১২ মে ২০২৩, শুক্রবার, ১১:৩৬

তামাসার নির্বাচনের প্রস্তুতি

-ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

সরকার একটি তামাসার নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রহসনে সরকার সে রকম নির্বাচনের দুটি ড্রেস রিহার্সালও দিয়েছে। তাদের সম্ভবত ধারণা ছিল যে, ২০২৩ সালের শেষে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেটিও তারা আগের কায়দায় সম্পন্ন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে যাবে। ভোটের ধারণাই তারা পাল্টে দেবে। ইতিমধ্যে আমাদের এরূপ প্রজন্মের যাদের বয়স পঁচিশ থেকে ত্রিশ বছরের মধ্যে, জানতেই পারেনি ভোট কী? আমাদের যৌবনে যে কী বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট হতো, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে, চায়ের দোকানে, পানের দোকানে, কোলাহল হতো, সেটি নতুন প্রজন্ম জানতেই পারেনি। এই সরকার এমন এক ধারণা সৃষ্টি করেছে যে, এই প্রজন্ম মনে করছে, ভোট মানে নাগরিকদের ভোট দেবার অধিকার কেড়ে নেওয়া। একটু একটু করে বর্তমান সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে বর্গি কবলিত দেশে পরিণত করেছে। তারা নাগরিকদের ভোটাধিকার গুন্ডামি-পান্ডামি-মাস্তানি দিয়ে কবরস্থ করেছে। এর মাধ্যমে সরকার এ দেশের নাগরিকদের প্রজায় পরিণত করেছে। দেশের স্বার্থ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে দেশকেও একটি করদ রাজ্যে পরিণত করেছে।

জনগণের কাছে কোনো বিষয়েই সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। ট্রানজিট করিডোর, নৌপথ, রেলপথ সড়ক ব্যবহার করতে দিয়ে সরকার যে চুক্তি করেছে, তা নিয়ে কোথায়ও কোনো জবাবদিহিতা নেই।

সরকার এসব চুক্তি পার্লামেন্টেও উত্থাপন করেনি। যাতে সংসদে উত্থাপন করতে না হয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য না করা যায়, সে জন্য তারা আইন প্রণয়ন করেছে। প্রথম দিকে বিদেশের সঙ্গে যে কোনো চুক্তি করতে হলে পার্লামেন্টে তা অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার বিধান ছিল। এক ব্যক্তির শাসনের সরকার সেসব বিধান বিলুপ্ত করে এমন ব্যবস্থা করে যে, সংসদ নয় যে কোনো চুক্তি প্রেসিডেন্টকে মৌখিকভাবে জানালেই তা পাস হয়েছে বলে বিবেচনা করার বিধান চালু করেছে।

সংবিধান অনুযায়ী এই রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের। কিন্তু জনগণ জানতেও পারে না যে, কোন ফাঁকে কোন কৌশলে সরকার জনগণের অগোচরে রাষ্ট্রের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছে। এর প্রধান লক্ষ্য অনন্তকাল ক্ষমতায় টিকে থাকা। সেভাবে প্রায় ১৫ বছর তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। নির্বাচন করতে হয়নি, জনগণের ম্যা-েট নিতে হয়নি, এই ধারা স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচন থেকেই শুরু হয়েছিল। সে নির্বাচনেও বিরোধী দল থেকে কেউ যাতে নির্বাচনে জিতে সংসদে আসতে না পারে তার আয়োজন করা হয়েছিল।

