৬ আগস্ট ২০২১, শুক্রবার, ১২:১৯

রেকর্ড ২৬৪ জনের মৃত্যু

জুলাইয়ে আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশই ডেল্টার শিকার

বাংলাদেশের করোনার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাসটি ছিল গত জুলাই মাস। এ মাসে মারা যান ছয় হাজার ১৮২ জন, যা ছিল আগের ছয় মাসের মৃত্যুসংখ্যার প্রায় সমান ছিল। আক্রান্তও ছিল অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। এ মাসে তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সময়ের হিসাবে জুলাইয়ে প্রতি ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৫২ জন আর মারা গেছে আটজন। আশঙ্কাজনক এসব পরিসংখ্যানের মধ্যেই গতকাল প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জুলাইয়ে যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ৯৮ শতাংশই ছিল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের শিকার; যা খুবই সংক্রামক হিসেবে এরই মধ্যে বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একই দিনে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে গত জুলাই মাসে যারা করোনার আক্রান্ত হয়েছে তাদের করোনাভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে ৯৮ শতাংশের ক্ষেত্রেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। কোভিডে আক্রান্ত ৩০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ ফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা: মিল্টন হলে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফল প্রকাশের সময় এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি এবং এ গবেষণার পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ডা: মো: শারফুদ্দিন আহমেদ। চলতি বছরের ২৯ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ৩০০ নমুনার জিন বিন্যাস বিশ্লেষণ করে তারা দেখেছেন, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, যা প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ভারতে। এ ছাড়া ১ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম পাওয়া বেটা ভ্যারিয়েন্টে। যদিও গবেষণার প্রথম ১৫ দিনে এ সংখ্যা ছিল ৩ শতাংশ। একজন রোগীর ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে মরিশাস ভ্যারিয়েন্ট অথবা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট (তদন্তাধীন ভ্যারিয়েন্ট)। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে উদ্ভূত আলফা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হার বেশি ছিল। পরে ২০২১ সালের মার্চের তথ্যে সাউথ আফ্রিকায় পাওয়া বেটা ভ্যারিয়েন্টের দাপট দেখা যায়।
গবেষকরা জানান, তথ্য বিশ্লেষণের জন্য দেশের সব বিভাগের রিপ্রেজেন্টেটিভ স্যাম্পলিং করেন তারা। মোট ৩০০ কোভিড পজিটিভ রোগীর ন্যাজোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ পুরুষ, যাদের বয়স ৯ মাস থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছিল। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি। তিনি বলেন, যেহেতু কোনো বয়সসীমাই কোভিড-১৯ এর জন্য ইমিউন করছে না, সে হিসাবে শিশুদের মধ্যেও কোভিড সংক্রমণের ‘ঝুঁকি নেই’Ñ এমনটি বলা যাচ্ছে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো ‘কো-মরবিডিটি’ রয়েছে, তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি বলে। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব বয়সী রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সে ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকছে। তিনি বলেন, এ গবেষণায় টিকার কার্যকারিতার বিষয়টিও দেখা হচ্ছে, সে কাজ চলমান রয়েছে।
এ গবেষণার নেতৃত্ব দেন বিএসএমএমইউর জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ডা: লায়লা আনজুমান বানু। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইদুর রহমান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক অধ্যাপক এ কে এম মোশারফ হোসেন তার সাথে ছিলেন। কোভিড-১৯ এর জিনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনোমের সাথে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশে কোভিড-১৯ জিনোম ডাটাবেজ তৈরি করাই এ গবেষণার লক্ষ্য।
রেকর্ড ভেঙে এক দিনে ২৬৪ জনের মৃত্যু : এ দিকে সব রেকর্ড ভেঙে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ২৬৪ জন। এটি এখন পর্যন্ত দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে গত ২৭ জুলাই সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ২৫৮ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ২১ হাজার ৯০২ জন। গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬৪ জন। গতকাল তার সাথে আরো ২০০ যুক্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৪৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জন। এ দিন সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৮৬ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরো জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ২৭ দশমিক ১২ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৮৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১৪০ জন পুরুষ ও নারী ১২৪ জন। এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৬৮৪ জন পুরুষ এবং সাত হাজার ২১৮ জন নারী মারা গেছেন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৯১-১০০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৭৪ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৫৯ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৩১ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ১-২০ বছরের মধ্যে দু’জন মারা গেছেন।
