১৮ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৭:২৮

হাওরে পাউবোর দ্বৈত ভূমিকা

২০২২-২৩ : সুনামগঞ্জের ৪৮ হাওরে ২০৩ কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কালাগাঙ নদীতে শ্রীপুর বাজারের কাছে এই বাঁধ দেয় বেসরকারি সংস্থা সিএনআরএস। এখন ওই বাঁধের ওপর অর্ধশতাধিক আধাপাকা দোকানঘর উঠেছে। বসেছে বাজারও। এর ফলে তিন হাওরে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। সম্প্রতি তোলা ছবি। ছবি : গোলাম সরোয়ার লিটন

ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ নদীতে যথাযথভাবে ধরে রাখতে পারলে হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান রক্ষা পাবে। সে জন্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বৌলাই নদী খনন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
একই সময়ে সরকারি এই সংস্থা উপজেলার মনাই ও সরমরা নদীতে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। উপজেলার অন্তত পাঁচটি নদ-নদীতে এমন সাতটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে।

নদীতে বাঁধ দেওয়ার এই তৎপরতায় পিছিয়ে নেই পরিবেশবাদী সংগঠনও। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) কালাগাঙ নদীতে স্থায়ী বাঁধ দিয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়। উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারের কাছে ২০১২ সালে এ বাঁধ দেওয়া হয়। ওই বাঁধের ওপর এখন অর্ধশতাধিক আধাপাকা দোকানঘর উঠেছে। একই নদীর দুই কিলোমিটার দক্ষিণে পুঠিমারায় পালই বিলের সংযোগস্থলে আরেকটি বাঁধ দিয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, হাওরবেষ্টিত তাহিরপুর উপজেলায় সব কটিই আন্ত সীমান্ত নদ-নদী। গারো পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে বিভিন্ন হাওরে এসে মিশেছে এগুলো। পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানির সঙ্গে বালু ও পলি এসে ভরাট হচ্ছে এসব নদ-নদী। আবার বাঁধ দেওয়ার কারণেও নদীর তলদেশ ভরাট হচ্ছে। হাওরবাসীর জীবন-জীবিকায় এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মাছ ধরা পেশায় নির্ভরশীল পরিবারগুলোর অনেক সদস্য এখন হাওর ছেড়ে শহরের পোশাক কারখানায় কাজ নিচ্ছেন। তবু নদী রক্ষায় সমন্বিত কোনো উদ্যোগ নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নীহার রঞ্জন তালুকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ফসল রক্ষার জন্য হাওরের চারপাশে বাঁধ দেওয়ার কথা। কিন্তু নদ-নদী ও খালের মাঝে দেওয়া বাঁধ ফসল রক্ষায় কোনো কাজে আসে না। উল্টো হাওর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাছ, গাছসহ জীববৈচিত্র্য। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা এবং তৈরি হচ্ছে সেচ সংকট।

টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির বলেন, নদীতে বাঁধ দেওয়ার কারণে মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে; কমে গেছে উৎপাদনও। ফলে এখন হাওর-নদীতে জেলের জালে মাছ ধরা পড়ে না আগের মতো।

তাহিরপুর উপজেলায় এ বছর অস্থায়ী ডুবন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এর আগের বছর ব্যয় করা হয় ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি সাত লাখ টাকা।

বৌলাই নদী খনন, মনাই ও সরমরায় নতুন বাঁধ : বৌলাই নদীর দক্ষিণ শ্রীপুর ও সদর ইউনিয়ন অংশে খননকাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। একই সঙ্গে টাঙ্গুয়ার হাওরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত মনাই নদীর ওপর এ বছর নতুন করে একটি বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করেছে সরকারি এই সংস্থা। দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের লামাগাঁও বাজারসংলগ্ন বাবুর জাঙ্গালে এই বাঁধ দেওয়া হয়। লামাগাঁও বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে নদীতে আরেকটি বাঁধ রয়েছে। ২০০৭ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ওই বাঁধ দিয়েছিল।

