৮ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার, ১১:০৮

সবজির বাজারে ফের আগুন ক্রেতাদের ক্ষোভ

রমজান মাস ঘিরে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী রেশ এখনো বিরাজ করছে রাজধানীর বাজারে। রোজার দু’সপ্তাহ পেরিয়ে চাহিদা কমলেও দাম আরও বেড়েছে। ব্যাপক অস্বস্তি দিচ্ছে সবজি। বাজারে দুই একটি ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দাম ৫০ টাকার উপরে। পটল ৮০ টাকায়, প্রতি কেজি শজনে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের অজুহাত সরবরাহ কমেছে। ফলে দাম বেড়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রেতারা। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি রোজার আগে বাড়তি দামে কেনা পণ্য কমে বিক্রির সুযোগ নেই। এ ছাড়া শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজার।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে সবজিসহ মাছ, মাংস ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের চড়া মূল্যের চিত্র দেখা গেছে।
প্রতি কেজি টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১১০ থেকে ১২০ টাকা। পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, অথচ রোজার আগে ছিল ৩০ টাকা। শসা প্রতি কেজি ৬০, কয়েক দিন আগেই ছিল ৪০, বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা। শিম প্রতি কেজি ৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৬০ টাকা, আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা রোজার আগে ছিল ১০০ টাকা। করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, শজনে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতা ১০০ টাকা কেজি এবং লেবুর হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, সব সবজির দাম বেশি। রমজান মাস পুরোটাই বাড়তি দামে সবজি কিনতে হলো। আমি শজনে কিনেছি ১০০ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া আলুর কেজি ২৮-৩০ টাকা, দেশি আদা ১৫০ টাকা আর চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন ১১০-১৪০ টাকা। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিটরিং করা উচিত। সবজি বিক্রেতা রহমান বলেন, শীত মৌসুম শেষ। তাই সবজির দাম বাড়তি। এ ছাড়া সরবারাহ কম। আমাদের যখন যেমন পাইকারি কেনা পড়ে, সেই অনুযায়ীই আমরা খুচরা বাজারে বিক্রি করি।

মাছ বাজার: মাঝারি আকৃতির রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ২৬০ টাকা। মৃগেল মাছ ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। কই মাছ কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। গরিবের মাছ বলে পরিচিত পাঙাশও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা।

মাছ কিনতে আসা সজীব বলেন, সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি। চাষের কই, পাঙাস, তেলাপিয়া এসব মাছ সাধারণ ক্রেতারা একটু বেশি কেনে। কিন্তু এসব মাছের দামও বাড়তি। আরেক ক্রেতা বলেন, রোজায় নাকি বাজার মনিটরিং করা হয়। সব ধরনের মাছে দাম বেড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ।

মাংস-ডিম: ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্মের মুরগির লাল ডিম একটি ১১ টাকা, হালি ৪৪ টাকা, ডজন ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৯০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিকেজি দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা, বড় রসুনের ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ছোট রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, লবণ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, পিয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা, দুই কেজির প্যাকেট আটা ১৩০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

https://mzamin.com/news.php?news=50329