১৯ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার, ৯:৪৬

পানি মাঙ্গা, লেকিন ইলেকট্রিসিটি মিলা...

|| ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী || প্রধানমন্ত্রী জানতেন, তিনি ভারতের সঙ্গে কী চুক্তি করতে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলে যখন দাবি উঠলো যে, এই চুক্তির বিবরণ আগেই প্রকাশ করা হোক, জনগণকে জানতে দেওয়া হোক, ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী কী কী চুক্তি করা হচ্ছে। তখন আওয়ামী লীগের নেতারা গলা ফুলিয়ে বলছিলেন যে, চুক্তির সব কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। কিন্তু সপ্তাহ তো গড়িয়ে গেল, সে চুক্তির বিবরণ আর প্রকাশ করা হলো না। সম্ভবত আর কোনোদিনই প্রকাশ করা হবে না। আর এসব থেকে জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে নেবার জন্য হেফাজতের সঙ্গে চুক্তি করে নতুন চমক সৃষ্টি করেছে সরকার। আলোচনা এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তির বদলে হেফাজতের সঙ্গে আঁতাতে গিয়ে ঠেকেছে। তবে আওয়ামী নেতারা ভুলেই গেছেন যে, তারা জনবিরোধী এমন এক আইন পাস করে রেখেছেন যে, কোনো দেশের সঙ্গে সম্পাদিত গোপন চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করা তো দূরের কথা, জাতীয় সংসদেও উত্থাপন না করার আইন তারাই পাস করে রেখেছেন। চুক্তির বিষয়ে শুধু অতি সংগোপনে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রী জানালেই যথেষ্ট। এ আইনের অর্থ হলো, প্রধানমন্ত্রী যে কোন চুক্তি করারও ক্ষমতা রাখেন। এখানে রাষ্ট্রপতিকে জানানোর কথা। তার সম্মতিরও দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবেই ধারণা করেছিলেন যে, ভারতের সঙ্গে এই ধরনের দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করলে তার বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া হতে বাধ্য। এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ৯২ শতাংশই মুসলমান। তাদের মধ্যে ভারতের এই জবরদস্তির বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া প্রতিবাদ হবে, সেটা কারও না বুঝার কথা নয়। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভারত সফরের আগে ও পরে মুসলমানদের নিয়ে কী খেলা খেলবেন, তা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। তারই অংশ হিসেবে ভারত সফরে যাওয়ার আগের দিন ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ২৫টি সড়ক বন্ধ করে দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের উলামা-মাশায়েখদের এক বিশাল সম্মেলনের আয়োজন করান সরকারি প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে দিয়ে। সেখানে ভাষণ দিতে নিয়ে আসেন সৌদি আরবের এক সিনিয়র ইমামকে। তাতে প্রধানমন্ত্রী নিজেও ভাষণ দেন। সেই সমাবেশে ইসলামের নামে ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়। 

এই সম্মেলন এমন এক সময় আয়োজন করা হয়, যার কয়েক দিন আগেই সিলেট ও মৌলবীবাজারে সন্ত্রাসী হামলায় বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সরকারি বাহিনী হামলায় তাতে চারজন শিশুও কিমা-করা মাংসে পরিণত হয়। অথচ সেখানে প্রকৃত পক্ষে কারা ছিল, তা আগে থেকে জানতো না সরকারি বাহিনী। তারা কেবল তথাকথিত ‘গোয়েন্দা সূত্র’ থেকে খবর পেয়েছিল যে, সেখানে জঙ্গি আছে। এই চারটি শিশুর একজনের বয়স ছিল মাত্র সাত মাস। দুজন ছিলেন মহিলা। তাদের একজন ছিলেন বয়োবৃদ্ধা। আর মাত্র একজন ছিলেন পুরুষ। সাংবাদিকদের সেখান থেকে এক-দেড় কিলোমিটারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কী ঘটেছিল, তার সবটাই ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বর্ণিত বিবরণের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ঘটনাস্থলের ২০০ গজের মধ্যে যেতে দেওয়া হয়েছিল সরকারি দলের সদস্যদের। সুইসাইডাল ভেস্ট-টেস্টের নানা গল্প আমরা শুনেছি। মিডিয়ায় দেখতে পাইনি। কিন্তু সাত মাসের শিশু, তিন বছর, সাত বছর, দশ বছরের শিশুর হিসাব মিলেনি। প্রথমে বলা হলো, তারাও নাকি সুইসাইডাল ভেস্ট পরেছিল। তারপর বলা হলো, না, দু’ পাশে দু’ জন সুইসাইডাল ভেস্ট পরে বাচ্চা চারটিকে বসিয়েছিল মাঝে। তারপর বিস্ফোরণ ঘটলে তারা মারা যায়। এতে মনে হয়, তারা সপরিবারে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। তাই যদি হয়, তা হলে এত নাটকের কি সত্যি কোনো দরকার ছিল? তারপরও প্রশ্ন, তারা জঙ্গি হলে এভাবে মরলো কেন? মিডিয়া কিছুই দেখতে পায়নি। জনগণও কিছু জানতে পারলো না। চার শিশু, দুই নারী ও এক পুরুষ গুলিতে বা বোমায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল।
