১৬ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৯

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, প্রধান বিচারপতির দুঃখ প্রকাশ

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের প্রথম দিনে গতকাল বুধবার সকাল থেকে প্রায় সারা দিন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ, ভোটকেন্দ্র ও আইনজীবীদের কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধরের শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও আইনজীবী। সকাল দুপুর ও বিকেলে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আদালত অঙ্গনের পরিবেশ ছিল থম থমে। এ সময় আদালত অঙ্গনে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের মধ্যে বিএনপি সমর্থক আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পিটিয়ে বের করে দিয়ে বেলা পৌনে ১টার দিকে আওয়ামী লীগপন্থী আইজীবীদের গঠন করা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটগ্রহণ হয়। প্রথম দিনে ২২১৭ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

অন্য দিকে অবৈধভাবে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বারে বিক্ষোভ করেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। বেলা ৩টায় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা এক সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অবিলম্বে বন্ধ করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংঘর্ষ-ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে কয়েক দফা সংঘর্ষ ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় দফায় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা মিছিল কেরে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ পথের বাইরের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে। এ সময় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সাথে পুলিশ ও সরকার সমর্থক আইনজীবীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। বেলা সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পুলিশও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ধরতে অ্যাকশনে যায়। এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজলের কক্ষসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবীর কক্ষের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে আদালত অঙ্গনে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা ও গ্রহণযোগ্য কমিটির অধীনে নির্বাচন দাবি : এ দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অবিলম্বে বন্ধ করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। গতকাল বেলা ৩টায় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে অবৈধভাবে সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন করার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারে যেটা হচ্ছে সেটা কোনো নির্বাচন নয়। তিনি এ বিষয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে চারবার গিয়েছি। তিনি দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট বারে নির্বাচনের নামে এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করুন। আর যারা আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে তাদের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বারের একটি ঐতিহ্য আছে। অবৈধভাবে কেউ নির্বাচনের নামে সুপ্রিম কোর্ট বারকে কলঙ্কিত করতে পারে না। তিনি বলেন, এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। এটা কোনো নির্বাচন নয়, নতুন নির্বাচন দিতে হবে।

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সারা দেশে যে নির্বাচন নেই তারই ধারাবাহিকতায় সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনকে কলঙ্কিত করছে সরকার সমর্থকরা। তারা নিজেরা ব্যালট ছাপিয়ে এনেছে। এতে আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের ইতিহাসে এই প্রথম পুলিশ প্রবেশ করে আমাদের বোনদের ও সাংবাদিকদের আহত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল, সমিতির সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, বাংলাদেশ ল‘ইয়ার্স কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন সরকার, ড. এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল। এর আগে সকালে ভোটকেন্দ্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ও বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের আইনজীবীদের ব্যাপক হট্টগোল হয়। সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের আইনজীবীরা বিপুল সংখ্যক পুলিশের সহায়তায় ভোটকেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের আইনজীবীরাও ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে। নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত অডিটোরিয়ামে বিক্ষোভ করেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। বিক্ষোভে তারা বলেছেন, আগে নির্বাচন কমিশন চাই, তারপর নির্বাচন হবে। ভোটকেন্দ্রের মধ্যে দুই পক্ষের আইনজীবীদের স্লোগান-পাল্টা স্লোগান এবং শোডাউনে ভোটকেন্দ্র তছনছ হয়ে যায় বলে আইনজীবীরা জানান। সকাল ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের শোডাউন চলে বলে আইনজীবীরা জানান।

যেসব আইনজীবী আহত : ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সহ-সভাপতি প্রার্থী হুমায়ুন কবির মঞ্জু, সমিতির সহ-সম্পাদক মাহফুজ বিন ইউসুফ, সাবেক সহ-সভাপতি ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মুস্তাফিজুর রহমান, ওসমান চৌধুরী, মাসুদ রানাসহ প্রায় ১৪ জন আইনজীবী আহত হয়েছেন বলে বিএনপির আইন সম্পাদক ও আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন।

নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী বর্তমান সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো: মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক প্রার্থী বর্তমান সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল।

এ দিকে দুপুর ১২টার দিকে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। পুলিশ বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এ সময় বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সমিতির সহ-সম্পাদক মাহফুজ বিন ইউসুফসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন বলে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা জানান।

সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ : নির্বাচনে ভোটগ্রহণ নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্রের মধ্যে হট্টগোলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধরের শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এবং বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে দুই পক্ষের আইনজীবীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধরের শিকার হয়েছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের রিপোর্টার জান্নাতুল ফেরদৌস তানবী, এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাবেদ আক্তার, মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, জাগো নিউজের রিপোর্টার ফজলুল হক মৃধা, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার এস এম নূর মোহাম্মদ, নয়া দিগন্তের রিপোর্টার হাবিবুর রহমান, বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপারসন ইব্রাহিম হোসেন, এটিএন বাংলার ক্যামেরাপারসন হুমায়ুন কবির, সময় টিভির ক্যামেরাপারসন সোলাইমান স্বপন, নয়া দিগন্তের ক্যামেরাপারসন আবদুল্লাহ আল বাপ্পী এবং ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন মেহেদী হাসান মিমসহ আরো কয়েকজন।

ভোটগ্রহণ ঘিরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। দায়িত্ব পালনের সময় সবার সতর্ক হওয়া উচিত। এ সময় তিনি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন। দুপুরে প্রধান বিচারপতির দফতরে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতির নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি এ আশ্বাস দেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার, সাবেক সভাপতি এম বদিউজ্জামান ও ওয়াকিল আহমেদ হিরন, সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ সরওয়ার হোসেন ভুঞা, সহ-সভাপতি দিদারুল আলম দিদার প্রমুখ।

এ দিন বিএনপি সমর্থক আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মারধর করে তাদের বের করে দেয়ার পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বেলা পৌনে ১টার দিকে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের গঠন করা নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশনের অন্যতম সদস্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। তিনি জানান গতকাল ২২১৭ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার রাত থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ৫ শতাধিক (৩১ প্লাটুন) পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

সমিতির নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপ-কমিটির আহ্বায়ক সাবেক বিচারপতি মো: মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগের ঘোষণার প্রেক্ষাপটে আইনজীবীদের শীর্ষ এই সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ভোটগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে মঙ্গলবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবী মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারে বিক্ষোভ করেন। নির্বাচন উপ-কমিটির আহ্বায়ক বা প্রধান কে হবেন তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়ায়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মো: মনিরুজ্জামানকে মনোনীত করেন। অন্য দিকে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এ এস এম মোকতার কবির খানকে মনোনীত করেন। এক পর্যায়ে পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল, হইচই ও হট্টগোল শুরু হয়। রাত ১২টা পর্যন্ত দুই পক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোল এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই সাথে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং আইনজীবী সমিতি ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কার্যকরী কমিটির সভাপতি পদে ১টি, সহ-সভাপতি পদে ২টি, সম্পাদক পদে ১টি, কোষাধ্যক্ষ পদে ১টি, সহ-সম্পাদক পদে ২টি এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে ৭টি পদসহ সর্বমোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/734604