১১ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:২১

প্রথম বারের মতো ফেরত গেছে ৫ হাজার হজ্বযাত্রীর কোটা

নয় দফা সময় বাড়িয়েও নির্ধারিত হজ কোটা পূরণ করতে পারেনি সরকার। যার ফলে পাঁচ হাজার কোটা সৌদি সরকারের কাছে সারেন্ডার (সমর্পণ) করা হয়েছে। চলতি বছর হজ্বের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এবার কোটা পূরণ হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এবার হজ্ব কোটা ফেরত দেয়া হয়েছে। হজের অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে এবার হজ্বে যেতে পারেনি।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্ত নিবন্ধন করেও হজ্বে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন প্রায় চার হাজার ২০০ হজ্বযাত্রী। এর মধ্যে নিবন্ধন রিপ্লেস করেছেন (একজনের পরিবর্তে অন্যজন যাওয়া) তিন হাজার ২১০ জন। আর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে ৯৭০ জনের। অন্য বছরের মতো এবার হজ্বযাত্রী রিপ্লেস করা যাবে না বলে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর সময়ে পরিষ্কার জানিয়ে দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ কারণে হজ্ব এজেন্সিগুলো শুরুর দিকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা থেকে বিরত ছিল। যদিও শেষ সময়ে এসে ৮১৯টি নিবন্ধন বাতিল করেছে তারা। এসব এজেন্সির কাছে নিবন্ধন বাতিল করার কারণ জানতে চেয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাদের দেওয়া ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ্ব অনুবিভাগের কর্মকর্তারা।

নির্ধারিত হজ্ব কোটা পূরণ না হওয়ায় পাঁচ হাজার কোটা সৌদি সরকারের কাছে সারেন্ডার (সমর্পণ) করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি সংশোধন করে এ ফাঁকা থাকা কোটা ফেরত দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এবছর হজ্বযাত্রীদের সঙ্গে গাইড হিসেবে যাবেন দুই হাজার ৭১৫ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইড থাকবেন ২২৮ জন এবং বেসরকারিভাবে থাকবেন দুই হাজার ৪৮৭ জন। হজ্বযাত্রী ও গাইডসহ মোট যাত্রী এক লাখ ২২ হাজার ২০১ জন। এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন বলেন, কোটা পূরণ না হওয়ায় চার হাজার ৯৯৭টি কোটা ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ্বে যাওয়ার কথা। সে লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়। এর মধ্যে কোটা পূরণ না হওয়ায় নয় দফা বাড়ানো হয় নিবন্ধনের সময়। ২ মে শেষ দিন পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত ১৫ হাজার কোটার মধ্যে নিবন্ধন করেছেন ১০ হাজার ৩৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজারের মধ্যে নিবন্ধন করেছেন এক লাখ নয় হাজার ৪৪৭ জন। অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি দুই ক্যাটাগরিতে মোট নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন।

এর মধ্যে হজ্বযাত্রীদের সঙ্গে গাইড হিসেবে যাবেন দুই হাজার ৭১৫ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইড থাকবেন ২২৮ জন এবং বেসরকারিভাবে থাকবেন দুই হাজার ৪৮৭ জন। হজ্বযাত্রী ও গাইডসহ মোট যাত্রী এক লাখ ২২ হাজার ২০১ জন। সে হিসাবে চার হাজার ৯৯৭টি কোটা ফাঁকা রয়েছে। এ ফাঁকা কোটা সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

https://dailysangram.info/post/523956