এই ভিত্তিভূমির ওপর দাঁড়িয়ে ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তার চার দিনের দিল্লি সফর শুরু করলেন। শেখ হাসিনাকে তারা অভাবনীয় খাতির করলেন। তার থাকার ব্যবস্থা করা হলো প্রণব মুখার্জির রাষ্ট্রপতি ভবনে, কোনো হোটেল বা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে নয়। ভারতের চরম সাম্প্রদায়িক ও মুসলমানবিরোধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রটোকল ভেঙে শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে গিয়ে অভ্যর্থনা জানালেন। তখনই বুঝা গিয়েছিল, এই অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। বাংলাদেশের কপালে দুঃখ আছে। তবে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকা কোনো বিরল সম্মান নয়। নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা বালান ভান্ডারি এখন (১৭-২২ এপ্রিল) নয়াদিল্লি সফরে রয়েছেন। তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ভারতের শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কৃষ্ণরাজ। তবে তারও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। অবশ্য বাংলাদেশের কপালে কী জুটল, ৮ এপ্রিলই তার প্রমাণ পাওয়া গেল। ঐ দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিরক্ষার সহযোগিতার তিনটিসহ ২২ চুক্তি ও এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু যে বিষয়টা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগের ছিল, যার জন্য এ দেশের মানুষ অধিক আগ্রহী ছিল। সেই তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পুনরায় বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন। যদিও এ চুক্তির খসড়া ২০১১ সালে কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের আমলে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
এ ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির যুক্তি হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বাংলাদেশকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে রাজি নন। আর তাই তিনি তার ‘অত্যন্ত সদিচ্ছা’ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে পানি দিতে পারছেন না। এ যুক্তি কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের করা চুক্তি রাজ্য সরকারগুলো মানতে বাধ্য। ভারতীয় বিশ্লেষকরাই বলেছেন যে, মমতা ব্যানার্জী তার পশ্চিম বঙ্গের ভোটারদের এটাই বোঝাতে চাইছেন যে, তিনি পশ্চিম বঙ্গবাসীর স্বার্থকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তার কৌশলটা ছিল এই যে, এরপরেও যদি নরেন্দ্র মোদি সরকার বাংলাদেশকে পানি দেয়ার চুক্তি করে, তবে তিনি সব দোষ মোদির কাঁধে চাপিয়ে দেবেন। নিজে থাকবেন সাফফান সাফফা। ফলে পানি না পাওয়ার বিষয়টির জন্য মোদি সরকার বিশালভাবে দায়ী, মমতা ব্যানার্জী নন। নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনাকালে বলেন, বাংলাদেশের উন্নতিতে তিনি সব সময় পাশে আছেন। মোদি আরও বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। আমাদের সহযোগিতা যাতে সাধারণ মানুষের উপকারে আসে, তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ বহুল আলোচিত প্রতিরক্ষার রূপরেখা সম্পর্কিত স্মারক প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে আমরা দীর্ঘদিনের আলোচিত চুক্তি সম্পন্ন করেছি। বাংলাদেশের সমরাস্ত্র কেনাকাটার জন্য ৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করা হয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রাধিকার ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এই কেনাকাটা হবে।’ এই সমঝোতায় একদিকে ভারতের শৃঙ্খলে বাংলাদেশ যেমন আবদ্ধ হয়ে গেল, তেমনি বঞ্চিত হলো তিস্তার পানি থেকে। কিন্তু ৮ এপ্রিল ঐ বৈঠকের পরপরই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হলো খুলনা ও কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচল, খুলনা-কলকাতার বাস চলাচল এবং পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুর থেকে ট্রেনে করে বিরলে (দিনাজপুর) বাংলাদেশের জন্য ডিজেল পরিবহণের জন্য ব্যবস্থা। অর্থাৎ ভারত দিলো না কিছুই, নিয়ে নিলো আরও কিছু।
