২১ মে ২০২৩, রবিবার, ৪:৪১

বাংলাদেশের একজন মানুষও স্বাধীনতা বিরোধী নয় এটিকে আর রাজনৈতিক ইস্যু বানাবেন না

-আসিফ আরসালান

রাষ্ট্রীয় বিষয়ে এমন কতগুলো ইস্যু আছে যেগুলো খুব স্পর্শকাতর। অন্তত সংবাদপত্র সমূহের কাছে তো বটেই। এই সব বিষয়ে মৌলিক অধিকারের ১০০ ভাগ বিদ্যমান থাকলে আলোচনা করা যায়। কিন্তু এখন এসব সংবেদনশীল টপিক নিয়ে কোনো মিডিয়াই খোলামেলা আলোচনা করতে চান না। লেখক আলোচনা করেন না দুইটি কারণে। প্রথমটি হলো তার নিজের নিরাপত্তা। এবং অপরটি হলো, যে মিডিয়া বা পত্রিকায় তিনি কাজ করছেন সেই মিডিয়ার নিরাপত্তা। তাই এখন সর্ব শ্রেণীর প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া অত্যন্ত হুঁশিয়ারীর সাথে তাদের কর্তব্য সম্পাদন করেন। তবে ব্যতিক্রমও আছে। সরকারি দলের ব্যাপারে সাত খুন মাফ। তারা যখন যা খুশি তাই বলতে পারেন এবং যখন যা খুশি তা করতে পারেন।

এই রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় হলো স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি। বিএনপি জামায়াত প্রভৃতি নাকি স্বাধীনতা বিরোধী। এই বিষয়টি নিয়েই আজ কথা বলবো।

আমার ব্যক্তিগত মতে বাংলাদেশে একটি মানুষও স্বাধীনতার বিরোধী নয়। বিরোধী হবে কিভাবে? যারা যাকে তাকে স্বাধীনতা বিরোধী বা রাষ্ট্র বিরোধী বলেন, তাদের কাছে সবিনয়ে প্রশ্ন রাখতে চাই যে, বাংলাদেশে কারো পক্ষে কি স্বাধীনতা বিরোধী হওয়া আদতেই সম্ভব? আমাদের ভৌগলিক অবস্থান এমন যে স্বাধীনতা বিরোধী বা রাষ্ট্র বিরোধী হতে গেলে ইন্ডিয়া বা বার্মার (মিয়ানমার) প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে যারা একটি পক্ষকে স্বাধীনতা বিরোধী বলেন তারা বলতে চান যে তারা নাকি পাকিস্তানপন্থি। একথাও বলেন যে পাকিস্তান যখন আপনাদের কাছে এতই ভাল লাগে তাহলে পাকিস্তান চলে যান না কেন? এই ধরনের কথা শুনে একটি প্রশ্ন করতে চাই। সেটি হলো, বাংলাদেশে বাস করে কি পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য পোষণ করা সম্ভব? ভৌগলিকভাবে পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে কম করে হলেও দেড় হাজার মাইল দূরে। কোনো দিক দিয়ে কোনো সীমান্ত নাই। এমনকি কোনো সামুদ্রিক সীমান্তও নাই। তাহলে পাকিস্তানপন্থি হওয়া কিভাবে সম্ভব? ওরা আরো বলে যে ঐসব মানুষ (বিএনপি জামায়াত) নাকি বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। এটি কিভাবে সম্ভব? কেউ যদি স্বপ্নেও বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায় তাহলে স্বপ্নেও সেটি বানানো সম্ভব নয়। পাকিস্তানের কি এমন সামরিক শক্তি আছে যে তারা সামরিকভাবে বাংলাদেশকে দখল করবে? সেই শক্তি থাকলে তো আজ থেকে ৫২ বছর আগে ১৯৭১ সালে ভারতীয় সামরিক বাহিনী ও মুক্তি বাহিনীর কাছে পাক বাহিনীর সারেন্ডার করতে হতো না।

মাঝখানে ৫২ বছর পার হয়ে গেছে। ভারত এই ৫২ বছরে সামরিকভাবে পৃথিবীর ৪র্থ বৃহত্তম সামরিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এক নাম্বারে আমেরিকা, দুই নাম্বারে রাশিয়া, তিন নাম্বারে চীন এবং চার নাম্বারে ভারত। এই ৫২ বছরে সেই অনুপাতে পাকিস্তান কিন্তু সামরিকভাবে ততখানি শক্তিশালী হয়নি। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী শুরুতেই গঠিত হয়েছিল মার্কিন সমরাস্ত্র দিয়ে। তাও সেই পুরাতন লক্কর ঝক্কড় অস্ত্র। আমরা ১৯৭১ সালে দেখেছি সেই সময়কার অত্যন্ত আধুনিক জঙ্গি বিমান মিগ-২১ ঢাকায় বিমান হামলা করেছে। আর মিগের পেছনে তাড়া করেছে পাকিস্তানের স্যবর এফ-৮৬ জঙ্গি বিমান। আকাশে তাদের ডগ ফাইট দেখে মনে হচ্ছিল যে একটি রিক্সা (স্যবর এফ-৮৬) একটি মোটর গাড়িকে তাড়া করছে। এরপর আমেরিকা পাকিস্তানকে ৩৮ টি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান দিয়েছে। অবশিষ্ট যা কিছু তা চীনা অস্ত্রশস্ত্র। অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে এবং প্রযুক্তিগতভাবে বিবেচনা করলে চীনা সামরিক অস্ত্রশস্ত্র আমেরিকার চেয়ে অনেক পেছনে তো বটেই, এমনকি রাশিয়ার চেয়েও অনেক পেছনে।

