১৬ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার, ১১:২৪

স্বপ্ন কেড়ে নেয় আগুন

-মো. তোফাজ্জল বিন আমীন

ঢাকার শপিংমল, বাজার ও বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। একের পর এক মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও অগ্নিনির্বাপণের জন্য সমন্বিত ব্যবস্থাপনা নেই। একটি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আরেকটি ঘটনা আমাদেরকে আগের ঘটনা ভুলিয়ে দিচ্ছে; আমরাও ভুলে যাচ্ছি। ওই পর্যন্তই শেষ! কিন্তু প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না, বরং যখনই আগুন লাগে তখন পানির অভাব তীব্রভাবে দেখা দেয়। অথচ বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। কিন্তু কোথাও প্রয়োজনীয় পানির উৎস খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ রাজধানী ঢাকার নদী আর খাল দখল হয়ে ভবন নির্মিত হয়েছে। ভাগ্যিস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পুকুরে আর হাতিরঝিলে পানি ছিল। যদি সেখানেও পানি না পাওয়া যেত, তাহলে এ আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আরও বেগ পেতে হতো। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে ৩টি প্রতিবন্ধকতার কথা বলেছেন-(১) উৎসুক জনতা (২) পানির স্বল্পতা (৩) বাতাস। আগুন ভালোকেও পোড়ায়। খারাপকেও পোড়ায়। আগুনের কাজ হলো জ্বালিয়ে ছারখার করা আর পানির কাজ হলো নিভিয়ে দেয়া। সুতরাং আগুন প্রতিরোধে হাতিরঝিলের মতো করে সকল পুকুর ও খাল দখলমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পুরান ঢাকাকে বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলির শহর বলা হয়। এমন শহর বিশ্বের আর কোথাও আছে বলে মনে হয় না। এই শহরের গলিগুলো এতই সরু যে রিকশা যাওয়া তো দূরের কথা! সাইকেল পর্যন্ত চালানো সম্ভব হয়ে উঠে না। সেখানে ভয়াবহ আগুন লাগলে অবস্থা কী হতে পারে তা সহজে অনুমেয়। আগ থেকেই আতংকিত ও অপ্রস্তুত শহর হিসেবে রাজধানী ঢাকার তকমা আছে। কিন্তু নাগরিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। দেশের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আগুন নিয়ে বহু লেখালেখি, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি এমনই দাঁড়িয়েছে ‘বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে-কে। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিলে হাজারো মানুষের স্বপ্নকে ধূলিস্যাৎ করে দিচ্ছে। একের পর এক নিষ্ঠুর ঘটনা চোখের সামনে সংঘটিত হচ্ছে, কখনো আগুনে পুড়ে, কখনো বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে,কখনো ভবন ধসে মানুষের জীবন না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছে। কিন্তু মনুষ্যসৃষ্টি দুর্ঘটনার মিছিল থামছে না।

নিমতলী থেকে বঙ্গবাজার। দূরত্ব খুব বেশি নয়! এক যুগের একটু বেশি হয়েছে। মাত্র তের বছর। ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীর অগ্নিকান্ডে প্রায় ১২০ জনেরও বেশি মানুষ জীবন দিয়েছিল। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, এটাই হবে আমাদের নাগরিক জীবনের শেষ দুর্ঘটনা। কিন্তু দুর্ঘটনা থেমে নেই। ৪ এপ্রিল সকালে কাক ঢাকা ভোরে সেহেরী খেয়ে আমরা যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ঠিক তখন পোশাকের অন্যতম পাইকারি ও খুচরা ব্যবসাকেন্দ্র বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় লাখো মানুষের স্বপ্ন নিমিষে ছাই হয়ে তারার সাথে মিশে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশবাহিনী এবং সাধারণ মানুষের চেষ্টায় আরশের মালিকের দয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। নিমতলীর ট্রাজেডি মানুষ জীবন কেড়ে নিলেও বঙ্গবাজারের দুর্ঘটনায় কারও প্রাণহানি হয়নি। তবে ভয়াবহ আগুনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আর কিছু মানুষ কোটিপতি সারি থেকে প্রাণের মালিক হয়ে বেঁচে আছে। এই মানুষগুলোর চেহার দিকে তাকানো যায় না; তাকালেই শুধু তাদের নিঃশ্বাসের শব্দটুকু শোনা যায়।

