি ৯তলা বাড়ির ৫ম তলায় জ্যোতি ঘোষ নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শুক্তগ্রাম। মিতা, জ্যোতিসহ মোট চারজন মিলে ওই বাসায় মেস করে থাকেন। তিনি মানসিকভাবে হতাশায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তার রুমমেটরা।

জরিপ বলছে, ২২-২৫ বছর বয়সিদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা প্রায় ৪০। বছরে গড়ে ১০ হাজার জন আত্মহত্যা করে। নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। এ ধরনের মৃত্যু প্রতিরোধে নজরদারির বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। নেই কোনো সমন্বিত কোনো কৌশলও।

গত অক্টোবরে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মাদরাসা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এক জরিপ চালায় আঁচল ফাউন্ডেশন। জরিপে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে ৫৭ দশমিক ৯৯ শতাংশই জানিয়েছেন যে, তাদের নিজস্ব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগ তাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য একাডেমিক চাপ, আর্থিক সংকট ও ক্যারিয়ার দুশ্চিন্তা এবং শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ দায়ী বলে জরিপে উঠে এসেছে।

জানতে চাইলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, একাধিক কারণ যখন কোনো ব্যক্তির ওপর আরোপিত হয়, তখন তিনি আত্মহত্যার চিন্তা করেন। মানুষ সামাজিক কারণে যখন নিজেকে বিচ্ছিন্নবোধ করে, সমাজে যখন নিজের পরিচিতিকে প্রকাশ করতে না পারে, যখন তার চাহিদার সাথে প্রাপ্তির মিল না হয় যখন হতাশ হয়ে পড়ে, বিষণœতায় আক্তান্ত হয়, যখন মাদক গ্রহণ করে কিংবা কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়, এছাড়া পারিবারিক কিংবা পেশাগত জায়গায় অবহেলার কারণে কিছু মানুষ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পরে। অনেক কারণের মধ্যে তার ব্যক্তিত্ব, তার শৈশব, পারিবরিক পরিমন্ডল তার সামাজিক স্ট্যাটাস আত্মহত্যার কারণ। মানুষ যদি তার মানসিক সমস্যা, মানসিক বেদনা ও মানসিক হতাশা ও মানসিক রোগগুলোকে দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা করাতে পারে, সেটি আত্মহত্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার বা উপায়। এছাড়া আশপাশের মধ্যে কারো আত্মহত্যার লক্ষণ দেখা দিলে তা হালকাভাবে না নিয়ে গুরুত্বের সাথে তাকে উপযুক্ত সামাজিক ও চিকিৎিসা সহায়তা দিতে পারি, তাহলে তালতে আত্মহত্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে এটিকে কোনোভাবেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই।

গবেষকরা বলছেন, শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক এ চার মিলে যে স্বাস্থ্য, তা এখনো আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। আমরা অন্যান্য রোগের প্রতিকারে কাজ করলেও আত্মহত্যার প্রতিকারে গবেষণা ও প্রতিরোধে কাজ করতে পারিনি। রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আত্মহত্যাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।

গবেষক ও উন্নয়নকর্মী ড. মতিউর রহমান বলেছেন, আত্মকর্মসংস্থান তৈরি, কমিউনিটি ও পরিবারের সহায়তায় হতাশামুক্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করতে এখনই সবার এগিয়ে আসতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা পর্যালোচনা করে ‘প্রেজেন্ট সিচুয়েশন অব সুইসাইড ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণায় বর্তমানে আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে আর্থিক সমস্যাকে।

আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, কেউ যখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে সে যেন পরিবারের সাথে মন খুলে শেয়ার করতে পারে সেই ধরনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সন্তান এবং বাবা মায়েদের মাঝখানের দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। শিক্ষার্থীদের উপর সমাজকর্তৃক অযাচিত চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার ব্যাপারে সবার এগিয়ে আসা জরুরি। কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, অন্যের সাথে তুলনা করা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও সাবধান হওয়া প্রয়োজন। আত্মহত্যা প্রতিরোধে আমাদের শিক্ষক এবং বাবা-মায়েদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে।

https://dailyinqilab.com/national/article/576246