মনাই নদীর তীরে মাহমুদপুর গ্রামে কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক শাহেদ আলীর বাড়ি। নদীটি নিয়ে তাঁর লেখা একটি কবিতাও আছে।
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসংলগ্ন ভবানীপুর গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত সরমরা নদীর ওপরও এ বছর বাঁধ দিয়েছে পাউবো। ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য অঞ্জন তালুকদার বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরসংলগ্ন গুরমার হাওরে এ বছর ফসল রক্ষা বাঁধ না দেওয়ায় মনাই ও সরমরা নদীতে নতুন করে দুটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষক এবং দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পলাশ মিয়া বলেন, মনাই নদীর লামাগাঁও বাজার এলাকায় প্রথমবারের মতো বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এতে নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই বাঁধ তাহিরপুর উপজেলার ফসল রক্ষায় তেমন কোনো কাজে আসবে না।

জানতে চাইলে তাহিরপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা স্থানীয়ভাবে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে পরামর্শ করে বাঁধের কাজ করি। হাওরের সব দিক বিবেচনা করে কাজ করতে হলে বিশেষজ্ঞ বা যাঁদের এসব বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ আছে তাঁদের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

কালাগাঙে বাঁধ, তিন হাওরে জলাবদ্ধতা : গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা বিভিন্ন ছড়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ডাম্পের বাজারে পাটলাই নাম ধারণ করে পশ্চিম-দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি তিন কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে একই ইউনিয়নে শ্রীপুর বাজার এলাকায় দক্ষিণ দিকে কালাগাঙ নামের একটি শাখা নদী সৃষ্টি করেছে। কালাগাঙ নদীটি শ্রীপুর ও তরং গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে পালই বিলে মিলিত হয়েছে।

২০০২ সালে মাটিয়ান হাওরের ফসল রক্ষার কথা বলে নদীটির পালই বিলের মিলনস্থলে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে প্রতিবছর কালাগাঙ নদীর এই বাঁধ সংস্কার ও মেরামত করা হচ্ছে। এ বছরও পানি উন্নয়ন বোর্ড এই বাঁধের সংস্কার করেছে।

ওই বাঁধের দেড় কিলোমিটার উত্তরে একই নদীতে ২০১২ সালে আরেকটি বাঁধ দেওয়া হয়। কালাগাঙ নদীর উৎসমুখ শ্রীপুর বাজারসংলগ্ন স্থানে এই স্থায়ী বাঁধ দেওয়া হয়। মূলত এই বাঁধ দিয়ে শ্রীপুর বাজারকে পার্শ্ববর্তী তরং গ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে এই বাঁধের ওপর স্থানীয় লোকজন ৫০টির মতো আধাপাকা দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে।

এই বাঁধ নির্মাণ করেছিল পরিবেশবাদী সংগঠন সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস)। ওই বাঁধে স্থায়ী ঘর করে ব্যবসা করছেন রফিক মিয়া। তিনি জানান, ২০১৯ সালে সুনামগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও তাহিরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাঁধের স্থানটি পরিদর্শন করেন। ২০২০ সালে ‘নদী’ শব্দটি বাদ দিয়ে বাঁধের জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।

মাটিয়ান হাওরপারের মাটিয়ান গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল ওয়াদুদ (৭৫)। তিনি বলেন, ‘এই বাঁধ দেওয়ার পরই কদমতলী, বেতাগড়া ও ফইল্লার ডোবার হাওরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ধান চাষ করতে পারি না। নদীতে নৌচলাচল বন্ধ হয়েছে, মাছও নেই। এই বাঁধ ভেঙে দেওয়া খুব জরুরি।’

কদমতলী গ্রামের সোহেল মিয়া (৩৫) বলেন, ‘আমার পরিবারের পাঁচ কিয়ার জমির সবটুকুই কদমতলী হাওরে। জলাবদ্ধতার কারণে ধান রোপণ করতে পারি না।’ ‘পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি’, বলেই কেঁদে ফেলেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা, স্থানীয় জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নদী পরিব্রাজক দল সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি, নদী ফাউন্ডেশনের সদস্য মোদাচ্ছির আলম সুবল বলেন, কালাগাঙ নদীতে বাঁধ দেওয়ার কারণে জলাবদ্ধতায় ৫০ একর জমি অনাবাদি আছে। পালই বিলের সংযোগস্থলের বাঁধটি থাকলে শ্রীপুর বাজারের বাঁধটির প্রয়োজন নেই। তিনি জানান, কালাগাঙ নদীর ওপর নির্মিত যেকোনো একটি বাঁধ কেটে দিলেই ওই সব জমির জলাবদ্ধতা দূর হয়ে যাবে।

