৫ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার, ১১:০০

সংকটে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা : মাদরাসা শিক্ষা

ড. মো. নূরুল আমিন

গতকালের পর
আরেকটি স্মরণীয় ঘটনা আছে। বিগত ২০০৮ সালে কার্ল জে সিওভাক্কো নামক একজন মার্কিন ইহুদী বিশ্লেষক ও সমরবিদ এবং প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও উপদেষ্টা সজীব এ ওয়াজেদের সাথে যৌথভাবে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। প্রবন্ধটির বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশে মৌলবাদ ও ইসলামের প্রসার এবং মাদরাসা শিক্ষার বিস্তৃতি। Stemming the Rise of Islamic Extremism in Bangladesh শিরোনামে এই নিবন্ধটি Harvard International Review জবারবি তে প্রকাশিত হয়েছিল। এতে দেশে ইসলামের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্রমবর্ধমান ঝোঁক প্রবণতাকে সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য বিরাট হুমকি বলে গণ্য করা হয়েছে (Biggest threat to the Country’s Constitution and Secular underpinnings) এবং প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই ইসলামের প্রবাহমান অগ্রযাত্রা রোধ করতে সক্ষম হবে। এই উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগকে এমন কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে যাতে ইসলামের গতি স্তব্ধ হয় এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়। (It could roll back the growing tide of Islamism in Bangladesh to implement certain changes to proactively check Islamism to secure long-lasting secularism and democracy) নিবন্ধে জঙ্গিবাদ উত্থানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ইসলামপন্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয় এবং বলা হয় যে, ইসলামপন্থীরা আর্মিতে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাতুর্যের সাথে সেনাবাহিনীতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য মাদরাসাসমূহে ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে। প্রবন্ধকারদের মতে, মাদরাসাসমূহে এই ভর্তি প্রশিক্ষণ চালুর আগে ২০০১ সালে আর্মিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ আসতো মাদরাসার ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে। কিন্তু এই প্রশিক্ষণ চালুর পর বিএনপি-জামায়াত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৬ সালের মধ্যে আর্মির নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে মাদরাসাছাত্রদের সংখ্যা প্রায় ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়। বাংলাদেশের ৩৭ বছরের ইতিহাসে চারটি সেনা অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রবন্ধে সশস্ত্র বাহিনীতে ইসলামপন্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুপারিশও করা হয়েছে।

’’Toward Renewal: A Secular Plan’’ শিরোনামে প্রদত্ত এই দিকনির্দেশনামূলক পরিকল্পনায় দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পদ্ধতিকে অরক্ষিত (Vulnerable) বলে গণ্য করা হয়। এতে প্রশ্ন করা হয়, Can the Awami League stop the growing tide of Islamism in a country that has seen the sale of burkas rise nearly 500 percent in last five years? অর্থাৎ যে দেশে বিগত পাঁচ বছরে বোরকার বিক্রি বার্ষিক ৫০০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সে দেশে আওয়ামী লীগ কি ইসলামী জোয়ারের প্রবল প্রবাহ রোধ করতে পারবে? পাঁচ দফা পরিকল্পনার একটি রোডম্যাপ দিয়ে এর উত্তরে বলা হয়েছে যে, হ্যাঁ যদি দলটি এটি বাস্তবায়ন করতে পারে। প্রবন্ধকারদের ভাষায়, ’’It must modernize the curriculum of the madrasas. Second it must build proper, secular elementary schools and hospitals. Third, it should increase the recruitment of secular minded students into the military. Fourth it must attempt to rehabilitate known extremist clerics. Lastly and perhaps the most abstract solution, it must push to vanquish poverty and illiteracy that consistently ranks among the worst in the world.’’ অর্থাৎ এই পরিকল্পনার প্রথম দফাটি হচ্ছে আবশ্যিকভাবে মাদরাসাসমূহের পাঠ্যক্রমের আধুনিকায়ন, দ্বিতীয়টি হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ প্রাথমিক স্কুল ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, তৃতীয়টি হচ্ছে সেনাবাহিনীতে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিয়োগ বৃদ্ধি, চতুর্থটি হচ্ছে সুপরিচিত চরমপন্থী আলেমদের পুনর্বাসন। অবশ্য চরমপন্থী বলতে তারা কাদের বুঝাতে চেয়েছেন এবং পুনর্বাসনেরই বা অর্থ কি তা পরিষ্কার নয়। তবে ধারণা করে নেয়া যায় যে, এক্ষেত্রে তাদের আঙ্গুল ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী হক্কানী আলেমদের দিকেই তোলা হয়েছে এবং তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ইসলামী জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব থেকে তাদের বিরত রেখে অন্য কাজে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতি ইঙ্গিত করে। পরিকল্পনার পঞ্চম ধাপটি হচ্ছে দারিদ্র্যবিমোচনের প্রচেষ্টা। এই তাৎপর্যপূর্ণ পরিকল্পনাটির বিস্তারিত বিশ্লেষণ এখানে সম্ভবপর নয়, তবে আমি যে বিষয়টিকে এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি তা হচ্ছে বাংলাদেশে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করার জন্য মাদরাসা কারিকুলামের আধুনিকায়নের নামে তা থেকে কুরআন, সুন্নাহ, উসুল, ফিকাহ প্রভৃতির এমনভাবে কাটছাঁট করা হচ্ছে যাতে হক্কানী আলেম হবার পথ চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