বঙ্গবাজারে এবারই প্রথম অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা কিন্তু নয়। এর আগে আরোও ৩ বার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ১৯৯৫ সালে পুরো মার্কেটটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়, ২০১৮ সালেও ভয়াবহ অগ্নিকান্ড হয়। এবারের ঘটনার আগে ফায়ার সার্ভিস বঙ্গবাজারকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এরপর কেন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সে বিষয়টি সরকারের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

রাজধানীজুড়ে এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটছে। আগুনের লেলিহান শিখা কেড়ে নিয়েছিল প্রাণ। গত ১০ বছরে আমরা তাজরিন গার্মেন্টস, রানাপ্লাজা ধস, গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকান্ড ও নিমতলী ট্রাজেডিতে হাজারো মানুষকে প্রাণ দিতে দেখেছি। একেকটি দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠিত হয়, কিন্তু সেসব তদন্ত প্রতিবেদন জাতির সামনে প্রকাশ করা হয় না। ২০১০ সালের ৩ জুন তারিখ রাতে নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পরও একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আজো আলোর মুখ দেখেনি। চোখের সামনে শত মানুষের জীবন ও সর্বস্ব হারানোর আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। অথচ বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ধ্বংসযজ্ঞের উৎস গুদাম কারখানা সরিয়ে নেয়া হয়নি। পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গুদাম সরিয়ে ফেলার জরুরি নির্দেশনা জারি বাস্তবায়িত হলে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারে চুড়িহাট্টায় এমন ভয়াবহ ট্রাজেডির পুনরাবৃত্তি হয়তো জাতিকে এভাবে দেখতে হতো না। নিমতলিতে অগ্নিকান্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জীবন বাজি রেখেও হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারেনি; এর অন্যতম কারণ অপ্রশস্ত রাস্তা দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে না পারা, পানির জোগান না থাকা ও কেমিক্যালের গুদাম। তখনো রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে বলা হয়েছিল, নিমতলী থেকে সব কেমিক্যালের গুদাম সরিয়ে নেয়া হবে। তবে এত দিন কেন নিমতলী কিংবা চকবাজারের কেমিক্যাল গুদাম সরিয়ে নেয়া হয়নি? এত মানুষের মৃত্যু, এত মানুষের আগুনে ঝলসে দগ্ধ হওয়ার দায় কে নেবে? এই স্বজনহারা কোনো দিন এ ব্যর্থতা ক্ষমা করবেন না। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সড়কের আশপাশে এবং বাসাবাড়িতে গ্যাস পাইপলাইন ছিদ্র ও চুলার সংযোগ থেকে বের হওয়া গ্যাসে প্রায়ই ঘটছে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার তো এক একটি ‘টাইম বোমা’। তবু টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তব্যক্তিদের। কিছু আলোচিত দুর্ঘটনার চিত্র পাঠকদের উদ্দেশে উপস্থাপন করছি। ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল স্পেকট্রাম গার্মেন্টসে ৬৪ জন আগুনে পুড়ে মারা যায়। ২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের কেটিএস কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলে আগুন লেগে মারা যায় ৯১ জন, ২০০৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও এর ফিনিক্স ভবন ধসে ২১ জন মারা যায়। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের গরীব এন্ড গরীব সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে ২৫ জন মারা যায়, ২০১০ সালের ৩ জনু পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীতে অগ্নিকান্ডে ১২৪ জন মানুষ মারা যায়, ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ সালে ঢাকাস্থ হা মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট স্পোর্টস কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা যায় ২৪ জন। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেড কারখানায় আগুন লেগে ১১৭ জন গার্মেন্টস শ্রমিকের তাজা প্রাণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক আহত হন। শিল্প ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা। ২৪ এপ্রিল ২০১৩ সকাল নয়টায় সাভার মোড়ে অবস্থিত রানা প্লাজা ধসের শিকার হয়। রানা প্লাজা ধসে ১১০০ শ্রমিক মারা যায়।

