৫ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার, ১১:০৭

পুড়ে ছাই বঙ্গবাজার

৫ হাজার দোকান ভষ্মিভূত : ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির দাবি

স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়েছে রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ পোশাক মার্কেট হিসেবে খ্যাত বঙ্গবাজার। দুঃস্বপ্নের মতো এই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে পাঁচটি মার্কেটের প্রায় ৫ হাজার দোকান। আগুনে যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বঙ্গবাজার মার্কেট এলাকা।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়। পাশেই রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতর। খবর পাওয়া মাত্র ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একে একে যোগ দেয় প্রায় অর্ধশত ইউনিট। অগ্নিনির্বাপণের কাজে সহায়তা করতে ছুটে আসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মিলিত সাহায্যকারী দল, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে বঙ্গবাজার, অ্যানেক্স মার্কেট, নিউ বঙ্গবাজার, মহানগর সুপার মার্কেট ও আদর্শ হকার্সসহ পাঁচটি মার্কেটে। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা এতটাই তীব্র ছিল যে, আগুন নিভাতে গিয়ে এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়েন ফায়ার কর্মীরা। যেমনি ছিল বাতাস, উৎসুক লোকজনের ভিড়, তেমনি পানির স্বল্পতা। সাড়ে ৬ ঘণ্টার প্রাণান্তরকর চেষ্টায় দুপুর সাড়ে ১২টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয় মার্কেটের হাজার হাজার দোকানি বা ব্যবসায়ীর স্বপ্ন।

এ দিকে আগুন থেকে রক্ষা পায়নি পুলিশ সদর দফতরও। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ হেড কোয়ার্টার ব্যারাকের চারতলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষা চারতলা ব্যারাকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে এ শঙ্কায় আগেই সতর্ক ছিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আগুনে ফায়ার সার্ভিসের ৮ জন কর্মীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি দিনের মতো বেচাকেনা শেষে রাত ১০টায় দোকান বন্ধ করে তারা যার যার বাড়িতে চলে যান। মার্কেটের পাহারায় থাকে নাইট গার্ডরা। রমজানে সাহরি শেষে কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবার তারা সকালে রওনা হন মার্কেটে। কিন্তু গতকালের ঘুম যেন তাদের দুঃস্বপ্নে কেটেছে। কারো ঘুম ভেঙেছে আগুনের খবর পেয়ে। আবার কেউ ঘুম থেকে জেগে আগুনের দুঃসংবাদ পান। ছুটে এসে দেখেন তাদের দীর্ঘ দিনের জমানো পুঁজি দাউ দাউ করে জ্বলছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ভেতর চারটি মার্কেট আছে। সেগুলো হলো বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট। এসব মার্কেটে প্রায় তিন হাজার দোকান আছে। তার সব কটি পুড়ে গেছে। এ ছাড়া বঙ্গবাজারের পাশে অ্যানেক্স টাওয়ার মার্কেটটি সাততলার। এর একাধিক তালায় আগুন লাগে। এর দক্ষিণ পাশে আছে মহানগর কমপ্লেক্স। দোতলার এই মার্কেটটি টিনের। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এর পাশে আছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার। সেখানে চারতলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

আগুনের খবর পেয়ে বঙ্গবাজার এলাকার আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা ছুটে যান। একত্রে পাঁচটি মার্কেটে আগুন জ্বলতে দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন তারা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। আগুন আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কায় তারা হুড়োহুড়ি করে আশপাশের মার্কেটের দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে থাকেন। আশপাশের রাস্তা ভরে যায় মালামালে। এ সময় উৎসুক লোকজনের ভিড় ও ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর সদস্যদের।

সকালে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে থাকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একে একে তাদের প্রায় অর্ধশত ইউনিট যোগ দেয় আগুন নেভানোর কাজে। কিন্তু বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে মার্কেটে মার্কেটে। আগুনের লেলিহান শিখা এতটাই তীব্র ছিল যে, পানি স্বল্পতার কারণে এক পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। এ সময় অগ্নিনির্বাপণে সহায়তার জন্য যোগ দেয়, সেনা ও বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল। বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার হাতিরঝিল থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলের পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়।

সব পুড়ে নিভে যায় আগুন : দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে প্রথমে জানানো হয়। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকেল পর্যন্ত সময় লাগে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বঙ্গবাজারই দেশের সব থেকে বড় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট। ঈদকে কেন্দ্র করে রোজা শুরুর পর থেকেই ধীরে ধীরে জমে ওঠে এ মার্কেটের ব্যবসা। এ বছরও জমতে শুরু করেছিল বঙ্গবাজারের কেনাবেচা। কিন্তু হঠাৎ আগুনে সব কেড়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীদের।

করোনার কারণে গত কয়েক বছর ঈদে ভালো ব্যবসা করতে পারেননি তারা। আশা ছিল, গত কয়েক বছরের লোকসান এবার পুষিয়ে নেয়ার। কিন্তু বিধি বাম! আগুন তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে। দাউ দাউ করে আগুনে পুড়েছে ব্যবসায়ীদের ঈদের স্বপ্ন।

মার্কেটটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁঁকিপূর্ণ, ১০ বার নোটিশ দেয়া হয়েছে : বঙ্গবাজার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল এই মার্কেটটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর পর ১০ বার নোটিশ দেয়া হয়।
দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

