১১ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ১০:৫৭

ডাণ্ডাবেড়ি বিতর্ক, কী বলছে আইন

আসামির পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি, হাতে হ্যান্ডকাফ ও মাজায় দড়ি কখন ব্যবহার হয়? এ নিয়ে আইন কী বলে? সাম্প্রতিক সময়ে ক’টি ঘটনায় এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, এটি সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমন ক’টি ঘটনার একটি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেক রিকাবদার-এর সঙ্গে ঘটেছে। বয়স ৭০ বছর। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি গত বছরের রাজনৈতিক মামলায় তাকে নরসিংদীর শিবপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশ ওই মুক্তিযোদ্ধার কোমরে দড়ি বেঁধে এবং হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আদালতে হাজির করে। আবু ছালেক শিবপুর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকও। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া দুঃখ প্রকাশ করলেও ওসি’র সাড়া পাননি। শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার তখন সাংবাদিকদের বলেন, আবু ছালেক রিকাবদারকে কোমরে রশি দিয়ে বাঁধার বিষয়টি তার জানা ছিল না। তবে এমপি জহিরুল সাংবাদিকদের বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেককে আটকের খবর পেয়ে আমি ওসিকে কল দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম, তাকে যেন কোনো প্রকার অসম্মান বা হয়রানি না করা হয়।

পর দিন কোমরে দড়ি বেঁধে তাকে থানা থেকে আদালতে পাঠানোর ছবি দেখতে পেয়ে কষ্ট পেয়েছি।
এ ছাড়া, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. আলী আজম গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পান। হাতে হাতকড়া, পায়ে ডান্ডাবেড়ি লাগিয়ে তাকে নিজ বাড়িতে মায়ের লাশ দেখতে নিয়ে যায় পুলিশ। শোকাচ্ছন্ন আলী আজম হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজা পড়ান। স্থানীয়দের অনুরোধেও খুলে দেয়া হয়নি তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি। জানাজার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে। শুধু এই দুটি ঘটনাই নয়, শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানী, হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ অনেকের পায়ে ডান্ডাবেড়ি, হাতে হ্যান্ডকাফ, মাজায় দড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়া বিএনপি নেতার বিষয়ে গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, আসামি জেলের বাইরে গেছে, তাই নিরাপত্তার জন্য ডান্ডাবেড়ি দিয়েছি। জেল কোডে ডান্ডাবেড়ি পরানোর কথা বলা আছে।

জেল কোডের যে বিধি অনুসারে ডান্ডাবেড়ি, হ্যান্ডকাফ ও মাজায় দড়ি পরিয়ে নাগরিককে অসম্মান করা হয় শুধু সেসব বিধি নয়, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক জেল কোড বাতিলের দাবি জানান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ডান্ডাবেড়ি, হ্যান্ডকাফ ও মাজায় দড়ি পরিয়ে নাগরিককে অসম্মান করা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দ্রুত সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক জেল কোড বাতিল করা উচিত। আমাদের সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা হতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না। সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৩৫ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেয়া যাবে না কিংবা কারও সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করা যাবে না।

সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, আমাদের বিচার বিভাগ, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা, পুলিশ, কারাগার সবকিছুই তৈরি হয়েছে বৃটিশ ঔপনিবেশিক আমলে। আমরা স্বাধীনতা লাভ করলেও এগুলোর তেমন সংস্কার হয়নি। এখনো ঔপনিবেশিক আমলের আইনগুলো দ্বারাই চলছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর এ কারণে আইনকানুন, পুলিশ, বিচারব্যবস্থায় এখনো ঔপনিবেশিক ধারণাগুলো কাজ করে। ঔপনিবেশিক আমলে ওই সব প্রতিষ্ঠান ও আইন তৈরিই করা হয়েছিল মানুষকে শাসন-শোষণ, দমন-পীড়ন করার জন্য। পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো সেই ধারায় চলছে। নাগরিকের অধিকার, মানবাধিকার এসব নিয়ে তাদের খুব বেশি বোঝাপড়া আছে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া বিভিন্ন আমলে পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সবকিছু মিলে জবাবদিহির ক্ষেত্রে বিশাল এক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। জবাবদিহি ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।

