১৯ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার, ১০:১৩

রাতে ছাত্রলীগের ২ গ্র“প ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ

চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়িতে আউটার স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্মাণাধীন সুইমিং পুল ঘেরাও নিয়ে বিকেলে সংঘর্ষের জেরে মঙ্গলবার রাতে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থিত ছাত্রলীগের সাথে নগর সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন সমর্থিত ছাত্রলীগের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় পকে নিবৃত্ত করতে পুলিশও তাদের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, সড়ক অবরোধ এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াসার মোড়ে লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারীরা মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবারও বিুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা ওই এলাকায় ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে দুই প মারামারি, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যাওয়া পুলিশের সঙ্গেও তাদের সঙ্ঘাত হয়েছে। প্রত্যদর্শীরা জানান, লালখান বাজারের ভেতর থেকে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। দা, কিরিচসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই গ্র“পে মারামারি শুরু করে। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ওয়াসার মোড় থেকে সরিয়ে দেয়। এসময় শরীফ নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। শরীফকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে জিইসি মোড়ে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় অন্তত ১০টি গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় জিইসি মোড়ে আতঙ্কে কিছুণের জন্য গাড়ি চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বাকলিয়ার কালামিয়া বাজার এলাকায় ছাত্রলীগের দু’গ্র“পে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। বহদ্দরহাট এলাকায় ছাত্রলীগের দু’গ্র“পে সংঘর্ষ হয়। সেখানে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে তারা। সেখানেও পুলিশের সাথে উভয় পরে মারামারি হয়।
ষোলশহরের হোটেল লর্ডস ইনের সামনে সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশও তাদের ধাওয়া দিয়ে সিএণ্ডবি কলোনির গলিতে (মামুন কমিশনারের গলি হিসেবে পরিচিত) ঢুকিয়ে দেয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগের দু’পরে মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে চেষ্টা চলাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/213259