৪ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার, ১:১০

ভাটির দেশে শুকনো নদী

বৃহত্তর সিলেট, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলকে ভাটিবাংলা বলেই সবাই জানে। নদ-নদী আর হাওরের পানির সাথেই ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। অথচ ভারতের পানি আগ্রাসনের ফলে ভাটি অঞ্চলের নদ-নদী ও হাওর আজ পানিশূন্য। পানির বদলে নদীর বুকে এখন চিকচিক করছে বালুরাশি। পানির জন্য নদীর বুক হাহাকার করছে। অথচ কেউ শুনছে না নদীর এ কান্না। নদীকে জীবন্তসত্তা ঘোষণা করে নদীর প্রাণ ফিরিয়ে দিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। দখলে-দূষণে মরছে নদী। অপর দিকে ভারতের ফারাক্কা ও গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে এবং উজানে তৈরি করা ৪০টি ড্যাম ও ব্যারাজ পানির গতি পরিবর্তন করে এদেশের নদীগুলো কার্যত হত্যা করা হয়েছে। ভারত এখন নতুন করে আবারও ফারাক্কার উজানে আরো দু’টি খাল খনন করে পানি অন্যত্র নিয়ে যেতে চাচ্ছে। এতে তিস্তাসহ গঙ্গা অববাহিকার নদ-নদীগুলো একেবারেই পানিশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভাটি অঞ্চলের নদ-নদী, হাওর-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় চাষাবাদে সংকট, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, নৌপথ ও নাব্য হ্রাস, গতিপথ পরিবর্তনসহ ভাঙন ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে। নদী-হাওর-বিলে মারাত্মকভাবে হ্রাস পাচ্ছে মাছের উৎপাদন। অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে সিলেটের ফ্রেশ ওয়াটার সোয়াম্প ফরেস্ট (জলাভূমির বন) রাতারগুল। রাতারগুলের পানির উৎস গোয়াইন নদীর উজানে ভারত বাঁধ দেয়ায় বন এখন পানিশূন্য। নদীতীরের মানববসতির পাশাপাশি রাতারগুলসহ সিলেটের নদীকেন্দ্রিক কৃষি, মৎস্য, জলজ জীববৈচিত্র্য মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকায় লাখ লাখ মানুষ চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। সিলেটের প্রধান নদী সুরমা, কুশিয়ারা, খোয়াই, মনু, ধলাই, পিয়াইন, সারি, সুতাং, রতœা, সোনাই, করাঙ্গী, ঝিংড়ি, ভেড়ামোহনা, রক্তি, কালনী, বৌলাইসহ অসংখ্য নদী বর্তমানে মৃতপ্রায়। কয়েক দশকে সুরমা-কুশিয়ারা ¯্রােতহীন শীর্ণ খালে পরিণত হয়েছে। নদী ভরাটের কারণে বোরো চাষিরা দিশেহারা। নদীভাঙনে জকিগঞ্জের অনেক এলাকা মানচিত্র থেকে হারিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে মিশে গেছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের সুরমা-কুশিয়ারাসহ ৩০টি নদী, মৌলভীবাজারের মনু, ধলাই এবং হবিগঞ্জের খোয়াইসহ ২৩টি নদীই আজ বিপন্নের তালিকায়। সুরমা ও কুশিয়ারা নদী সিলেটে পানির অনেক বড় উৎস। এই দু’টি নদী পানিশূন্য হওয়ায় অন্যান্য শাখা নদী-খাল শুকিয়ে গেছে। জলজপ্রাণী ও উদ্ভিদ মরে যাচ্ছে। ২১৭ মাইল দীর্ঘ সুরমা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভরাট হয়ে গেছে।
ভাটি অঞ্চলের নদ-নদীর বর্তমান মরণ দশা নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ রিপোর্ট তৈরি করেছেন রফিক মুহাম্মদ। সারাদেশের নদ-নদীর বর্তমান অবস্থার এ প্রতিবেদন কয়েকটি পর্বে ছাপা হচ্ছে। আজ ছাপা হলো এ রিপোর্টের

২য় পর্ব।
সিলেট থেকে ফয়সাল আমীন জানান, সিলেটের সুরমা, হবিগঞ্জের খোয়াই, সুনামগঞ্জের কালনী, মৌলভীবাজারের মনুসহ প্রায় শতাধিক ছোট-বড় নদ-নদীর অস্তিত্ব ছিল সিলেট বিভাগে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের বরাক নদী বাংলাদেশে এসে হয়েছে সুরমা কুশিয়ারা। আবার আসাম মেঘালয়, ত্রিপুরার পাহাড় থেকে এসেছে মনু, ধলাই, খোয়াই, সারি গোয়াইন, পিয়াইন, জুড়ী, কন্টিনালা ফানাই। সব মিলিয়ে সিলেট অঞ্চলে নদ-নদীর সংখ্যা অর্ধশতাধিক। কিন্তু দখল, দূষণ ও পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসা পলি মাটিতে নদীর উৎসমুখ ভরাট হওয়ার কারণে বর্তমানে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। অনেক নদী এখন কেবল নামসর্বস্ব। এছাড়া মানুষের অসচেতনতা ও লোভের কারণে ভালো নেই সিলেটের নদ-নদীগুলো।

