২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ১১:০১

আলু ভর্তা দিয়ে ইফতারি সারলেন মেহেরপুরের তহরা

রোজার প্রথম দিনে মেহেরপুরে ইফতারি সামগ্রীর দাম দ্বিগুণ। নিম্ন্নবিত্তের মানুষ ইফতারি কিনতে নাভিশ্বাস হয়ে পড়ছে। এবারে ইফতারি কিনতে অনিহা দেখাচ্ছেন নিম্নবিত্তের মানুষ। অনেকে আলু ভর্তা আর ভাত দিয়ে ইফতারি সেরে নিচ্ছেন। এমনই একজন নারী শ্রমিক তহরা খাতুন (৪৮)। তিনি মেহেরপুর জেলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে হাড়িয়াদহ গ্রামে বসবাস করেন। এক মেয়ে সন্তান রেখে স্বামী তাকে তালাক দেয়। সে থেকে এক কন্যাসন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে মরিচ তোলাসহ ছোটখাটো কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছেন। মেয়ের বিয়ে হলেও তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বাড়িতে রয়েছে।
এই নারী শ্রমিক বলেন, ‘প্রতিদিন কাজ পাইনা বল্লেই চলে। যদি বা কেউ কাজে নেয়।

মজুরি দেয় ২০০ টাকা। ওই টাকা দিয়ে চাল-ডাল আর তরিতরকারি কিনতেই হিমশিম খেতে হয়। তাই এতো চড়া দামে ইফতারি কিনবো কি করে। আলু ভর্তা আর ভাত দিয়ে ইফতারি করলাম।’ একই কথা বল্লেন ওই গ্রামে দিনমজুর হবিবর রহমান। তিনি জানান, ‘জিনিসপাতির যে দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষের বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে পড়বে।’

এদিকে, মেহেরপুর জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ইফতারি সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে অন্য মৌসুমের চেয়ে দ্বিগুণ দামে। কোনো কোনো সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে তিনগুণ বেশি দামে। মাল্টা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা । যা গত রোজায় বিক্রি হতো ১৫০ টাকা কেজি। এছাড়াও কেজি প্রতি সৌদি খেজুর ৬০০ টাকা, কাঠ বাদাম ৮০০ টাকা, কিসমিস ৫০০ টাকা, কমলা ২০০ টাকা, চায়না কমলা ২৫০ টাকা, বেদানা ৩৫০ টাকা, আঙ্গুর ২৫০ টাকা, আজুয়া খেজুর ৭০০ টাকা, আলুর চপ পিচ প্রতি ১৫ টাকা, সিঙাড়া ১৫টাকা। যা গত রোজায় চপ ও সিঙাড়ার পিস প্রতি দাম ছিল ৫ টাকা। মেহেরপুরে গত কয়েক বছর ধরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। প্রতি কেজি তরমুজের দাম ধরা হচ্ছে ৮০টাকা। হত-দরিদ্রের জন্য টিসিবি’র কম মূল্যেই খাদ্যসামগ্রী কিনতে গিয়েও পাচ্ছে না হত-দরিদ্ররা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশে এসব খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে মধ্যবিত্তরা।

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হলেও মনিটরিংটিম বাজার থেকে সরে আসলে, আবার চড়া মূল্য খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।

https://mzamin.com/news.php?news=48288