অন্য দিকে বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বরাবরের মতোই ঢাকা বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ বিভাগে মারা গেছেন ৮৭ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৬ জন, রাজশাহীতে ১৯ জন, খুলনায় ৩৫ জন, বরিশালে ১৬ জন, সিলেটে ২৩ জন, রংপুরে ১৮ জন এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
ময়মনসিংহ মেডিক্যালে শয্যা খালি নেই
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন আর কোনো শয্যা খালি নেই। ২১০ শয্যার করোনা ইউনিটে রোগী বাড়ার সাথে সাথে শয্যা বাড়ানো হলেও এখন কোনো শয্যা বাড়ানো সম্ভব না হওয়ায় করোনা ইউনিটের প্রধান ফটকে কর্তৃপক্ষ শয্যা খালি নেই বলে নোটিশ টানিয়েছে। এমনকি ফ্লোরে পর্যন্ত রোগী রাখার মতো অবস্থা নেই। ন্যূনতম চিকিৎসা ও অক্সিজেন দিতেও কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছেন। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছেন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগ থেকেও রোগীরা এখানে ভর্তির জন্য ছুটে আসছেন। ফলে হাসপাতালের ওপর অস্বাভাবিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সুনিশ্চিত করা দুরূহ হয়ে পড়ছে।
এ দিকে করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা: মহিউদ্দিন খান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে আরো ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ময়মনসিংহে ১৪ জন, জামালপুরের তিনজন, নেত্রকোনার একজন, টাঙ্গাইলের দু’জন ও কিশোরগঞ্জের একজন রয়েছে। একই সময়ে ময়মনসিংহ জেলায় এক হাজার ৫৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২১ শতাংশ।
রামেক হাসপাতালে মারা গেল ১৭ জন
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, করোনাভাইরাস ও করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ছয়জন। আর আটজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। মৃত ১৭ জনের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনজন, নাটোরের চারজন, নওগাঁর একজন, কুষ্টিয়ার একজন ছিলেন ও পাবনার তিনজন রোগী ছিলেন। এর মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও আটজন নারী। এ দিকে রাজশাহীর দুই ল্যাবে মোট ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৮ জনের করোনা পজিটিভ ফল এসেছে। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রংপুর বিভাগে ৯৯৬ জনের মৃত্যু
রংপুর অফিস জানায়, রংপুর বিভাগে করোনার মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯৬-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের ছয় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১৮ জন। এদের মধ্যে রংপুরে সাত, দিনাজপুর চার, ঠাকুরগাঁওয়ে তিনজন, পঞ্চগড়ে দুই এবং লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় একজন করে রয়েছেন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫০২ জন। আক্রান্তের হার ৩০ দশমিক ৪৪ ভাগ। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা: মোতাহারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
চট্টগ্রামে এক দিনে ৩৬ শতাংশের বেশি পজিটিভ
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৯৭ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে এক হাজার ১১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৬ শতাংশের বেশি। একই সময়ে মারা গেছেন ৯ জন করোনা রোগী। চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ১৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্য দিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৮৭ হাজার ৫৪৬ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য জানায়।
বগুড়ায় শনাক্ত কমছেই না
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে আরো ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জনের করোনা পজিটিভ ছিল। অন্যরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরো ১০৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন গতকাল বৃহস্পতিবার অনলাইনে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
বরিশালে এক দিনে সর্বোচ্চ ৩২ জনের মৃত্যু
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে সর্বোচ্চ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ১৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৭ জন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১৪ জনে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৮ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৯৯৮ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ১৭০ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা: বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরায় বেড়েছে সংক্রমণের হার
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিন নারীসহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় গত বুধবার পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৫ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ৫৬৫ জন। এ দিকে সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ৩১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ও জেলা করোনা-বিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা: জয়ন্ত কুমার এসব তথ্য জানান।
পাবনায় ৮ জনের মৃত্যু
পাবনা সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একই সময়ে ১০৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সোহেল রানা এ তথ্য জানান।
নোয়াখালীতে ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৩৬
নোয়াখালী অফিস জানায়, নোয়াখালীতে গত কয়েক দিনে করোনা আক্রান্তের হার বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/599597/