১২ মে ২০২৩, শুক্রবার, ১১:৪৩

মিয়া গোলাম পরওয়ার এক দিনের রিমান্ডে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে পল্টন থানার ২০১৮ সালের এক মামলায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে পল্টন থানার এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মতিঝিল ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফরমান আলী। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া রিমান্ড শুনানির জন্য দুই দফা সময় পিছিয়ে গতকাল দিন ধার্য করেন।

এর আগে ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর পুরনো মামলায় নতুন করে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়।

গতকাল আদালতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, এস এম কামাল উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট লুৎফর রহমান, আরিফ হোসেন , মাসুদুর রহমান, ফোরকানসহ অর্ধশত আইনজীবী প্রমুখ।

আইনজীবীরা আদালতে রিমান্ড আবেদনের বিরোধীতা করে বলেন, সাবেক এম পি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক। তিনি প্রায় ২০ মাস যাবৎ কারাগারে আটক রয়েছেন। তিনি সকল মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বের হবার প্রাক্কালে পরপর তিনবার পুনরায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। সর্বশেষ তিনি ৩০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। বের হবার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হবার মুহূর্তে ঈদ উল ফিতরের পূর্বে ১৬ এপ্রিল তাকে অন্য মামলায় গ্রেফতারের আবেদন জানানো হয়। এভাবে বার বার গ্রেফতার করার বিষয়টি আইনের পরিপন্থী। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একাধিক নির্দেশনা রয়েছে। আর রাষ্ট্রপক্ষের জামিনের বিরোধীতার আবেদন খারিজ করে দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত উনাকে জামিন দিয়েছেন। তবু তাকে আটক রেখে হয়রানি করার জন্য এভাবে বার বার গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করার আইনের পরিপন্থী।

আইনজীবীরা আদালতে বলেন, সাড়ে চার বছর আগের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত ২৭ এপ্রিল রিমান্ডে আবেদন করা হয়। পরে আরো দু’দিন রিমান্ডের উপর শুনানী করার জন্য উনাকে কাশিমপুর থেকে আনা হয়। উনি গুরুতর অসুস্থ। ২০১৮ সালের মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগের কথা উল্লেখ রয়েছে। এ মামলায় ১৯২ জনের নাম রয়েছে। এ মামরার এজাহারে উনার নাম নেই। তারা কেউ উনার নাম বলেনি, এমন কী ১৬৪ ধারায়ও কেউ নাম বলেনি। তবু উনাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে কোন প্রয়োজন নেই। রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করার জন্য আইনজীবীরা বিজ্ঞ আদালতে প্রার্থনা করেন।

https://dailysangram.info/post/524275