২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বিস্ফোরণ ও ভবন ধসে ৩৫ জন মারা যায়। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে রাসায়নিক কারণে আগুনে পুড়ে মারা যায় ৬৭ জন। একই বছরে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে মারা যায় ২৬ জন, ১১ ডিসেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় ২১ জন নিহত হয়। ৭ জুলাই ২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত হাসেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির ছয়তলা কারখানাটিতে আগুনে পুড়ে মারা যায় ৫২ জন শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ভাষ্য থেকে জানা যায়, গত ৫ বছরে দেশে কম-বেশি মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ৪৯২টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ১ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ২০২২ সালে ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিগত ১০ বছরে আগুনে ক্ষতির পরিমাণ সোয়া ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজার এলাকায় আগুন লেগে প্রায় ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১ হাজার ১৭৬ জন নিহত হয়েছে। ২০১২ সালে ২১০ জন, ২০১৩ সালে ১৬১ জন, ২০১৪ সালে ৭০ জন, ২০১৫ সালে ৬৮ জন, ২০১৬ সালে ৫২ জন, ২০১৭ সালে ৪৫ জন, ২০১৮ সালে ১৩০ জন, ২০১৯ সালে ১২০ জন, ২০২০ সালে ১৫৩ জন, ২০২১ সালে ৬০ জন, ২০২২ সালে ১০৬ জন। অথচ উপরোক্ত ঘটনাগুলো থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারনি; বরং শুধু ক্ষতিপূরণের মধ্য দিয়েই আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি।

আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়নের বাণী প্রায়ই শুনি। কিন্তু অবক্ষয়ের কথা মনে করি না। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ভেতরও চুরি ও অর্থ লোপাটের ঘটনা চলেছে। এক ব্যবসায়ীর ক্যাশবাক্সে রক্ষিত ১৮ লাখ টাকা চুরি হয়ে গেছে। উন্নয়নের আফিমে যখন জাতি বুঁদ তখন দুই, চার পাঁচটি আগুনের ঘটনা মামুলি ব্যাপার ব্যতীত আর কিছুই নয়! অন্যায়, অবিচার, জুলুম নির্যাতন সবই গা সওয়া যে জাতির; সে জাতির ভাগ্যে এরকম দুর্ঘটনা আসবে, তা-ই স্বাভাবিক! সরকার কয়েকটি বড় ভবন আর সেতু বানিয়ে বগল বাজিয়ে সম্মিলিত কোরাস গাইছে আর বলছে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। একটি নগরীকে নিরাপদ না রেখে কিভাবে উন্নয়ন হয় তা আমাদেও জানা নেই। যেসব মানুষের শ্রম-ঘাম আর রক্তে উর্পাজিত অর্থে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে, সেসব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে উন্নয়নের মুখ থুবড়ে পড়বে। অর্থনীতির চাকাকে যারা সচল রাখেন, তারা যখন লাশ হয়ে যান তখন উন্নয়নের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে বাধ্য। তাই এসব আমজনতার নিরাপত্তা নিয়ে এখনই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ভাবতে হবে। গড়ে তুলতে হবে কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তা না হলে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন অধরাই থেকে যাবে।

গ্রামে একটা কথার চাউর আছে- বাপ মারা যাওয়ার জন্যে কান্দি না, কান্দি আজরাইল যে বাড়ি চিনছে সে জন্যে। বঙ্গবাজারের অগ্নিকান্ডে সর্বস্বান্ত হওয়া মানুষের অবস্থাও তাই হয়েছে। তার কিছুটা ইংগিত পাওয়া যায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভাষ্য থেকে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ঢাকার মার্কেট, শপিংমল ও বাণিজ্যিক ভবনের মধ্যে কমপক্ষে ১ হাজার ৩০০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। অথচ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বার বার ঘটছে। মানুষের জীবন এবং অর্থ সম্পদ রক্ষার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে অগ্নিকান্ডের ব্যাপারে জনসচেতনা বাড়ানো প্রয়োজন; যেন আর কোন মানুষকে এভাবে পথে বসতে না হয়। আজ উন্নয়নের স্লোগানের চেয়ে বেশি প্রয়োজন ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের কলকারখানা ও কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তর করা। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট মহল এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে, যেন বঙ্গবাজার ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

https://dailysangram.com/post/522208