এক এগারো সরকারের সময় ডিআইজি প্রিজনের দায়িত্বে থাকা মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী মানবজমিনকে বলেন, কারা বিধি অনুযায়ী আসামিদের ডান্ডাবেড়ি, হ্যান্ডকাফ ও মাজায় দড়ি পরানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় কখনো কখনো আসামিদের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। আবার কখনো এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে নেয়ার প্রয়োজন হয়। এসব ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি, হ্যান্ডকাফ ও মাজায় দড়ি পরান। অবশ্য আসামিদের আদালতে নিয়মিত হাজিরার সময় কোর্ট পুলিশের চাহিদামতো ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। তবে বর্তমান সভ্য সমাজে বিচারাধীন আসামিদের ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরিহার করা উচিত। তিনি আরও বলেন, গাজীপুরের এক আসামি পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় মায়ের জানাজার নামাজের ইমামতি করেন। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ চাইলে ওই আসামির অন্তত হ্যান্ডকাফ খুলে দিলে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সমালোচনার মুখে পড়তে হতো না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি জেল কোডের ডান্ডাবেড়ি সংশ্লিষ্ট বিধি সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূলত জেল কোডের ৫৬ বিধি অনুযায়ী আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। এতে বলা হয়, যখন সুপারিনটেন্ডেন্ট প্রয়োজন মনে করেন যে, (বন্দির অবস্থার কারণে বা চরিত্রের কারণে) কোনো বন্দিকে নিরাপদ প্রহরার জন্য লৌহ-শৃঙ্খলে আটক রাখিতে হইবে, সরকারের অনুমোদনক্রমে মহাপরিদর্শক নির্ধারিত বিধি এবং নির্দেশাবলী সাপেক্ষে তিনি উক্ত বন্দিকে সেভাবে আটক রাখিতে পারিবেন। এ ছাড়া ৫৭ বিধি অনুযায়ী দ্বীপান্তরের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদেরকে লৌহ-শৃঙ্খলে আটক করতে পারেন। প্রথমত দ্বীপান্তরের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদেরকে ৫৯ ধারার অধীনে প্রণীত কোনো বিধান সাপেক্ষে, কারাগারে ভর্তির প্রথম তিন মাস লৌহ-শৃঙ্খলে আটক রাখা যাইতে পারে। দ্বিতীয়ত যদি সুপারিনটেন্ডেন্ট প্রয়োজন মনে করেন যে, বন্দির নিজের নিরাপদ প্রহরা বা অন্য কোনো কারণে, কোনো বন্দিকে তিন মাসের অধিক কাল লৌহ-শৃঙ্খলে আটক রাখিতে হইবে, তিনি কারা মহাপরিদর্শকের নিকট মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করিবেন এবং কারা মহাপরিদর্শক সেই অনুযায়ী মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারেন। তবে ৫৮ বিধিতে এও বলা হয়েছে- প্রয়োজন ব্যতীত বন্দিদেরকে জেলার কর্তৃক লৌহ-শৃঙ্খলে আটক রাখা যাইবে না। জেলারের নিজ কর্তৃত্বে কোনো বন্দিকে লৌহ-শৃঙ্খলে বা যান্ত্রিক উপায়ে আবদ্ধ করা যাইবে না, জরুরি প্রয়োজনের ব্যতিক্রম ব্যতীত, যে ক্ষেত্রে বিষয়টি অবিলম্বে সুপারিনটেন্ডেন্টকে জানাইতে হইবে।

জেল কোডের ৭০৮ বিধান অনুযায়ী জেলের মধ্যে কেউ অপরাধ করলে জেল সুপারিনটেন্ডেন্ট ১১ ধরনের লঘু ও ১১ ধরনের গুরুতর শাস্তি দিতে পারেন। গুরুতর শাস্তির মধ্যে রয়েছে সব বন্দি থেকে আলাদা করে কাউকে ৭ দিনের জন্য কোনো সেলে আটক রাখা, ৩০ দিনের জন্য ডান্ডাবেড়ি পরানো ইত্যাদি। অপরাধী সাব্যস্তকরণের কোনো সাবলীল নিয়ম নেই। কর্তার ইচ্ছায় এখানে কর্ম হয় বলে মনে করেন আইন সংশ্লিষ্টরা। সুপারিনটেন্ডেন্ট যাকে অপরাধী মনে করবেন, তিনিই অপরাধী হবেন। আবার জেলের মধ্যে হাজারো অপরাধ করলেও তিনি কিছু মনে না করলে অপরাধ হবে না। তবে জেল কোডের ৭০৮ বিধান অনুযায়ী বিচারাধীন আসামি বা রাজবন্দিদের এ ধরনের গুরুদণ্ড দেয়া যায় না বলে আইনসংশ্লিষ্টদের বিশ্লেষণ। কারণ ৭০৮ বিধানটি কেবল আদালতে সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু সংবিধান যেখানে মানুষকে নির্মম ও হিংস্র শাস্তিদানের বিপক্ষে সে ক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্যাটাগরির জেলবন্দিদের হাতকড়া এবং ডান্ডাবেড়ি পরানো সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী মনে করেন মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল। তিনি মানবজমিনকে বলেন, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ কারাবন্দিদের জন্য রাষ্ট্রের তরফ থেকে অনুসৃত যে ন্যূনতম নীতিমালা তৈরি করেছে সেখানকার ৩৩ অনুচ্ছেদে ডান্ডাবেড়ি পরানোকে অমানবিক বলা হয়েছে।

