১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার, ১০:৫১

আবারো বেড়েছে মুরগির দাম

দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। গত কয়েক দিন আগে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও গতকাল আবার বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে ডিমের দামও বেশি। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। বেশকিছু সবজির দাম কিছুটা কমতির দিকে হলেও বৃদ্ধি পাওয়া চাল, ডাল ও তেলের দাম কমেনি।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, বছরের যেকোনও সময়ের চেয়ে বর্তমানে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি। ভোক্তা অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে কমে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ২২০-২৩০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৫০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।

মুরগি বিক্রেতারা জানান, ঈদের আগে আর দাম কমার তেমন সম্ভাবনা নেই। মুরগির দাম বাড়ার কারণ সিন্ডিকেট। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৮০ টাকা কেজি হয়েছিল। সেখান থেকে বেড়ে কেজি হয় ২৬০ টাকা। এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকায়।

বাজারে গরুর গোশত ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খাসির গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকা দরে। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ছিল ১৪০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা।

সবজির বাজারে দেখা গেছে, সবজির দাম তেমন কমেনি। দুই-একটি সবজির দাম কম হলেও বাকি সব সবজির দাম বাড়তি। শসা প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, শিমের কেজি ৬০ টাকা, করলার কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ৮০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা দরে। গাজরের কেজি ৬০ টাকা, মুলার কেজি ৬০ টাকা ও কাঁকরোলের কেজি ২০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। বড় রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। ছোট রসুনের (দেশি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। বাজারে আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দেশী মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা দরে। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে।

মাছের বাজারের চিত্রটাও স্বাভাবিক। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা কমে বিক্রি করতে দেখা গেছে। সরবরাহ বাড়ায় ও সামনে ঈদ দেখে মাছের দাম কমছে বলে জানান মাছ বিক্রেতারা। এই সপ্তাহে মাছের বাজারে কেজি প্রতি পাঙাশ ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া আকারভেদে ১৫০ থেকে ২০০, সিলভার কার্প ১৬০, কই ২৪০, শিং ২৪০, রুই মাঝারি ২৮০, টাকি ৩০০, পাবদা ৩২০, চিংড়ি ৬৫০, ইলিশ মাঝারি ৬০০ টাকা।

https://dailysangram.com/post/520880