১৩ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১১:১৮

চাঁদার দাবিতে প্রধান শিক্ষকের নাক ফাটালেন আ’লীগ নেতা

পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বড়দিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বি এম কামরুজ্জামানকে (৫২) কিল-ঘুষি মেরে আহত করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক প্রধান শিক্ষকের চোখ, মুখ ও কলাপে কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষক মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানকে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতির আশঙ্কায় সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাক কোটাকোল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রধান শিক্ষক এ বি এম কামরুজ্জামান জানান, গতকাল সকালে শিক্ষক মিলনায়তনে এসে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে নামে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আবদুর রাজ্জাক তার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেন। কামরুজ্জামানের বাড়ি নড়াগাতির চোরখালী এবং আবদুর রাজ্জাক বাড়ি লোহাগড়ার কোটাকোল ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামে।

এ দিকে অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাক মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কাছে ৩০০ টাকা দাবি করলে এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি (প্রধান শিক্ষক)। বিষয়টি জানার পর আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে টাকা দিতে অনুরোধ করি। তবে, প্রধান শিক্ষককে মারধর করা হয়নি বলে দাবি করেছেন আবদুর রাজ্জাক। লোহাগড়া থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/211877