১২ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার, ১০:৪৮

সময় বাড়তে পারে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত

হজযাত্রী নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা কাটেনি

হজযাত্রী নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা কাটেনি। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব নেতাদের সাথে বৈঠকের পরও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি সরকার। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিতদের আগামী ১৫ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আর বেসরকারিভাবে প্রাক-নিবন্ধিতদের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে মন্ত্রণালয়। তবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
প্রথম দফায় ২৮ থেকে ৩০ মার্চ এবং পরে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় ধার্য করেছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু হাব এ নিবন্ধন কার্যক্রম বর্জন করে। এতে খুব অল্পসংখ্যক হজ এজেন্সি তিন শতাধিক হজযাত্রীর নিবন্ধন করেন। আর বেশির ভাগই থেকে যায় অনিবন্ধিত। এ অবস্থায় প্রাক-নিবন্ধনের জটিলতা নিরসন এবং নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানায় হাব। বিষয়টি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ধর্মমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন হাব সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাহার, সহসভাপতি ফরিদ আহম্মেদ মজুমদার ও মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ। সেখানে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। কারণ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের প থেকে বলা হয়, নিবন্ধনের জন্য সৌদি কর্তৃপরে দেয়া সময়সীমা রয়েছে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে প্রাক-নিবন্ধন জটিলতার বিষয়ে হাব ও ধর্ম মন্ত্রণালয় একমত না হওয়ায় মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের সাথে আবারো বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রাক-নিবন্ধন জটিলতার সমাধানসহ নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
এ দিকে গতকাল সন্ধ্যায় হাবের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠক থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অফিসার্স কাবে হাবের বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
হাবের সভাপতি ইব্রাহীম বাহার নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা ইজিএমের মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধনের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৈঠকে আমরা প্রস্তাব করেছি, প্রথমত এবারের হজযাত্রীদের কোটা বৃদ্ধি করতে হবে। আর দ্বিতীয়ত প্রাপ্ত কোটা এজেন্সিদের মধ্যে সমহারে বণ্টন করে দিতে হবে। অথবা টাকা জমা দেয়ার সময় অনুযায়ী সিরিয়াল নাম্বার দেয়ার জন্য প্রস্তাব করেছি। আর এ বিষয়ে বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার সরকারের সাথে আবার বৈঠক হবে। এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও তিনি জানান।
হাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা চাচ্ছি একটি স্থায়ী সমাধান। পাকিস্তানে হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ৯০ হাজার। এ জন্য ওআইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনসংখ্যার অনুপাতে আমাদেরও কোটা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, এ বছরই ২০১৮ সালের হজের জন্য ৭০ হাজার হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন করা হয়ে গেছে। তাহলে আর আমরা অফিস নিয়ে বসে থেকে কী করব? এ জন্য এসব বিষয়ে সমাধানের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ সাধারণ সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারকে জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হাবের মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ গতকাল সন্ধ্যায় নয়া দিগন্তকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সভায় বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধনের জন্য ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানোর বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের সমবণ্টন নিয়েও মন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/211601