সম্প্রতি বন্দি বা গ্রেপ্তার আসামিদের বেআইনিভাবে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানোর চর্চা রোধ এবং এ বিষয়ে সুর্নিদিষ্ট নীতিমালা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে তিন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কারা মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। এদের একজন মো. আসাদ উদ্দিন। তিনি বলেন, বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশনের প্রবিধান ৩৩০-এ হাতকড়াসংক্রান্ত বিধান রয়েছে। সেখানে শুধু পালিয়ে যাওয়া রোধে যতটুকু প্রয়োজন, তার বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ নিষেধ করা হয়েছে। আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন আরও বলেন, যদি কোনো শক্তিশালী বন্দি সহিংস অপরাধে অভিযুক্ত হন বা কুখ্যাত হিসেবে পূর্বপরিচিত হন বা অসুবিধা সৃষ্টিতে উন্মুখ থাকেন বা রাস্তা দীর্ঘ হয় বা বন্দির সংখ্যা অনেক বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে হাতকড়া ব্যবহার করা যেতে পারে। হাতকড়া না থাকলে দড়ি বা কাপড় ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। প্রবিধানের কোথাও ডান্ডাবেড়ি ব্যবহারের কথা নেই।

মূলত ডান্ডাবেড়ির ব্যবহার কেবল জেলকোড ও কারা আইনের আওতাধীন। বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশন অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কেবল হাতকড়া ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, ডান্ডাবেড়ি নয়। ওই আইনজীবী আরও বলেন, দেশের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আইনানুযায়ী ব্যতীত ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির ক্ষতি করা নিষিদ্ধ। আরেক মানবাধিকার সংগঠন পপুলেশন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (পিডিও) প্রধান নির্বাহী এডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন মানবজমিনকে বলেন, জেল কোড অনুযায়ী, কোনো বন্দিকে বেড়ি পরানো যাবে না, যদি না সে উগ্র, ভয়ঙ্কর, পলায়নের চেষ্টাকারী বা পলায়নের প্রস্তুতি গ্রহণকারী না হয়। তবে কোনো বন্দি শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং কারাগারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করলে শর্ত সাপেক্ষে বেড়ি পরানোর ক্ষমতা জেল সুপারের আছে। কারা আইন ১৮৯৪-এর ৫৮ ধারায় বলা হয়েছে, প্রয়োজন ব্যতীত বন্দিদের জেলার কর্তৃক লৌহ-শৃঙ্খলে আটক রাখা যাবে না। তবে প্রয়োজন সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আইন জেলারকে এ ‘প্রয়োজন’ নির্ধারণের ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু এর পেছনে অবশ্যই যুক্তিসংগত কারণ থাকতে হবে। কেউ যদি কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া ‘মর্জিমাফিক’ কাজ করে জেল কোডের দোহাই দেন, সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এদিকে, গত বছরের নভেম্বর মাসে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর ডিএমপি’র প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে একটি চিঠি প্রেরণ করে। কারা সদর দপ্তরে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জেলখানা থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুতর অপরাধী এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি বা একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতে উপস্থাপনের সময় অবশ্যই জেল কোড অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় কোর্টে প্রেরণের নির্দেশনা ছিল। এ অবস্থায় জেলখানা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের কোর্টে প্রেরণের সময় জেলকোড অনুযায়ী অবশ্যই ডান্ডাবেড়ি পরানো এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজন ভ্যানে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।


https://mzamin.com/news.php?news=46174