১০ই এপ্রিল ভারতীয় জনতা পার্টির থিংক ট্যাংক ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী আমাদের একেবারে তাক লাগিয়ে দিলেন। তার এত বাংলাপ্রীতির মধ্যেও বাংলা বা ইংরেজিতে নয়, হিন্দিতে তিনি অনেক কথা বললেন। বললেন, ‘মুঝে পাতা নেহি দিদিমনি কেয়া করেগি, দিদিমনি সাথ বাত হুয়ি। উনোনে নয়া কুচ দেখা দিয়া, লেকিন মোদিজি এসিউর কিয়া আব হাম বৈঠা হে দেখনে কে লিয়ে কেয়া হোতা হে। লেকিন দিদিমনি এক কাম কিয়া, হাম ইলেক্ট্রিসিটি দেয়েঙ্গে। পানি মাঙ্গা, লেকিন ইকেক্ট্রিসিটি মিলা, আচ্ছাই হে। কুছ তো মিল গিয়্যা।’ বাংলা ভাষায় এর অর্থ হলো, ‘আমি জানি না দিদিমনি কি করবেন। দিদিমনির সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি তো নতুন কিছু দেখিয়ে দিলেন। তবে মোদিজি আশ্বস্ত করেছেন। কি ঘটবে তা দেখার জন্য আমি বসে আছি। তবে দিদিমনি একটা কাজ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি বিদ্যুৎ দেব। পানি চেয়েছিলাম কিন্তু বিদ্যুৎ পেয়েছি। ভালোই তো হলো, কিছু তো পেলাম।’ যেন বাংলাদেশ ভিক্ষাপাত্র হাতে ভারতের কাছে পানি চাইতে গিয়েছিল। অথচ ভাটির দেশ হিসেবে অভিন্ন নদী তিস্তার পানিতে আমাদের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে, এটা ভিক্ষার ব্যাপার নয়। ২০১১ সাল পর্যন্তও আমরা তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার কিউসেক পর্যন্ত পানি পেয়েছি। তিস্তা আছে। পানি প্রবাহও আছে। তা হলে আমরা পানি পাব না কেন? বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্পধারার প্রধান বদরুদ্দৌজা চৌধুরী বলেছেন, ভারতে চাইলেন কামান, দিলো বিস্কুট ও ললিপপ।প্রধানমন্ত্রী পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, তিনি এতেই তৃপ্ত। ‘কুছ তো মিলা।’শেখ হাসিনা নিশ্চিত জানতেন যে, তার ভিক্ষা পাত্রে এই-ই জুটবে, এর অধিক কিছু নয়। কিন্তু চট করেই কথা ঘুরিয়েই তিনি বললেন যে, ভারতে তিনি কিছু চাইতে যাননি। ‘বন্ধুত্ব চাইতে গিয়েছিলাম বন্ধুত্ব পেয়েছি’। সাবাস!
তিনি আরও জানতেন ভারতের সঙ্গে এই রকম একটি শৃঙ্খল-আবদ্ধ হওয়ার চুক্তি বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে মুসলমানরা ভালো চোখে তো দেখবেই না, মেনেও নেবে না। আর তাই আগে থেকেই তিনি পরিকল্পনা করে গিয়েছিলেন যে, মুসলমানদের সবচাইতে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে তার কব্জা করা দরকার। যাতে তাদের তরফ থেকে প্রতিবাদের কোনো ঢেউ না ওঠে। সে কারণেই তিনি গত ১১ এপ্রিল রাতেই হেফাজতে ইসলামের প্রধান আল্লামা শাহ আহমেদ শফীর সঙ্গে কওমী মাদ্রাসার প্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে তিনি ইসলামের অনুকূলেই অনেক চমৎকার চমৎকার কথা বলেছেন। বলেছেন, সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবীর যে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে, তিনি নিজেও তার বিরোধী। এটা তিনি নিজেও পছন্দ করেননি। হেফাজত বলেছে এটা ইসলামবিরোধী। প্রধানমন্ত্রী মূর্তিটি সরানোর ব্যাপারে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন। একই সঙ্গে তিনি অবশ্য বলেন যে, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। তাতে আল্লামা শফীরা সন্তুষ্ট হয়েছেন কিনা বলতে পারি না, কিন্তু পহেলা বৈশাখে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করার কথা ছিল, সেটি বাতিল করে দেয়া হয়। পুলিশ বিকাল ৫টার মধ্যে বৈশাখী উৎসব সমাপ্ত করার নির্দেশ জারি করে। আর নাদান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা বাধ্যতামূলক করে দেন। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কোন অংশ সত্য? আল্লামা শফীর সঙ্গে আলোচনা করার এই অনুষ্ঠান যিনি উপস্থাপন করছিলেন তিনি বলছিলেন, ‘হাসিনা রাষ্ট্রের অভিভাবক আর আল্লামা শফী রাষ্ট্রের আধ্যাত্মিক প্রধান।’ এই আল্লামা শফীকেই আওয়ামী লীগ ‘তেতুল হুজুর’ বলে বিদ্রুপ করেছে। কিন্তু এখন তাকে আবার আপন করে নিয়েছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বরে আল্লামা শফীর মহাসমাবেশ রক্তাক্ত করে দিয়েছিল আওয়ামী সরকার। প্রাণহানি ঘটেছিল নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষদের। এখন ডিগ্রী প্রদানের ক্ষেত্রেও সরকার হেফাজতের দাবি মেনে নিয়েছে। ফলে হেফাজতেরই জয় হয়েছে। এতে শেখ হাসিনার কিছুই আসে যায় না। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে তিনি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে উপরোক্ত কার্যটি সম্পাদন করেছেন, হঠাৎ করেই কিছুই হয়নি।

http://www.dailysangram.com/post/280346-