১৩ মার্চ ২০২৩, সোমবার, ১২:১৬

রাজধানীতে তীব্র যানজট ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর দাবি

আগামী ২৩ মার্চ প্রথম রমজান। গত বছর রমজানে রাজধানীবাসী প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি তীব্র যানজটে ভুগেছে। এ বছরও রমজান শুরুর আগেই বাড়ছে তাপমাত্রা, তার সাথে রাজধানীতে তীব্র যানজটতো আছেই। তাই রাজধানীবাসীর দাবি রমজানকে সামনে রেখে রাজধানীর যানজট কমাতে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হোক। এ ছাড়া ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করারো পরামর্শ দেন অনেক নাগরিক।

গতকাল রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটে ভুগতে হয় নগরবাসীকে।
এ সময় তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিকল্পিত ট্রাফিক ব্যবস্থার অভাব, ট্রাফিকে থাকা কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতার ঘাটতি ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পের কারণেই রাজধানীতে অতিরিক্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। সামনে রোজা। শীতকাল শেষ হওয়ায় আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই রমজানে তীব্র গরমের সাথে যানজটের সমস্যার সমাধান না হলে নাগরিকদের পড়তে হবে চরম দুর্ভোগে। তাই রমজানে যেন রাজধানীবাসীকে দুর্ভোগে পড়তে না হয় সে জন্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ নাগরিকরা।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রোববার রাজধানীতে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। বাতাসের গতি ছিল উত্তর উত্তর-পশ্চিম ১৩ কিলোমিটার/ঘণ্টা। ঝড়ো হাওয়ার ধমকা ১৯ কিলোমিটার/ঘণ্টা। আর্দ্রতা ৩৪ শতাংশ এবং রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাপা হয় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রমজানে তাপমাত্রা এর চেয়েও কয়েক ডিগ্রি বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আরিফ নামে এক যাত্রী নয়া দিগন্তকে বলেন, গত বছর রমজান উপলক্ষে এমনিতে অফিসের সময় এগিয়ে আনা হয়েছিল। গত বছর আমি সকাল সাড়ে ৭টায় মিরপুর থেকে বের হয়ে অফিস শুরুর দুই ঘণ্টা পর মতিঝিলে পৌঁছেছি এ রকম অভিজ্ঞতা আছে। সামনে রমজানে ভ্যাপসা গরম পড়তে পারে। সব মিলিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ভীষণ খারাপ অবস্থায় পড়তে হবে।

আজিমপুর থেকে আসা এক পথচারী নয়া দিগন্তকে বলেন, যেমন গরম তেমন জ্যাম। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সব সময়ই জ্যাম লেগে থাকছে। রমজানেও এই অবস্থা থাকলে রোজা রাখা কষ্ট হয়ে যাবে। এখন রাস্তায় জ্যাম আগের চেয়ে বেড়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে জ্যামের কারণে। তাই এই গরমে হেঁটেই যাচ্ছি। তবে গরমের কারণে কিছুক্ষণ হাঁটলেই ঘেমে খারাপ অবস্থা হয়ে যাচ্ছে।

সুমাইয়া সুমি নামের এক শিক্ষার্থী নয়া দিগন্তকে বলেন, সিটি কলেজ থেকে বাসে উঠেছিলাম, আধা ঘণ্টা ধরে বাসে বসে থাকার পরও খুব বেশি দূর এগোতে না পেরে বাধ্য হয়েই এখন হেঁটে যাচ্ছি। রোজার সময় এমন যানজট থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়তে হবে।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/733841