উপরোক্ত পরিকল্পনাটি সম্পর্কে দেশের আলেম ওলামা এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের অধিকাংশই অবহিত যে ছিলেন তা নয়। যারা ছিলেন তাদের অনেকেই বিষয়টি ততো গুরুত্বের সাথে দেখেননি। অবশ্য আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার পুত্রের বয়সের স্বল্পতা ও অপরিপক্বতা হয়তো এর একটি কারণ থাকতে পারে। অনেকেই মনে করেছেন যে, কার্লজে সিওভাক্কোর ন্যায় একজন ইহুদী হয়তো সজীবের অবস্থানও তার মার্কিন স্ত্রীর সুযোগ নিয়ে যৌথ প্রবন্ধে তার ইসলামবিদ্বেষকে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়ে থাকতে পারেন। এই ধারণাটির সত্যতা কতটুকু তা নির্ণয় করা কঠিন। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর যেসব ঘটনা ঘটে চলছে তাতে সিওভাক্কো ও তার অনুসারীদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের মতাদর্শের কোন গড়মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামের ক্রমবর্ধমান প্রচার ও প্রসার রোধ করার জন্য মাদরাসাকে প্রধান টার্গেট হিসেবে গ্রহণ করেছেন বলে মনে হয়। এ বিষয়টি সম্পর্কে দেশবাসীর বিস্তারিত কোনো ধারণা ছিল না। তবে ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে উইকিলিক্স-এর ফাঁস করা তথ্যে সর্বপ্রথম দেশবাসী জানতে পারেন যে, সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষার পাঠক্রম পরিবর্তনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উইকিলিক্সের তথ্যে বলা হয়, মাদরাসার পাঠক্রম পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএফআইডি) এক সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত জেমস্ এফ মরিয়ার্টি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী কৌশলের বিষয়টি উল্লেখ করে মাদরাসাগুলোর জন্য একটি পাঠক্রম তৈরি ও প্রয়োগের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদানের কথা উল্লেখ করেছেন। এতে আরও বলা হয়েছে যে, মাদরাসা পাঠক্রম উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির দেয়া এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বস্তুত এই উদ্যোগটি বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেন কিংবা ডিএফআইডি ও ইউএসএআইডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এই উদ্যোগকে বহুমুখী করার লক্ষ্য হিসেবে আরও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থাকেও মাদরাসাবিরোধী তৎপরতার সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংক উল্লেখযোগ্য। ঐ সময়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের মাদরাসাসমূহের পাঠক্রম পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি ধারণাপত্র তৈরি করেছে। এই ধারণাপত্রে দেশের মাদরাসাগুলোকে জঙ্গি সন্ত্রাসীদের বড় ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়েছে যে, সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা সময় উপযোগী নয়। এই ধারণাপত্রে কওমী মাদরাসা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এর শিক্ষাক্রম সার্বজনীন নয়। বলাবাহুল্য, ২০০৯ সালে “মাদরাসা শিক্ষা উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন কৌশল সহায়ক প্রকল্প” শিরোনামে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। এই প্রকল্পটির ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৮১ কোটি টাকা এবং এই প্রকল্পের সামগ্রিক তৎপরতার দিকনির্দেশনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হচ্ছেন এডিবির সমীক্ষা টীমের প্রধান ব্রিটিশ নাগরিক ড. ক্রিস্টোফার কুমিং। ইসলাম বা ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা, মাদরাসা শিক্ষার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, ঐতিহাসিক পটভূমি অথবা কুরআন-সুন্নাহ ও ফিক্হ-উসুল সম্পর্কে এই ভদ্রলোকের কোন ধারণাই ছিল না। আবার সমীক্ষা দলে বাংলাদেশ অথবা অন্য কোন দেশের খ্যাতনামা কোন আলেমকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাজধানীর একটি হোটেলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আয়োজিত এক কর্মশালার প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এর একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, “ব্যাপকভাবে ধারণা রয়েছে যে, মাদরাসাগুলো জঙ্গি সন্ত্রাসীদের বড় ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা সময়োপযোগী নয়।”