ডিজি বলেন, ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল এই ভবনটি আমরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলেছিলাম, আমরা ঘোষণা করেছিলাম এবং ব্যানারও দিয়েছিলাম। এর পরে দশবার নোটিশ দিয়েছি যে এই ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ফায়ার সার্ভিস বা আমার করণীয় যা যা ছিল তা করেছি। তার পরও এখানে ব্যবসা চলছিল।

দশবার নোটিশ দিয়েছেন এর পরে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব সিটি করপোরেশন বা রাজউকের। তাদের অবহেলার কারণে কী ঘটনা ঘটেছে? এ প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, এ প্রশ্নটার উত্তর আমার কাছে নেই। আমরা এই মার্কেটের সামনে এরকম ব্যানারও টাঙিয়ে ছিলাম ২০১৯ সালে।

কেউ হতাহত হয়েছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনায় সিভিলিয়ান কেউ এখনো হতাহত হয়েছে বলে আমার জানা নেই, কিন্তু ফায়ারের ৮ জন আহত আছে এবং দুইজন ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছে বার্ন ইউনিটে। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেও দাবি করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মাইন উদ্দিন।

উৎসুক জনতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, বেগ পাওয়ার প্রধান কারণ হলো উৎসুক জনতা। এ সময় মোবাইলে একটি ভিডিও দেখিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের ভিডিওটা দেখতে হবে। আমি নিজে করেছি। কোন জায়গা দিয়ে আমরা ফায়ার সার্ভিস কাজ করব? কোথায়, কীভাবে?’। এ ছাড়া প্রবল বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় ডিজি হামলার ব্যাপারে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের জন্যই জীবন দিচ্ছি, ফায়ার সার্ভিসের ওপর আঘাত কেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে যখন আগুন জ্বলছে, উত্তেজিত জনতা তখন বঙ্গবাজারের উল্টো পাশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দফতরে হামলা চালায়।

ফায়ারের ডিজি বলেন, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার এলাকায় আগুন লাগে। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। এই আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট কাজ করেছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, ওয়াসাসহ অনেক সংস্থা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখিত এবং মর্মাহত এই আগুনের দুর্ঘটনার জন্য। কেন হয়েছে আমরা এখনো জানি না, কীভাবে ঘটেছে তা জানি না। আমরা পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করব আগুন নির্বাপণের পরে। তারপর আপনাদের জানানো যাবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক।

পুড়েছে ৫ হাজার দোকান, ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দাবি : বঙ্গবাজার মার্কেটে আড়াই হাজারসহ আশপাশের মার্কেটের প্রায় ৫ হাজার দোকান ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। আগুনে আনুমানিক দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে প্রাথমিকভাবে থোক বরাদ্দ হিসেবে ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, আমাদের জানা মতে, শুধু বঙ্গবাজার কাঠের মার্কেটেই আড়াই হাজারের মতো দোকান রয়েছে। এখানে ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান করেন। সামনে ঈদ। সবাই ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনার পণ্য তুলেছেন দোকানে। এমন সময় এই অগ্নিকাণ্ড বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে এনেছে।

তিনি বলেন, এই ব্যবসায়ীদের পুঁজি বলতে দোকানের মালামালই। মালামাল পুড়ে গেলে তাদের আসলে পুজি বলতে সব শেষ। এখন তাদের জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, রমজানের ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রাথমিকভাবে ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।

ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ হাজার দোকান : দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গবাজারে লাগা আগুনে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো: এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের সহায়তায় সরকার সর্বোচ্চটুকু করবে। এই অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ। এখন যারা আহত হয়েছেন, তাদের ১৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাড়ে ১৪ কেজি করে খাবার দেয়ার কথা জানান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি জানান, এর মধ্যে থাকবে চাল, ডাল, তেল ও মসলা।

এই আগুনের ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের পুনর্বাসনে যথাযথ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে তাদের পুনর্বাসনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কারণ অনুসন্ধানে ডিএসসিসির কমিটি : বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামানের সই করা এক দফতর আদেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।
সচিব আকরামুজ্জামান জানিয়েছেন, ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্যসচিব করা হয়েছে প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তাকে।

কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- ডিএসসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর (১৩. ১৯ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ড), ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, সম্পত্তি কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এবং পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর)।

আগুনে আশপাশের সড়ক বন্ধ : আগুনে ওই এলাকার আশপাশের সড়কে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যান চলাচল। এসব সড়কে এখন দোকান থেকে সরিয়ে আনা মালপত্র রাখা হয়েছে।

আগুন লাগার পর হাইকোর্ট থেকে গুলিস্তান, হাইকোর্টের দিক থেকে বঙ্গবাজার মার্কেট, নর্থসাউথ রোডের দিক থেকে বঙ্গবাজারের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ আছে। গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, ফুলবাড়িয়া, নাজিরা বাজার, আনন্দবাজার সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বঙ্গবাজার থেকে হাইকোর্টমুখী সড়ক, বেগম সুফিয়া কামাল হলসংলগ্ন সড়কে অনেক ব্যবসায়ী তাদের মালামাল এনে রেখেছেন।

আগুন লাগার পর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিমতলী থেকে ফুলবাড়িয়া মুখের পথে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি ট্রাফিক) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো: মুনিবুর রহমান। তিনি বলেন, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের মতিঝিলের দিকটা খোলা রাখা হয়েছে। আগুন লাগার পর বিকল্প পথে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/739351