হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা ২৩ এপ্রিল রোববার পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল ধর্মমন্ত্রী ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাথে বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের (হাব) এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঘোষণা অনুসারে গতকাল ছিল নিবন্ধনের শেষ দিন। তবে এ সময়ে হাব নিবন্ধন কার্যক্রম বর্জন করায় আবার এক সপ্তাহ সময় বাড়াল সরকার।
হজযাত্রী নিবন্ধনে গত ২৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত প্রথম দফা সময় দেয় সরকার। কিন্তু বিভিন্ন অভিযোগ এনে নিবন্ধন কার্যক্রম বর্জন করে হাব। এরপর ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ সময়ও নিবন্ধন করা থেকে বিরত থাকে বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকেরা। পরে গতকাল ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তৃতীয় দফা সময় বাড়ায় সরকার। এ সময় মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, কোনো অবস্থাতেই আর সময় বাড়ানো হবে না। বরং নিবন্ধন না করলে নির্ধারিত প্রাক-নিবন্ধিত ক্রমিক নম্বর ২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ সিরিয়ালের পর থেকে নিবন্ধন শুরু করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাবের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, তবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্তও নিবন্ধন চলবে। ২৩ এপ্রিলের সময়সীমার পর সরকারি কোটার যেগুলো বাকি থাকবে সেগুলো বেসরকারি এজেন্সিদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া হবে। ওই দুই দিন তাদের অধীনে নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া গত বছরের প্রাক-নিবন্ধিত ৩৭ হাজার হজযাত্রী যাচাই-বাছাই করে সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করে তা যেসব এজেন্সি এক শ’র নিচে হজযাত্রী পেয়েছে তাদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া হবে। এ ছাড়া সভায় হজযাত্রীর কোটা ৫০ হাজার বাড়ানোর দাবি জানায় হাব। এ বিষয়েও উদ্যোগ নেয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সৌদি সরকারের কাছে দুই-একদিনের মধ্যে চিঠি দেবেন বলে জানা যায়।
ধর্মমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ জলিল, হাবের সভাপতি মো: ইব্রাহিম বাহার, মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ, হাবের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমেদ, হাব নেতা আব্দুস ছোবহান ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