সমীক্ষা দলের প্রমাণহীন এই মন্তব্যে শিক্ষাবিদ ও আলেমদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্সি হিসেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের যে ম্যান্ডেট, তাতে সদস্য কোনো দেশের ধর্মীয় কিংবা শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ অথবা নীতিগত প্রভাব খাটানোর কোনো সুযোগ তাদের নেই। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাদের এই সুযোগটি করে দেয়ায় অনেকেই হতাশ হয়েছেন। তবে মাদরাসাগুলোকে জঙ্গী সন্ত্রাসীদের বড় ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আখ্যায়িত করে ব্যাংকটি যে অপ্রাসঙ্গিক ও অমূলক তথ্য তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে তার সাথে বাংলাদেশের তৎকালীন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিকের বক্তব্যের যথেষ্ট মিল ছিল। তিনি একাধিকবার কওমী মাদরাসাগুলোকে জঙ্গী সন্ত্রাসীদের প্রজননকেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করে বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। তার এই বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণের অংশ হিসেবে সম্ভবত এডিবিকে কাজে লাগানো হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। এর পাশাপাশি সরকার বিশ্বব্যাংকের ন্যায় প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও মাদরাসাবিরোধী তৎপরতার সাথে যুক্ত করেছেন। এর লক্ষ্য একটাই, মাদরাসার বিদ্যমান পাঠক্রম পরিবর্তন করে এমনভাবে ঢালাই করা যাতে মাদরাসা থেকে দ্বীনের প্রকৃত জ্ঞান ও শিক্ষা নিয়ে কোন আলেম তৈরি হতে না পারে।

এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংকের South Asia Region-এর Human Development Sector থেকে ২০০৯ সালে ’’Secondary School, Madrasas in Bangladesh : Incidence, Quality and Implications for Reform’’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। বিশ্বব্যাংকের তরফ থেকে এই রিপোর্ট প্রণয়নে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগ এবং রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের জনাব মোঃ নিয়াজ আসাদুল্লাহ, বিশ্বব্যাংকের দু’জন কর্মকর্তা যথাক্রমে নাজমুল চৌধুরী ও সৈয়দ রাশেদ আল জায়েদ জোশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তারা বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য যাদের কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হচ্ছেন মার্কাস গোল্ড স্টেইন, মাইকেল রিবাউড ও হেলসি রজার্স নামক তিনজন ইহুদী।

বিশ্ব ব্যাংকের দৃষ্টিতে তিনটি কারণে মাদরাসা শিক্ষা বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারণগুলো হচ্ছে তাদের ভাষায় :
1. Madrashas promote skills that are incompatible with a modern economy. Its academic standards are lower than general education. Madrasha graduates fail to pursue a productive economic life and add to the pool of educated unemployed, with little learning being taking place current attendance can only reinforce the curse of poverty in the future.
2. They may not promote civic values that are essential for a functioning democracy, thereby causing concerns among policy makers with an interest in the relationship between education and citizenship.
3. An unknown fraction of religious schools still remains completely outside the state system, making it a daunting task to regulate curriculum content and Pedagogic practices.

অর্থাৎ- ১. মাদরাসা শিক্ষা ও এই প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রদত্ত দক্ষতা ও কর্মকৌশল আধুনিক অর্থনীতি বিকাশের অনুকূল নয়। একটা সাধারণ ধারণা হচ্ছে মাদরাসা শিক্ষার মান সাধারণ শিক্ষার মানের তুলনায় নিকৃষ্ট। এর ফলে মাদরাসা থেকে ডিগ্রীপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ব্যর্থ হয় এবং এই প্রেক্ষিতে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে তারা সহায়তা করে। বিদ্যা সাধনার বিদ্যমান অবস্থায় তাদের অর্জিত যৎসামান্য জ্ঞান ভবিষ্যৎ দারিদ্র্যের অভিশাপ ও মাত্রাকেই বৃদ্ধি করে মাত্র। (

https://dailysangram.com/post/521258