॥ দুই ॥
এই ৫২ বছরে ভারত সামরিকভাবে অগ্রসর হয়েছে পাকিস্তানকে টার্গেট করে নয়। চীনকে টার্গেট করে। তার অস্ত্র ভান্ডারে এখন ফরাসী, ইংলিশ এবং রুশ সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র মজুদ রয়েছে। একটি উদাহরণ দেই। সেটি হলো ফরাসী জঙ্গি বিমান রাফায়েল। একে মোকাবেলার মতো কোনো জঙ্গি বিমান পাকিস্তানের ভান্ডারে নাই। ভারতের দুইটি বিমানবাহী জাহাজ (Aircraft Carrier) রয়েছে। পাকিস্তানের একটিও নাই। এসব সামরিক তথ্য একারণেই দিচ্ছি যে কেউ যদি বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর জন্য আবেদন করে তাহলে পাকিস্তানে অগ্রসর হওয়া তো দূরের কথা, তার আগে ভারত পাকিস্তানের কিছু অংশ দখল করে নেবে। ১৯৭১ সালেও তাই ঘটেছিল। পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পতন তো হয়েই ছিল, ভারত পশ্চিম পাকিস্তানেরও (বর্তমান পাকিস্তান) ৫ হাজার বর্গমাইল এলাকা দখল করেছিল। শিমলা চুক্তির পর ঐ ৫ হাজার বর্গমাইল এলাকা ভারত পাকিস্তানকে ফেরত দেয়। সুতরাং এখন পাকিস্তান বাংলাদেশের দিকে চোখ তুলে তাকালে তার আগে তার নিজেকে সামলাতে হবে। এসব কথা যে বিএনপি, জামায়াত জানে না তা নয়। তারপরেও রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য আওয়ামী লীগ এই ধরনের ভিত্তিহীন প্রচারণা অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছে।

চিত্রের আরেকটি দিক দেখুন। বাংলাদেশের সাথে অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে দুইটি দেশের। একটি হলো ভারত। অপরটি হলো মিয়ানমার। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত হলো ৪১৫৬ কিলোমিটার অর্থাৎ ২৫৮২ মাইল। অন্যদিকে বার্মা বা মিয়ানমারের সাথে ২৮০ কিলোমিটার অর্থাৎ ১৭০ মাইল সীমান্ত রয়েছে। এখন কেউ যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন করতে পারে তাহলে সেটি হয় ভারত, না হয় মিয়ানমার। এর বাইরে আর কোনো দেশের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিনষ্ট করা সম্ভব নয়। এই দুইটি দেশের মধ্যে আবার মিয়ানমারকে আমরা হিসাব থেকে বাদ দিতে পারি। কারণ মিয়ানমারের জনসংখ্যা ৬ কোটি। আর বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯০ লাখ (২০২৩ সালের আদমশুমারী মোতাবেক)। লন্ডনের মিলিটারি ব্যালান্স কিংবা ইউরোপের গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার নামক সামরিক জার্নালের তথ্য মোতাবেক সামগ্রিক সামরিক দিক দিয়ে মিয়ানমার বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। তৎসত্ত্বেও আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি যে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী দুর্জয় সাহসী এবং চৌকস। এছাড়া মিয়ানমার বাংলাদেশের ওপর চোখ তুলে তাকাবে সেটি একটি অলীক স্বপ্ন মাত্র।

আমরা একথা বলছি না যে ভারত আমাদের স্বাধীনতা গ্রাস করবে। আমি শুধু সামরিক পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝাতে চাচ্ছি যে ভারতের বিশাল ভৌগলিক আয়তন, অর্থনৈতিক শক্তি ও বিপুল জনসংখ্যার নীরিখে ভারতের পক্ষেই আমাদের স্বাধীনতা গ্রাস করা সম্ভব। (জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী ১৫ মে থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা ভারতের। ভারতের জনসংখ্যা হলো ১৪২ কোটি ৮৭ লক্ষ। জনসংখ্যার দিক দিয়ে ভারত চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। ১৫ই মের হিসেব অনুযায়ী চীনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫২ লক্ষ)। এছাড়ও বাংলাদেশের চার ধারে রয়েছে ভারতীয় অভিন্ন সীমান্ত (পূর্বাঞ্চলের ১৭০ মাইল বার্মা সীমান্ত ছাড়া)।