ভারতের মণিপুর রাজ্যের মাও সাংসাং থেকে উৎপন্ন বরাক নদী সিলেটের জকিগঞ্জের অমলসীদ হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা দুই শাখায় প্রবাহিত হয়েছে। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরমার প্রবেশমুখ ভরাট হচ্ছে পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসা বালি ও মাটিতে। যার ফলে প্রতি বছরই চর জেগে উঠে সুরমার বুকে। পানিশূন্য এসব নদীর চর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেন স্থানীয় মানুষজন। যার ফলে নদীর মাটি শক্ত হয়ে বর্ষায় প্লাবনের সৃষ্টি করে। সম্প্রতি সিলেট নগরীর শাহজালাল সেতু থেকে দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুর পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকাজুড়ে সুরমার বুকে জেগেছে দীর্ঘ চর।

সিলেট বিভাগে প্রায় শতাধিক নদ-নদী রয়েছে। অনেক নদীই ভারত থেকে এসেছে, যা আন্তঃসীমান্ত নদী নামে পরিচিত। আর সিলেটের সকল নদীই সুরমা ও কুশিয়ারায় মিলিত হয়েছে। তবে অধিকাংশ নদীই বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। বিশেষ করে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, খোয়াই, মনু, দাড়াইন, কালনী, পিয়াইন, সারি, গোয়াইন, সোনাই, ধলাই, জুড়ি, সুতাং নদীর নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। নদীগুলো উজানে ভারতে বাঁধ, নদীর পাশে কল-কারখানা গড়ে ওঠা, ময়লা-আবর্জনা, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, দখল-দূষণ, পাহাড় টিলা কাটার কারণে নদীগুলো এখন অস্তিত্ব সংকটে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বুড়িগঙ্গা ওয়াটারকিপার শরিফ জামিল বলেন, সিলেটের নদ-নদী উজানে ভারতের উত্তর-পূর্ব বাংলার পর্বতমালা এবং পাহাড়-টিলার বনাঞ্চলের ওপর নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, ভারতের একতরফা প্রকল্পসমূহ এবং বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের বন ধ্বংসের কারণে নদীগুলো তার গঠন ও চরিত্র হারিয়েছে। অতিসত্বর সিলেটের নদী ও হাওরসমূহ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

সুনামগঞ্জ থেকে মো. হাসান চৌধুরী জানান, নদী-নালা খাল-বিল ও হাওর-বাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ ১২ উপজেলা। এ জেলার আনাচে-কানাচে রয়ে গেছে হরেক নামের হাওর ও নদী। এক সময় এই হাওর ও নদীর বুকে সারি সারি নৌকা পাল তুলে জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যেত মানুষ। আর এসব নদ-নদী পাড়ের জেলেরা বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ নদী থেকে ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করত। এখন আর এ সব মাছের দেখা মেলে না। আজ এ নদীগুলো নাব্যতা সংকটে কালের বিবর্তনে সব হারিয়ে যেতে বসেছে। দেশের পার্শ্ববর্তী ভারতের পাহাড়ি ঢলের সাথে ভেসে আসা বালু, নুড়ি, পাথর, পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে জেলার বেশির ভাগ নদ-নদী, খাল-বিল। ফলে সামন্য পানিতেই নদীর দু’পাড় উপচে প্লাবিত হয় নদীর তীরবর্তী গ্রাম। এসব কারণে আস্তে আস্তে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়েছে অনেক নদ-নদী। নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় মিঠাপানির মাছও কমে গেছে। নদীর তীরবর্তী জেলেরা মাছ ধরতে না পেরে কষ্টে দিনযাপন করছে।