কেন্দুয়া নদীতে বাঁধ, প্রতিবছর বরাদ্দ ২০ লাখ টাকা : ২০১৩ সালে কেন্দুয়া নদীর টাকাটুকিয়ায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০১৮ সাল থেকে এই সেতুর এক কিলোমিটার পশ্চিমে নদীর জামলাবাজ গ্রামসংলগ্ন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি বাঁধ দেয়। বন্ধ হয়ে যায় নদীটির পানিপ্রবাহ।

২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর এই বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে আসছে পাউবো। কারণ হেমন্তে যে বাঁধ দেওয়া হয় তা বর্ষায় ভেঙে যায়। খরস্রোতা এই নদীর ওপর দেওয়া বিশাল বাঁধের মাটি প্রতিবছর নদীতে পড়ে তলদেশ ভরাট হচ্ছে।

মাটিয়ান হাওরের বড়দল গ্রামের বাসিন্দা বসির আহমেদ এবং জামলাবাজ গ্রামের আখতারুজ্জামান বলেন, এত দিন ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকাবাসীর অর্থে বাঁধ নির্মিত হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এই বাঁধ দিতে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। তবে এই বাঁধ হাওরের ফসল রক্ষায় খুব একটা কার্যকর নয়।

পাটলাই নদীর উৎসমুখে বাঁধ : পাটলাই নদী টাঙ্গুয়ার হাওরের পাশ দিয়ে দক্ষিণ দিকে ১০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে এই নদীর উৎসমুখ উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন মেঘালয় সীমান্তসংলগ্ন ডাম্পের বাজার এলাকায় হেমন্তকালে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হয়। আবার প্রতিবছর বর্ষায় এই বাঁধ ভেঙে যায়।

অস্থায়ী ওই বাঁধ দিয়ে ছড়ার পানি আটকে নালা ভরিয়ে রাখা হয়। ওই নালা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা কয়লা ও চুনাপাথর পাটলাই নদীর উৎসমুখ পর্যন্ত পরিবহন করা হয়। প্রতিবছর অস্থায়ী এই বাঁধের মাটি নদীতে পড়ে পাটলাই নদী ভরাট হচ্ছে।

স্থানীয় আমদানিকারক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক স্বপন কুমার দাস বলেন, আগামী বছর থেকে এ নদীতে নির্মীয়মাণ সেতুটি চালু হয়ে যাবে। তাই এখানে আর অস্থায়ী বাঁধের প্রয়োজন পড়বে না।

পরিবেশবাদী সংগঠন সিএনআরএসের সুনামগঞ্জ জেলা মুখপাত্র মো. ইয়াহিয়া সাজ্জাদ বলেন, নদ-নদীর ওপর এসব বাঁধের সঙ্গে ফসল রক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই। প্রশাসন ও ফসল রক্ষা বাঁধ ব্যবসায়ীদের লোভের কারণে হাওর হারাচ্ছে জীববৈচিত্র্য, তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
সিএনআরএস কেন নদীতে বাঁধ দিয়েছে, জানতে চাইলে ইয়াহিয়া সাজ্জাদ বলেন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর চাপে ওই সময় কালাগাঙ নদীর ওপর শ্রীপুর বাজারের বাঁধটি নির্মাণ করেছিল সিএনআরএস। এটা সত্য যে তখন তরং গ্রামের লোকজন ছাড়া অন্য সব গ্রামের মানুষ বাধা দিয়েছিল।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার আব্দুল করিম কিম বলেন, নদীর পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে বাঁধ দেওয়া নদী আইনের পরিপন্থী কাজ, কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড তা করে যাচ্ছে। হাওরে এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।

উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আমরা হাওরবাসী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী রুহুল আমিন বলেন, অসৎ চিন্তায় অপরিকল্পিত বাঁধ হাওরবাসীর জন্য মারণফাঁদ হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধ চৌধুরী বাবুল বলেন, হাওরবাসীর জীবন-জীবিকার প্রয়োজনেই নদ-নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এ জন্য বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে ফসলও রক্ষা হয়, নদীও বাঁচে।

তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রণি বলেন, নদী বাঁচিয়ে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে গড়ে তোলা বাঁধ ও অবৈধ স্থাপনা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


https://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2023/05/18/1281018