৯ মে ২০২৩, মঙ্গলবার, ৬:১৬

সাড়ে ৫ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ সিইউএফএলের


একাধারে সাড়ে পাঁচ মাস ধরে ত্রুটিজনিত ও গ্যাস সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন বন্ধ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ সারকারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল)। এতে কারখানটি প্রতিদিন ক্ষতি গুনছে লাখ লাখ টাকার। গত বছরের ২২ নভেম্বর সকাল পৌনে ৯টায় কারখানায় সার উৎপাদন চলাকালে অ্যামোনিয়া প্লান্টের লিকেজ থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গোটা প্লান্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও, অগ্নিকাণ্ডে কারখানাটিতে ব্যাপক ক্ষতি হয় এতে কারখানার সার্বিকভাবে সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে গতকাল ৮ মে পর্যন্ত পাঁচ মাস ২০ দিন ধরে একাধারে সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাটি বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র বিটাকের তত্ত্বাবধানে মেরামত কাজ শেষে কারখানাটিকে উৎপাদন উপযোগী করে গত ১০ মার্চ কারখানা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরে আনুষঙ্গিক কাজ শেষে উৎপাদন শুরু করার পরে পুনরায় সামান্য ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে ২৭ মার্চ থেকে আবার ত্রুটি মেরামত করে চলতি মাসের ৫ মে কারখানাটি সার উৎপাদনমুখী করা হলেও গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় কারখানাটি উৎপাদনে যেতে পারেনি। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিন সাড়ে ৬০০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে, সে কারণে প্রায় ১১০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়া স্থাপিত বিসিআইসির অন্যতম একটি ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে বর্তমানে সার উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে প্রথমে অ্যামোনিয়া ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ মেট্রিক টন। পরে উৎপাদিত অ্যামোনিয়া থেকেই মূলত ১১০০ মেটিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করতে পারছে কারখানাটি আর এ জন্য প্রতিদিন ৪২ মিলিয়ন ঘনফুট তরল গ্যাস প্রয়োজন হয়।

গতকাল সন্ধ্যায় মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ডিজিএম আবু জাহের নয়া দিগন্তকে জানান, ওই সার কারখানাটি এমনিতেই ত্রুটিজনিত কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে, তারা আবেদন করলে কারখানায় গ্যাস সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/746493