সুনামগঞ্জের প্রধান নদ-নদী সুরমা, কুশিয়ারা, কালনী, যাদুকাটা, মাহসিং, বৌলাই, রক্তি, পাটলাই, মনু ও চেলা, ছুট সুরমা (পৈন্দা খাল), নান্দাই নদী এ সব গুরুত্বপর্ণ ও প্রধান নদ-নদীগুলোর নাব্যতা হারানোর ফলে মরে গেছে জেলার প্রায় ২৩টি নদী, শাখা নদী ও খাল। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় মৎস্য সম্পদ কমে গেছে। আগে যে বড় বড় মাছ হাওরে ও নদীতে পাওয়া যেত এখন আর তার দেখা মেলে না। জেলার তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদী, যাদুকাটা ও বিশ্বম্ভরপুর রক্তিনদী দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের মেঘালয় পাহাড় থেকে উৎপত্তি। কয়লা আমদানি শুল্ক স্টেশন বড়ছড়া, বাগলী এ ছাড়া পাহাড় থেকে আমদানিকৃত কয়লা পাটলাই নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়ে থাকে। কিন্তু এ নদীতে পানি থাকায় কয়লা আমদানি এখন সঙ্কটে পড়েছে। অন্যদিকে বৌলাই নদীটি নিশ্চিতপুর থেকে সিসকা পর্যন্ত শুকিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে তাহিরপুর উপজেলার সাথে নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মেঘালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে যাদুকাট নদীটি বাংলাদেশের ১ কিলোমিটার ভেতরে বালিজুরী ইউনিয়নের ফাজিলপুর নামক স্থানে এসে নাম নিয়েছে রক্তি নদী। এখানেই নদীটি বৌলাইয়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বিখ্যাত সিলেট সেন্ট এ নদী থেকেই সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। মেঘালয় থেকে নেমে আসা বালু ও পাথরের কারণে নদীটি সম্পদশালী ও গুরুত্বপর্ণ হয়ে উঠেছে। এ নদীতে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক বালু, পাথর ও বাংলা কয়লা সংগ্রহ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। এ নদী দিয়েই সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে জামালগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করতে হয় নৌ পরিবহন। জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের সুরমা ও বৌলাই নদীর মিলনস্থল থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। মৌলাই নদীর জামালগঞ্জ অংশের শ্রীমন্তপুর- শুকদেবপুর থেকে মিলনপুর গ্রাম পর্যন্ত নৌ যানজট চরম আকার ধারণ করে। অপরিকল্পিতভাবে যাদুকাটা ও ধোপাজান, চলতি নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলন করায় নদীর দু’পাড়ের হাজার হাজার একর ফসলি জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ হাট-বাজার হুমকির মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশের। নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী কৃষি জমিতে প্রয়োজনীয় সেচের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ফসল উৎপাদনও কমে গেছে। বিশেষ করে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে প্রতিটি নদীই শুকিয়ে যায়। ফলে মাছের বংশ বৃদ্ধিও কমে গেছে। নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে পানি না থাকায় মাছের উৎপাদনও কমে গেছে। জেলেরা মাছ ধরতে না পেরে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে।

নেত্রকোনা থেকে এ কে এম আব্দুল্লাহ্ জানান, হাওর-বাওর ও বহু নদ-নদী পরিবেষ্টিত দেশের ভাটি অঞ্চলের একটি জেলা নেত্রকোনা। ময়মনসিংহ গীতিকার সেই আলোচিত মহুয়া মলুয়া ও নদের চাঁদের স্মৃতি বিজড়িত এ জেলায় ছোট-বড় ৮৫টি নদী প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে কংশ, মগড়া, সোমেশ্বরী, ধনু, বিষনাই এসব নদী ছিল প্রমত্তা। দীর্ঘদিন যাবৎ সেসব নদ-নদী খনন না করায় কালের আবর্তে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানির সাথে আসা বালু ও পলি পড়ে বেশিরভাগ নদ-নদী এখন পানিশূন্য। অনেক নদ-নদীর তলদেশে এখন ধান চাষ হচ্ছে।

নেত্রকোনা জেলার নদ-নদী সারা বছর পানিতে টইটুম্বর থাকত। পাল তোলা নৌকার সাথে সাথে লঞ্চ-স্টিমার ও কার্গো জাহাজ চলাচল করত। নৌপথে পণ্য পরিবহন খরচ কম হওয়ায় এ অঞ্চলের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী নৌযানে তাদের মালামাল পরিবহন করত। এছাড়াও নদীতে মাছ ধরে হাজার হাজার জেলে পরিবার জীবিকা নির্বাহ করত। এক সময়ের খরস্রোতা নদ-নদীগুলো কালের বিবর্তনে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেসব নদ-নদীতে এখন পানি নেই। জেলেদের জীবন-জীবিকা এখন চরম সংকটে। নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা জেলার ৮৫টি নদ-নদীর মধ্যে বড় বড় কংশ মগড়া সোমেশ্বরী, ধনু ও উব্দাখালী নাম বলতে পারলেও বেশিরভাগ নদী মরে যাওয়ায় তাদের নাম বলতে পারছে না। এরই মধ্যে নেত্রকোনা থেকে হারিয়ে যেতে বসা নদ-নদীগুলো হচ্ছেÑ আত্রাখালী নদী, কাওনাল নদী, কাকুরিয়া নদী, কানসা নদী, কানাই নদী, কালিয়ারা নদী, কালিহর নদী, কর্ণ বালজা নদী, কালা পানি ঝরা নদী, গুনাই নদী, জলকান্দি নদী, জল শিমুলকান্দি নদী, জারিয়া নদী, তেওড়াখালী নদী, ধলাই নদী, ধোপখলা নদী, ধুপিখালী নদী, নিতাই নদী, বাউরী নদী, ছিলা নদী, তুষাই নদী, বল নদী, বলী নদী, বালই নদী, বেদুরী নদী, বানোয়ারী নদী, বারুণী নদী, বালিয়া নদী, বাঁকহারা নদী, বিষনাই নদী, বেতাই নদী, মরা সুরমা, নয়া নদী, পাতকুড়া নদী, পিয়াইন নদী, সিনাই নদী, রাজেশ্বরী নদী, ধলেশ্বরী নদী, পাটেশ্বরী নদী, ফুলেশ্বরী নদী, লাউয়ারী নদী, সুতি নদী, সুরিয়া নদী, সাইঢুলি নদী, সোনাই নদীসহ আরো অনেক নদী।

https://dailyinqilab.com/national/article/566683