তার মধ্যে দিয়েও যে ১৫/২০ জন নির্বাচিত হয়ে এসেছিলেন, তাদের ব্যালট বাক্সও হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছিল। এর পিছনেও কারণ ছিল, সরকারের কোনো পর্যায়েই যাতে ভিন্নমত মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন এই জবরদস্তির পথ বেছে নিতে হলো, সেটিও একটি বিরাট প্রশ্ন। ধারণা করি, ঐ দেড় বছরেই ব্যাপক দুর্নীতি, গুম, খুন, রাহাজানি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল মানুষ। তারা শেখ মুজিবের সরকারকে অপছন্দ করতে শুরু করেছিল। আবার এ কথাও সত্য যে, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এত দুর্নীতি কারচুপি না করলেও শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত। তারপরও তাকে কেন এমন জালিয়াতির আশ্রয় নিতে হলো। তার কারণ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ তখনও এ রকমই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল যে, শেখ মুজিব ক্রমশ জনভীতির শিকার হচ্ছিলেন। তার ওপর আওয়ামী লীগের ব্যাপক লুটপাট, অত্যাচার, নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল জনগণ। এ ছাড়াও ছিল জাতীয় রক্ষীবাহিনীর পৈশাচিক নির্যাতন-নিপীড়ন। এর কোনো কিছুই শেখ মুজিবুর হমান নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। তিনি নিজেও আফসোস করে বলতেন যে, ‘মানুষে পায় সোনার খনি, আমি পেয়েছি চোরের খনি’, ‘আমি সারা দুনিয়া থেকে ভিক্ষা করে আনি, আর চাটার দল তা খেয়ে ফেলে।’ এই চোরের খনি ও চাটার দল শেখ মুজিবের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ফিকে হয়ে আসে। শেখ মুজিবুর রহমান জানতেন যে, এরপর সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে সে নির্বাচনে তার দল আর কোনোদিন ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবে না। সে কারণেই ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তিনি আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। আর গঠন করে নতুন একটি ও একমাত্র রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা বাকশাল। তখন তোফায়েল আহমদ ও আবদুর রাজ্জাক গং বলতেন, কাল মার্কস যা পারেননি, লেনিন যা পারেননি, মাও সেতুং যা পারেননি, শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল গঠন করে বিশ^কে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি পারেনÑএমনি সব চাটুকারি বক্তব্য।

বাকশাল গঠন শেখ মুজিবর রহমান মন্ত্রিপরিষদ সরকার ব্যবস্থা বদলে গঠন করেন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা এবং নিজেকে প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করেন। তার মাধ্যমে বিচার বিভাগকে তার অধীনস্থ করা হয়। তিনি প্রধান বিচারপতিসহ সকল বিচারক নিয়োগের ক্ষমতা নিজ হাতে নিয়ে নেন। সে সময় স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ শেখ মুজিবর রহমানকে বলেছিলেন যে, আপনি প্রস্থানের সকল দরজা বন্ধ করে দিলেন। এটি আপনার এবং আমাদের জন্য ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে বাকশাল গঠনের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট হন।

কিন্তু ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর এলো ২০০৬ সালের নির্বাচনের প্রশ্ন। তখন আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী এক চূড়ান্ত অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তারা তাদের মতো করে এক নির্বাচন আয়োজনের কথা বলতে থাকে। সে সময় বিএনপির ক্ষমতার শেষ দিনে ২৮শে অক্টোবর ২০০৬ শেখ হাসিনা ঢাকায় লগি-বৈঠার আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ঢাকায় লগি-বৈঠা নিয়ে সমবেত হওয়ার নির্দেশনা দেন। সেদিন ভোর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পল্টনে সমবেত হন। আওয়ামী নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে ডজন ডজন ক্যামেরার সামনে লাঠি-বৈঠা নিয়ে পিটিয়ে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। কোনো টিভি চ্যানেলে সেটা লাইভও প্রচার করা হচ্ছিল। ওহ, কী পৈশাচিক হত্যাকা-। আহত ব্যক্তি উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেই চারপাশ থেকে তার ওপর হামলা হচ্ছিল। যখন একজন শেষ পর্যন্ত রাস্তায় পড়ে যায় তখন তার মৃতপ্রায় শরীরের ওপর উঠে কিছু আওয়ামী পিশাচ লাফালাফি করছিল। এরই সূত্র ধরে ২০০৬ সালের ১১ নবেম্বর এক ছদ্মবেশি সামরিক অভ্যুত্থান হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ফখরুদ্দিন আহমদ ঐ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োজিত হন। ক্ষমতাসীন হয়েই তারা বিএনপির ওপর চড়াও হন। বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাসহ রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নানা রকম মামলা দিতে শুরু করে।

এই পর্যায়ে শেখ হাসিনা ‘চিকিৎসা’র জন্য বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং তিনি বিদেশে যাওয়ার প্রাক্কালে বলেন যে, এক-এগারোর সরকার তাদের ‘আন্দোলনের ফসল’। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সেনাবাহিনীর সকল সদস্যের বিরুদ্ধে দায়মুক্তি দেয়া হবে। তিনি তা দিয়েছিলেনও বটে।

