১৩ মার্চ ২০২৩, সোমবার, ১২:১০

এক বছরের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছরের (২০২২) জানুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। গতকাল পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এটি ইনফ্ল্যাশন, হাইপার নয়। পাকিস্তানে দ্রব্যমূল্য ৪০ শতাংশ বেড়েছে, জিম্বায়ুতে ৩০০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি। কাজেই এ দেশের মূল্যস্ফীতি জিম্বাবুয়ের তুলনায় অস্বস্তিকর নয়। এর নানা কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তেই থাকে। মূল্যস্ফীতি কখনো পূর্বের অবস্থায় ফেরে না বলে এর আগে জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। গতকাল রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ডিসেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে। খাদ্য খাতে একই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ১৩, গতমাসে যা ছিল ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ হয়েছে, গত মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কমেছে ও খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।

প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চাল, ডাল, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুগ্ধজাতীয় ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী কিনতে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এটি ইনফ্ল্যাশন, হাইপার নয়। পাকিস্তানে দ্রব্যমূল্য ৪০ শতাংশ বেড়েছে, জিম্বায়ুতে ৩০০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি। কাজেই এ দেশের মূল্যস্ফীতি জিম্বাবুয়ের তুলনায় অস্বস্তিকর নয়। গতকাল একনেক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত বছরের শেষ দিক থেকেই তিনি বলে আসছিলেন জানুয়ারি থেকে ক্রমান্বয়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। সরকারের পদক্ষেপের কারণে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশে। যেটি জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাড়া-কমা নিয়ে গড়, এ নিয়ে অস্বস্তির কিছু নেই। এ বছর মূল্যস্ফীতি অত্যন্ত সহনীয় থাকবে। আমি মনে করি না কোনো ধরনের চাপ পড়ছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৪১২টি পণ্যের ওপর দেশের মূল্যস্ফীতি হিসাব করা হতো। কিন্তু এখন থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৭০০টি পণ্যের উপর মূল্যস্ফীতি হিসাব করা হবে।

 

https://dailysangram.com/post/519115