২ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার, ১১:২৩

অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারের শীর্ষে বাংলাদেশ

অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রাতিষ্ঠানিক কাজের অভাব ও দুর্বল অবকাঠামোর কারণে বাংলাদেশ প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারে এগুতে পারছে না।

এতে শ্রমবাজারের সার্বিক পরিস্থিতিতে উন্নতি হচ্ছে না। কর্মক্ষম জনসংখ্যার সুফল ভোগ করতে পারছে না। বাংলাদেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বেশি হলেও এদের মধ্যে বেশির ভাগ অস্থায়ী কর্মে নিয়োজিত। শ্রমবাজারের অন্যান্য সূচকেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার বিশ্বব্যাংকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারের সংখ্যায় শীর্ষে থাকার নেপথ্যে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি খাতের কলেবর ছোট, সেবা প্রতিষ্ঠানের জনবল কম, বেসরকারি খাতের প্রাতিষ্ঠানিকতা কম ইত্যাদি।

অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লাও পিডিআর, তৃতীয় স্থানে কম্বোডিয়া। চতুর্থ স্থানে পাকিস্তান, পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। নেপাল, শ্রীলংকা ও মিয়ানমারের অবস্থান বাংলাদেশের চেয়ে ভালো।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট শ্রমশক্তির মধ্যে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সিরাই বেশি সক্রিয়। অর্থনীতিতে এদের অবদান অনেক বেশি। বাংলাদেশে মোট শ্রমশক্তির মধ্যে ৯৫ শতাংশ পুরুষ ও ৯৭ শতাংশ মহিলা অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারে নিয়োজিত। বাকি ৫ শতাংশ পুরুষ ও ৩ শতাংশ মহিলা প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারে নিয়োজিত। প্রাতিষ্ঠানিক চাকরির চেয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক চাকরির হার বাংলাদেশে অনেক বেশি। যে কারণে বাংলাদেশের শ্রমবাজার অস্থির।

এতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উন্নতি হলে কাজের পরিবেশও উন্নত হয়। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ স্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত ও মিয়ানমারের অবস্থান। নেপাল ও পাকিস্তানের অবস্থান বাংলাদেশের পড়ে।
সরকারি কর্মীদের পেনশনে খরচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে। এর আগে রয়েছে মিয়ানমার, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, থাইল্যান্ডের স্থান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেতন কাঠামোর দিক থেকেও বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম স্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপাল।

কর্মের পরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বেসরকারি খাতের বিকাশ ঘটাতে বিনিয়োগ বাণিজ্যনীতিতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। এগুলো বিনিয়োগ বাড়াবে। তখন প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ক্ষেত্রও বাড়বে। ফলে শ্রমবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মীদের হারও বাড়বে।

 

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/661023