১৬ এপ্রিল ২০১৭, রবিবার, ৮:২৭

পর্যবেক্ষক বসিয়েও ব্যাংকে অনিয়ম ঠেকানো যাচ্ছে না

মালিকদের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও রাজনৈতিক চাপের কারণে বিভিন্ন ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়েও অনিয়ম ঠেকাতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা আর অনিয়ম ঠেকাতে বিভিন্ন ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ১৩টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক রয়েছেন। ঋণ জালিয়াতি, পরিচালনা পর্ষদের দ্বন্দ্ব, দৈনন্দিন কার্যক্রমে মালিকপক্ষের অযাচিত হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন অনিয়ম ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংকে পর্যবেক্ষক দিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না। অধিকাংশ ব্যাংকের আর্থিক সূচকে উন্নতি নেই। সুশাসনেও ঘাটতি দূর হয়নি। মূলত পর্যবেক্ষকদের চোখে অনিয়ম ধরা পড়লেও রাজনৈতিক চাপে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নিতে না পারায় ব্যাংকগুলোতে 'পর্যবেক্ষকের ফল' আসছে না বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যবেক্ষক রয়েছেন এমন অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনায় যারা রয়েছেন তারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। পর্যবেক্ষকরা বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে রিপোর্ট করলেও নানামুখী চাপে অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। আবার অনেক সময় বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হলেও তারা তোয়াক্কা করেন না। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে বর্তমানে এনআরবি কমার্শিয়াল, ফারমার্স, ন্যাশনাল, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইসিবি ইসলামী এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক চলছে পর্যবেক্ষক দিয়ে। আর সরকারি

ব্যাংকগুলোর মধ্যে রাকাব ছাড়া অন্য সব ব্যাংকে এখন পর্যবেক্ষক রয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, কোনো ধরনের চাপের কাছে নতি শিকার না করে পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পর্যবেক্ষকরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ক্ষেত্রে যে রিপোর্ট করেন, সে আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আর ব্যবস্থা নিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম। ফলে শুধু পর্যবেক্ষক দিলেই হবে না; রিপোর্টের আলোকে শক্ত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা সমকালকে বলেন, ব্যাংকগুলোর মধ্যে যেখানে কমপ্লায়েন্সের ঘাটতি ছিল বা ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম দেখা যাচ্ছিল, সেখানে পর্যবেক্ষক দেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষক নিয়োগের ফলে কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি; তেমন না। তিনি বলেন, যখন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের সঙ্গে কেবল বর্তমানের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে উন্নতি-অবনতির বিষয়টি তুলনা করলে হবে না। এসব ব্যাংকে পর্যবেক্ষক না দিলে পরিস্থিতি কী হতো সেটা ভাবতে হবে।

কোন ব্যাংকের কী পরিস্থিতি :পরিচালনা পর্ষদের দ্বন্দ্ব, ঋণ বিতরণে অনিয়ম, আর্থিক ক্রমাবনতিসহ বিভিন্ন কারণে গত ২৯ ডিসেম্বর এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন না আসায় গত ২০ মার্চ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে কড়া ভাষায় নোটিশ দেওয়া হয়। তবে নোটিশের জবাব না দিয়ে এর বিরুদ্ধে আদালতে গেছেন তারা। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ফরাছত আলী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। এনআরবিসির খেলাপি ঋণ আগের বছরের ৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে গত বছর শেষে ১৯ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে মূলধন সংরক্ষণের হার কমে ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশে নেমেছে। আগের বছর যা ১৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ ছিল।

অনিয়ম রোধ ও আর্থিক পরিস্থিতির উন্নয়নে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংকে পর্যবেক্ষক দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে সরকারি হিসাব-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর। পর্যবেক্ষক নিয়োগের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা নির্দেশনা দিলেও তা অমান্য করে আসছিল ব্যাংকটি। কোনো অবস্থাতে অনিয়ম ঠেকাতে না পেরে গত জানুয়ারিতে এই ব্যাংকের ঋণ বিতরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অবশ্য পরে শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প পরিসরে ঋণ কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পায় ব্যাংকটি। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়ে ১৭১ কোটি হয়েছে। আগের বছর যা ৯ কোটি টাকা ছিল। মূলধন সংরক্ষণের হার আগের বছরের ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে কমে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশে নেমেছে।

২০১৪ সাল থেকে পর্যবেক্ষক রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকে। ব্যাংকটির আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। পর্যবেক্ষক বসানোর পরও চারজন এমডি মেয়াদ পূর্তি না করেই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ব্যাংকটির কর্তৃত্বে থাকা জয়নুল হক শিকদার অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে জানা যায়।

মালিকপক্ষের ঋণ জালিয়াতির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ২০০৪ সালে তৎকালীন ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের মালিকানায় পরিবর্তন আসে। বর্তমানে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছে মালয়েশিয়াভিত্তিক একটি শিল্প গ্রুপ। মালিকানা পরিবর্তনের পর থেকে পর্যবেক্ষক বসিয়ে চলছে এ ব্যাংক। তবে ব্যাংকটির পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বছরের পর বছর লোকসানে চলছে। ২০১৬ সালে ব্যাংকটি নিট ২৭ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। ব্যাংকটির ৮৯৯ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ঋণ রয়েছে ৯৩৩ কোটি টাকা। এই ঋণের বিপরীতে খেলাপি রয়েছে ৬৭২ কোটি টাকা, যা ৭২ শতাংশের বেশি। এর বাইরে মালিকানা পরিবর্তনের কারণে অনেক গ্রাহক এ ব্যাংকের কাছে টাকা পাবেন। ফলে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি বেড়ে এক হাজার ৪৫১ কোটি টাকায় উঠেছে।

ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে সরকারদলীয় এক মন্ত্রী জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ তোলার পর ২০১০ সালে ব্যাংকটিতে পর্যবেক্ষক দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও এমডিসহ নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। ব্যাংকটির মালিকানা বর্তমানে চট্রগ্রামভিত্তিক একটি শিল্প গ্রুপের হাতে।

বেসরকারি খাতে যাওয়া বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকেরও উল্লেখযোগ্য শেয়ার কিনে নিয়েছে চট্রগ্রামভিত্তিক ওই শিল্প গ্রুপটি। বেশ আগ থেকে এই ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটির মালিকানা পরিবর্তন এলেও আর্থিক সূচকে কোনো পরিবর্তন হয়নি। চারশ' কোটি টাকা মূলধন সংরক্ষণ প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে ব্যাংকটিতে মাত্র ৫৪ কোটি টাকার মূলধন রয়েছে। মোট ঋণের ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ এখন খেলাপি। আগের বছর শেষে খেলাপি ছিল ৩০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। যদিও আগের বছরের ১৭ লাখ টাকার লোকসান থেকে গত বছর আড়াই কোটি টাকা মুনাফা দেখানো হয়েছে।

সরকারি ব্যাংক :বছরের পর বছর ধরে চলা লুটপাট আর অনিয়ম বন্ধের লক্ষ্যে ২০০৪ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে প্রতি বছর সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ২০১৫ সালের নভেম্বরে একযোগে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসানো হয়েছে। এর পরও ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচকে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসেনি। বরং মূলধন ঘাটতি, খেলাপি ঋণসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে।

সবচেয়ে বেশি শাখা নিয়ে পরিচালিত সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখা আগের বছরের ১২৪টি থেকে বেড়ে ২০১৬ সালে ২৩৩টিতে গিয়ে ঠেকেছে। আগের বছর ৮৬২ কোটি টাকার নিট লোকসানের পর ২০১৬ সালে আরও ৮১৯ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। খেলাপি ঋণ ৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১০ হাজার ২২৯ কোটি টাকায় উঠেছে। মূলধন ঘাটতি রয়েছে তিন হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা।

জনতা ব্যাংকের ৪৮ শাখা লোকসান দিচ্ছে। আগের বছর লোকসানে ছিল ১৫টি শাখা। আগের বছর ৪৬২ কোটি টাকা মুনাফা করলেও ২০১৬ সালে তা ২৫১ কোটি টাকায় নেমেছে। খেলাপি ঋণ ২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোতে পর্যবেক্ষক বসানোর পর অনিয়মের দায়ে গত বছরের জুনে সৈয়দ আবদুুল হামিদকে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এর পরও ব্যাংকটির পরিস্থিতিতে উন্নতি হয়নি। লোকসানী শাখা আগের বছরের ৩৪টি থেকে বেড়ে গত ডিসেম্বর শেষে ৭৮টিতে দাঁড়িয়েছে। আগের বছর ৩৫১ কোটি টাকা মুনাফা করলেও এবার তা ৬০ কোটি টাকায় নেমেছে। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ এক হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। মূলধন সংরক্ষণের হার ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে কমে ১০ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমেছে।

রূপালী ব্যাংকের ২ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা এখন খেলাপি। আগের বছর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। লোকসানি শাখা ১০টি থেকে বেড়ে গত ডিসেম্বরে ৮৬টি হয়েছে। আগের বছর ৮৪ কোটি টাকা মুনাফা করলেও এবার লোকসান দিয়েছে ৫০ কোটি টাকা। আর মূলধন ঘাটতি আগের বছরের ২৪৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৭১৫ কোটি টাকা হয়েছে।

আবদুুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর লুটপাট ঠেকাতে ২০১৩ সালের নভেম্বরে বেসিক ব্যাংকের পর্ষদে পর্যবেক্ষক দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়োগ দেওয়া পর্যবেক্ষকের সামনেই ব্যাপক লুটপাট হয়। পরে অবশ্য বিভিন্ন পক্ষের চাপে পদত্যাগে বাধ্য হন বাচ্চু। ভেঙে দেওয়া হয় তার নেতৃত্বাধীন পর্ষদ। নতুন পর্ষদ আসার পর বড় কোনো অনিয়মের ঘটনা না শোনা গেলেও ব্যাংকটিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং হিসাবায়নে জোড়াতালি আর ফাঁকির মধ্য দিয়ে চলছে বেসিক ব্যাংক। ব্যাংকটিতে ২ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি এবং সাত হাজার ২২৯ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে। এর পরও অবিশ্বাস্যভাবে আড়াই কোটি টাকার নিট মুনাফা দেখিয়ে আলোচনায় আছে ব্যাংকটি।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চার হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশের বেশি ঋণ এখন খেলাপি। এক বছর আগে যা ছিল ২৪ শতাংশ। আগের বছরের ৬ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা থেকে মূলধন ঘাটতি বেড়ে ৭ হাজার ৮৩ কোটি টাকায় উঠেছে। এসব কারণে ব্যাংকটির নিট লোকসান বেড়ে ৩৮৮ কোটি টাকা হয়েছে। ২০১৫ সালে ব্যাংকটির লোকসান হয় ১৫৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ৭৩০ কোটি টাকা বা মোট ঋণের অর্ধেকই এখন খেলাপি। এক বছর আগে ৪৩ দশমিক ১৮ শতাংশ ঋণ খেলাপি ছিল। যদিও আগের বছরের মতোই ব্যাংকটির ৭৬১ কোটি টাকার মূলধন উদ্বৃত্ত রয়েছে। তবে আগের বছর ৭৮ কোটি টাকা নিট মুনাফা করলেও এবার ৪৪ কোটি টাকায় নেমেছে।


http://bangla.samakal.net/2017/04/16/285422#sthash.nn7qCbaq.dpuf