কাজেই এসব তথ্যের ভিত্তেতে একথা বলা যায় যে কেউ যদি বাংলাদেশে বসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিনষ্ট করতে চায় তাহলে তাকে ভারতপন্থি হতে হবে। আরেকটি কথা বলতে ভুলে গেছি। বাংলাদেশের তিন ধারে যেমন রয়েছে ভারতের সাথে স্থল সীমান্ত, তেমনি সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে রয়েছে বিশাল বঙ্গপোসাগরীয় জল সীমান্ত। সেখানেও রয়েছে ভারতের শক্তিশালী নৌ বাহিনী। আমার ব্যক্তিগত মত হলো এই যে স্বাধীনতা বিরোধী বা স্বাধীনতার পক্ষ - এটি আমাদের রাজনৈতিক কোনো ইস্যুই হতে পারে না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো যদি তাদের এজেন্ডা থেকে এই টপিকটি বাদ দেন তাহলে সেটি সকলের জন্যই মঙ্গল।

॥ তিন ॥
আওয়ামী লীগ এতদিন ধরে বিএনপি জামায়াতকে একতরফাভাবে সমানে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানপন্থি ইত্যাদি বলে আসছে। বলা যেতে পারে যে বিগত ৫২ বছর ধরে তারা ক্রিকেট মাঠে একতরফা ব্যাটিং করেছে। অন্য পক্ষ অর্থাৎ তাদের প্রতিপক্ষ এতদিন পর্যন্ত এর কোনো জবাব দেয়নি। কিন্তু এবার কয়েক দিন আগে দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল বিএনপিও পাল্টা ব্যাটিং শুরু করেছে। ৪ মে দৈনিক সমকালের অনলাইন সংস্করণ মোতাবেক ঐ দিন অর্থাৎ ৪ মে বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগকে একই ভাষায় আক্রমণ করেছেন। এর আগে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে খুব জোর গলায় বলা হয়েছে যে কোনো মতেই বিএনপি জামায়াতকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। এর উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেছেন, আমিও একই কথা বলব-কোনো মতেই স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। লজ্জাজনকভাবে আওয়ামী লীগ আজ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যদি আবারও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। সাবেক মন্ত্রী সুনীল কুমার গুপ্তর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এখন যারা আছেন, তাদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। যারা বলেন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি-আমাদের দিকে আঙুল দেখাতে চান, আমি প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কি দেখিয়ে দিতে পারবেন যে, আপনাদের যারা আছেন তাদের মধ্যে কয়জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন? তিনি বলেন, এখনো আমাদের যে স্থায়ী কমিটি রয়েছে, কেন্দ্রীয় কমিটি রয়েছে, আমাদের সঙ্গে যারা কাজ করছেন, একসঙ্গে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন তাদের অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকাল ওয়াশিংটনে দেয়া বক্তব্যের জের ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমিও একই কথা বলব-কোনো মতেই স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। যদি আবারও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসে তাহলে এই দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে সমগ্র জাতিকে তারা বিভক্ত করে ফেলেছে। সমগ্র জাতির মধ্যে হানাহানি তারা এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যেখান থেকে ফিরে আসা অসম্ভব।

॥ চার ॥
ইংরেজিতে একটি কথা আছে। সেটি হলো, He has been paid back in the same coin. অর্থাৎ তার কথা দিয়েই তাকে মার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি জনগণের মধ্যে ১৬ কোটি মানুষই বাংলাদেশে বাস করেন। অবশিষ্ট ১ কোটি মানুষ Diaspora হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছেন। যে ১৬ কোটি লোক এই ভূখন্ডে বাস করেন তাদের বাপ দাদা চৌদ্দ পুরুষের বসতভিটা হলো এই পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশ। কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গানের ভাষায় এই ১৬ কোটি লোক এই দেশেতেই জন্মেছেন এবং এই দেশেতেই তাদের মরণ হবে। এই দেশেই তাদের কবর হবে, এই দেশেই তাদের দাহ হবে। স্বাধীনতা বিরোধী মানে তো বাংলাদেশ বিরোধী। তো বাংলাদেশ বিরোধী হয়ে তারা যাবে কোথায়? বিজেপি প্রধান এবং ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ তো বলেই দিয়েছেন এবং ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে গিয়েছেন তাদের মধ্যে শুধুমাত্র হিন্দুদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তাই বলছি, বাংলাদেশের মুসলমানদের ঠাঁই তো ভারতেও হবে না। বাংলাদেশই তাদের মাতৃভূমি, বাংলাদেশই তাদের পিতৃভূমি। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গানটি একটু পরিবর্তন করে বলতে চাই, “সকল দেশের রাজা সে যে আমার পিতৃভূমি”।
Email: asifarsalan15@gmail.com

https://dailysangram.info/post/525053