১৬ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার, ১১:৪৩

গরমে সড়কের পিচ গলছে যে কারণে

তীব্র দাবদাহে দেশের বিভিন্ন সড়কের বিটুমিন (পিচ) গলছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে পারদ সবচেয়ে বেশি চড়েছে। চুয়াডাঙ্গায় শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই এলাকাসহ খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে সড়কের পিচ গলার ঘটনা বেশি।

সড়ক ও জনপথ অধিপ্তরের (সওজ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের নির্মিত রাস্তায় ৬০-৭০ গ্রেডের পিচ ব্যবহার করা হয়। এর গলনাঙ্ক ৪৮ থেকে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই মানের পিচ গলে যায়। সরকারি প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারির (ইআরএল) উৎপাদিত পিচের গলনাঙ্ক ৫২ থেকে ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পলিমার মডিফাইড বিটুমিনের (পিএমবি) গলনাঙ্ক ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে পিএমবি ব্যবহার করা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও ব্যবহার করা হবে।

ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। তারপরও কেনো পিচ গলে যাচ্ছে? এ প্রশ্নে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জয় প্রকাশ চৌধুরী জানান, ‘তিন কারণে পিচ গলছে। প্রথম কারণ, বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ কম। তাই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হলেও পিচের উপরিভাগের বাতাসের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির বেশি হয়ে যায়। দ্বিতীয় কারণ, পিচ কালো রঙের হওয়ায় সূর্যের তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়। তৃতীয় কারণ, গাড়ির চাকার ঘর্ষণে তাপ উৎপন্ন হয়। এসব কারণে পিচ গলতে পারে।’

সমকালের যশোর অফিস জানিয়েছে, জেলার ধর্মতলা ও পালবাড়ি খয়েরতলা মহাসড়কের পিচ গলে গেছে। সওজের যশোর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, পিচ গলার খবর পেয়ে লোক পাঠিয়েছেন। পরিদর্শনের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

সওজের এই প্রকৌশলী জানান, আগে ৩০-৩২ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহনীয় ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হতো। এখন উচ্চ তাপ সহনীয় ৬০-৭০ গ্রেডের পিচ ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিটুমিন উন্নত এবং বেশি দামের।

https://samakal.com/bangladesh/article/2304167960