৬ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:৫২

দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও পূরণ হচ্ছে না হজযাত্রীর কোটা

নিবন্ধনের বাকি এখনো ৮ হাজার

দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও সাড়া মিলছে না হজ নিবন্ধনের। গতকাল সপ্তম দফা সময় শেষ হলেও এখনো নিবন্ধনের বাকি রয়েছে আট হাজার ২৪৪ জন। সর্বশেষ ৩০ মার্চ সময় বৃদ্ধির সময় মোট নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৮ হাজার ২৮৬ জন; অর্থাৎ গত ছয় দিনে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৬৬৮ হজযাত্রী।

বাংলাদেশ সৌদি আরবের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন। কিন্তু গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে মোট এক লাখ ১৮ হাজার ৯৫৪ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কোটা এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের কোটার বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ৮ হাজার ৯৬১ জন। সে হিসাবে বেসরকারিতে ফাঁকা রয়েছে তিন হাজার ২৩৭ জন। এ ছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোটা রাখা হয়েছে ১৫ হাজার। কিন্তু নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৯৯৩ জন। সে হিসাবে ফাঁকা রয়েছে পাঁচ হাজার সাতজন। ফলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে মানুষের অনীহা বেশ লক্ষণীয়। জানা যায়, প্রায় প্রতি বছরই সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি নির্দিষ্ট কোটা রাখা হলেও তা কখনো পূরণ হয় না। ফলে শেষ সময়ে এসে বাকি থাকা কোটা বেসরকারি এজেন্সির জন্য ছেড়ে দেয়া হয়। এবারো সরকারি কোটা পূরণ না হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে শেষ সময়ে বাকি থাকা কোটা বেসরকারি এজেন্সির জন্য ছেড়ে দেয়া হতে পারে।

হজ এজেন্সির মালিকরা বলছেন, চলতি মৌসুমে হজ প্যাকেজের খরচ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এর মধ্যে দফা দফায় সময় বাড়িয়েও হজযাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। গত রোববার উল্টো ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আগামীতে বছর হজের খরচ আরো বাড়বে। মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং সৌদি আরবের হারাম শরিফের নিকটবর্তী বিভিন্ন হোটেল ভেঙে ফেলায় এ বছর হোটেল ভাড়া নেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং অধিক পরিমাণ অর্থ দিয়ে হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় এ বছর হজ প্যাকেজকে হ্রাসকৃত প্যাকেজ হিসেবে ধরা যায়। একই ধারাবাহিকতায় বলা যায়, আগামী বছরগুলোয় হজ প্যাকেজের মূল্য আরো বৃদ্ধি পাবে। কারণ ভেঙে ফেলা বাড়ি বা হোটেল আবার গড়ে তুলতে দুই থেকে তিন বছর লাগবে।

হজ এজেন্সিগুলো বলছে, সৌদি সরকার থেকে পাওয়া নির্ধারিত কোটা পূরণ করে হজযাত্রী পাঠাতে না পারলে আগামীতে এ সংখ্যক কোটা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে। তাই কোটা পূরণ করতে এখন বেশ তৎপর মন্ত্রণালয়। এ দিকে হজযাত্রীর কোটা পূরণ না হওয়ায় বিমান ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে হাব।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/739566