২১ এপ্রিল ২০১৭, শুক্রবার, ৮:২৩

সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা

রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ চরমে

সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এক বা দুই ঘণ্টার বৃষ্টির পানি জমে থাকছে ৫-৭ দিন। এতে সড়কের পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হচ্ছে। অসতর্ক চলাচলে এসব সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। সামনে বর্ষা মৌসুম, নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে। কী জানি এবারের বর্ষায় কত ভোগান্তি অপেক্ষা করছে তাদের ভাগ্যে।


সরেজমিন দেখা গেছে, বুধবার বিকালের সামান্য বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, আরামবাগ এলাকার সড়কগুলোয় পানি জমে ছিল। ইট, খোয়া উঠে মাটি বেরিয়ে পড়া এসব সড়ক গ্রামের মেঠোপথের রূপ ধারণ করেছে। অসতর্ক চলাচলে পা পিছলে কর্দমাক্ত হচ্ছেন পথচারী। মোটরবাইক, রিকশা, সিএনজি, মাইক্রোবাস সড়কের গর্ত থেকে ঠেলে, টেনে ওঠাতে দেখা গেছে। একই চিত্র মিরপুর-এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভারের বনানী অংশের ওঠা ও নামার পথে। কাকলী থেকে মহাখালী পর্যন্ত সড়কের একাংশে হাঁটুসমান পানি জমে আছে। বুধবার রাতে ওই সড়কে চলাচলে নগরবাসীকে অন্তহীন ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। কারওয়ান বাজার থেকে বাংলামোটর সড়কের চিত্রও একই। এ ছাড়া মিরপুর, মোহাম্মদপুর, পুরান ঢাকার লালবাগ, জুরাইন, খিলগাঁও, বাড্ডা, কুড়িল এলাকার অনেক সড়কেই এমন অবস্থা বিরাজ করছে।

বাড্ডার বাসিন্দা ও বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘বুধবার বিকাল ও রাতের সামান্য বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সামনে বর্ষা মৌসুম। ভাগ্যে কী ভোগান্তি অপেক্ষা করছে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

এ প্রসঙ্গে ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, ‘রাজধানীর বড় একটি অংশে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন উন্নয়ন কাজ করছে। এ কারণে বিভিন্ন পয়েন্টে পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতেও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। বিষয়টি দুই সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করা হয়েছে। দুই সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আশা করি, বর্ষা মৌসুম পুরোদমে শুরু হওয়ার আগে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আর সেটা হলে অন্যান্য বছরের তুলনায় রাজধানীতে জলাবদ্ধতা কম হবে, নগরবাসীর বড় ধরনের ভোগান্তি হবে না বলে আমার বিশ্বাস। সেই লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে নিরলস পরিশ্রম করছি আমরা।’

http://www.jugantor.com/first-page/2017/04/21/118972/