সরকার ব্যাপক ত্রাস, নির্যাতন, নিপীড়ন, মামলা-হামলার মধ্যদিয়েই আসে ২০১৪ সালের নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে বিএনপির ওপর ব্যাপকভাবে চড়াও হয় সরকার। ফলে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ১৭৩টি আসনে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন, জেল-জুলুম যেমন চলতে থাকে, তেমনি মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার জন্য নানা ধরনের কালাকানুন জারি করা হয়। এ কাজে ব্যাপকভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজে লাগানো হয়। জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি তার দলের সদস্যদের নির্বাচন থেকে প্রত্যাহারের যে চিঠি দিয়েছিলেন, তা গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের সেই যে তামাশা তা আজও বহাল আছে।

সে সময় এরশাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা ছিল। এরশাদ তেড়িবেড়ি করলে সে মামলাগুলো চাঙ্গা করতো সরকার। এরশাদ সব সময় সে আতঙ্কে থাকতেন। শেখ হাসিনা সরকার সেভাবে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল। সমঝোতা হয়তো হয়েছিল, এরশাদ বিরোধী দলের নেতা হবেন এবং তাকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হবে। মধ্যস্থতার এটাই ছিল ফল।

২০১৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি প্রশাসন ও পুলিশ দিয়ে দিনের ভোট রাতেই করার ব্যবস্থা করেন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরিয়ে রাখে। আর কেন্দ্রে এমন এক ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন, যাতে কেউ নির্বাচনী কেন্দ্রের ধারেকাছেও যেতে পারে না।

বিএনপি ঐ নির্বাচন বর্জন করে। জাতীয় পার্টির সরকারের বি-টিম হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়। তাতে জাতীয় পার্টিকে ২২টি আসন দেওয়া হয়। তারা মন্ত্রিসভায়ও থাকেন।

এসব নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানদ-ে সুষ্ঠু ও অবাধ বলে বিবেচিত হয়নি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে পশ্চিমা দুনিয়া সর্বত্র আওয়াজ উঠেছে যে, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এসবের সঙ্গে তারা অর্থনৈতিক সহায়তার প্রশ্নটি জুড়ে দিয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দাবি গোটা দেশে গণজাগরণ সৃষ্টি করেছে। কোনো নিবর্তনমূলক ব্যবস্থায়ই তাদের রোখা যাচ্ছে না। অথচ সর্বাত্মক দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কোটি কোটি ডলার বিদেশে পাচার করে বিপদে পড়েছে সরকার। ফলে এবার ভিন্ন কৌশল। আগে থেকেই বিরোধী দলের উপর নেমে এসেছে মামলা-হামলার খড়গ। প্রথমেই সরকার বিরোধী দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের এলাকায় গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে। বিএনপি বলছে হাজার হাজার গায়েবি মামলায় তাদের অন্তত ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ধারা নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। পুলিশ ও প্রশাসনকে অনুগত লোক দিয়ে সাজানো হচ্ছে। প্রশাসনকে সাজানো হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের উপর। নির্বাচন কমিশনকে চোখে ঠুলি ও কানে তুলা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা তার নজির দেখেছি। এতেও যদি প্রার্থিতা রোধ করা না যায়, তবে ব্যবহার করা হবে আদালতকে। সেসব বাধা পেরিয়েও যদি সরকারের অপছন্দের কেউ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যান তবে সর্বশেষ আছে দুদক। আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের ক্ষেত্রে তাই দেখলাম। জাহাঙ্গীর আলমের উপর থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে তিনি ফের গাজীপুরের নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। তার প্রার্থিতা ঠুনকো এক অজুহাতে বাতিল করে দেয়া হয়। তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করলেন। খারিজ। গেলেন হাইকোর্টে। খারিজ। এক্ষেত্রে সরকার যদি না চায় তাহলে দুদক ওত পেতে থাকে। সরকার যদি না চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।

এরকম একটা পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাওয়া, সরকার বিভিন্ন ফাঁদে পা না দেয়াই বিরোধী দল ও জনগণের জন্য কল্যাণকর বলেই মনে হয়।

https://dailysangram.info/post/524226