১৬ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:১১

বিবিএসের তথ্যে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন ৬৫% সেবাগ্রহীতা

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া তথ্যে ৩৫ শতাংশ ব্যবহারকারী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। বাকি ৬৫ শতাংশ ব্যবহারকারী পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। তাঁদের প্রয়োজন আরো বেশি তথ্য। সংস্থাটির করা ‘ইউজার স্যাটিসফিকেশন সার্ভে-২০২২’ শীর্ষক জরিপের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

বিবিএস থেকে তথ্য নেয় এমন ৫৮০ জনের ওপর জরিপ করে এই তথ্য দিয়েছে সংস্থাটি। তারা মূলত ২০২২ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। তাদের জরিপের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেবাগ্রহীতাদের সন্তুষ্টি জানার পাশাপাশি মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা।

গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস মিলনায়তনে এই জরিপ প্রকাশ করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান।অনুষ্ঠানের শুরুতে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন ‘এনএসডিএস ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট প্রজেক্ট’-এর পরিচালক মো. দিলদার হোসেন। বিবিএস বলছে, জরিপে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী উত্তরদাতাদের ৭০.৫২ শতাংশ জনসংখ্যা, জনমিতি এবং জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে ইত্যাদি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান ব্যবহার করেন। ৪৩.৪৫ শতাংশ ব্যবহার করেছেন দরিদ্রতার তথ্য এবং ৪০ শতাংশ ব্যবহার করেছেন কৃষির তথ্য।

জরিপের তথ্য বলছে, তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারকারীদের ৬১.২২ শতাংশ বিবিএসের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন, যা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমের তুলনায় অনেক বেশি। সামগ্রিকভাবে প্রায় ৩৭.৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা তথ্যের জন্য গত ২৪ মাসে দুই থেকে পাঁচবার বিবিএসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, এ ধরনের জরিপ বিবিএস প্রথমবারের মতো পরিচালনা করেছে। এ জরিপের নমুনার আকার ছিল ৬০৯ জন, যার মধ্যে ৫৮০ জন উত্তরদাতার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। সামগ্রিকভাবে বিবিএসের তথ্য সরকারি পরিসংখ্যান, শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয়। সরকারি পরিসংখ্যান ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের ৪৬.৫৭ শতাংশ নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা অনুসরণ করেননি। এ ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য পরিসংখ্যান ব্যবহারকারীদের ৭০.০৯ শতাংশ বিবিএসের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত সরকারি পরিসংখ্যানকে ‘উপযোগী’ এবং ১৭.০৯ শতাংশ ‘খুবই উপযোগী’ হিসেবে মত প্রকাশ করেন।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন বলেন, ‘এই জরিপের মাধ্যমে আমরা আমাদের দুর্বলতা, আপনাদের প্রত্যাশা ও চাহিদাগুলো জানতে পারলাম। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবু প্রত্যাশা, সামনের দিনে বিবিএস আরো ভালোভাবে কাজ করতে পারবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘আজকের জরিপটি প্রকাশ করে বিবিএস সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তারা তাদের আত্মসমালোচনার পরিচয় দিয়েছে। এখানে অনেক পরামর্শ উঠে এসেছে, মতামত এসেছে।’

https://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2023/03/16/1261545