১২ জুলাই ২০২১, সোমবার, ৮:১২

ব্যাংক খাতে সাধারণ মানুষের স্বার্থ

চলমান কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার দিন কয়েক আগের কথা। এক পরিচিতজন খুবই হতাশার সঙ্গে জানালেন, একই ব্যাংকের তিনটি পৃথক শাখায় গিয়েও তিনি মাত্র ৩০ হাজার টাকা ওঠাতে পারেননি। এলিফ্যান্ট রোড থেকে ধানমন্ডি চার নম্বর ঘুরে তিনি গিয়েছিলেন পান্থপথ শাখায়। প্রতিটি শাখায় ঢোকার জন্য তাকে গড়ে ২৫ মিনিট পর্যন্ত ‘সামাজিক দূরত্বের’ লাইনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। নাম করা বেসরকারি ব্যাংকটির নারী অফিসাররা বিনয়ের সঙ্গে জানিয়েছেন, একজন মাত্র গ্রাহককে দেয়ার মতো ‘এত বেশি টাকা’ তাদের ‘ক্যাশে’ নেই! পরিমাণ কিছু কম হলে তারা ‘ব্যবস্থা’ করতে পারেন। কতটা ‘কম’ জানতে চাইলে সর্বশেষ অর্থাৎ পান্থপথ শাখার একজন অফিসার বলেছেন, তার পক্ষে দশ হাজার টাকার বেশি দেয়া সম্ভব নয়! অগত্যা আমার ওই পরিচিতজন চেকে কাটাকাটি করে দশ হাজার টাকা নিয়েই বাসায় ফিরেছেন।

অন্য কোনো ব্যাংকে কেন যাননি- এমন জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে তার বাসায় ফিরে যাওয়ার তাগিদ ছিল। তিনি আরো জানিয়েছেন, সব সময় যেহেতু এটিএম বুথ থেকে কার্ড দিয়ে টাকা ওঠানোর অভ্যাস, সে কারণে অন্য কোনো ব্যাংকের চেক বই তার সঙ্গে ছিল না। উল্লেখ্য, আমার ওই পরিচিতজন বহু বছর ধরে প্রধানত এটিএম বুথ থেকেই টাকা উঠিয়ে থাকেন। কিন্তু বুথগুলোতেও আজকাল ‘নেটওয়ার্ক সমস্যা’ নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে!

করোনার মধ্যে এভাবে নিবন্ধের শুরু করার পেছনে বিশেষ কারণ রয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে খেলাপি ঋণ এবং ঋণখেলাপিদের পাশাপাশি দেশের ব্যাংক খাত সম্পর্কেও নিয়মিতভাবে আলোচনা চলছে। যেমন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এক রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, সে বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২২ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল এক লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। অথচ ২০১৮ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৯৯ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছিল ১৬ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা।

এমন অবস্থার মধ্যেও টাকা আদায়ের পরিবর্তে সরকারের দিক থেকে ঋণখেলাপিদের জন্য ‘বিশেষ সুবিধা’ দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। গণমাধ্যমের রিপোর্টে জানা গেছে, প্রথম সুবিধা হিসেবে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। দ্বিতীয় সুবিধা হিসেবে ছিল মোট ঋণের মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট বা এককালীন জমা দিয়ে পরবর্তী ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিলীকরণের ব্যবস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করেছিল ২০১৯ সালের ১৬ মে। এই ব্যবস্থায় ঋণখেলাপি ব্যক্তিরা যে শুধু ১০ বছরের বাড়তি সুবিধা পাবেন তা-ই নয়, কোনো ব্যাংক তাদের কাছ থেকে ৯ শতাংশের বেশি হারে সুদও আদায় করতে পারবে না। তাছাড়া ব্যাংকগুলো চাইলে পুনঃতফসিলীকরণের আগে সুদ মওকুফ করতে পারবে।

ঘটনাপ্রবাহে সুদ এবং সুদের হার এসেছিল বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে। এর কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সুদের হার একক সংখ্যায় বা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার জন্য সরকার এমন কিছু নির্দেশনা জারি ও কার্যকর করেছিল, যেগুলোর ফলে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা নন, লাভবান হয়েছেন ব্যাংক মালিকরা। অন্যদিকে লোকসানের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ গ্রাহক বা আমানতকারীরা। কারণ, শিল্প-বাণিজ্যের ঋণের বিপরীতে সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয়ী আমানতের বিপরীতে সুদের হারই শুধু ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়নি, এ ব্যাপারে নিজেদের লাভ ও সুবিধার জন্য ব্যাংকগুলোকে স্বাধীনতাও দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, যে কোনো ব্যাংক চাইলে আমানতকারীদের সুদের হার আরো কমাতে পারবে।

বাস্তবে সুদের হার যথেচ্ছভাবে কমিয়েছেও ব্যাংকগুলো। সব ব্যাংকই এখনও যার যার লাভ ও সুবিধার জন্য সুদের হার নির্ধারণ ও পরিবর্তন করে চলেছে। এর ফলে আমানতকারীরা ব্যাংকে টাকা রাখার ব্যাপারে আগ্রহ তো হারিয়েছেনই, তারা সেই সাথে নিজেদের গচ্ছিত অর্থও উঠিয়ে নিতে শুরু করেছেন। এ অবস্থার কারণেই ব্যাংকগুলো তারল্য তথা নগদ অর্থের সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। এ প্রসঙ্গে আমার ওই পরিচিতজনের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করা যেতে পারে- মাত্র ৩০ হাজার টাকার জন্য তিনটি এলাকায় যাকে রীতিমতো ‘ভ্রমণ’ করতে হয়েছে!

কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো, ব্যাংকগুলো সংকটের মুখে পড়ে বিপন্ন হলেও ব্যাংকের মালিকরা কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না। তারা বরং লাভবান হচ্ছেন, সর্বতোভাবে সুবিধাও ভোগ করছেন। কিছুদিন আগে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের এক কর্মশালায় অর্থনীতিবিদসহ বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, ব্যাংক ব্যবসায় সাধারণভাবে লাভ বহুগুণ কমলেও ব্যাংক মালিকরা অন্য ব্যাংকগুলো থেকে যথেচ্ছ পরিমাণে ঋণ নিয়ে লাভজনক অবস্থায় রয়েছেন। কারণ, এক ব্যাংকের মালিক ঋণ নিচ্ছেন অন্য ব্যাংকগুলো থেকে এবং কোনো মালিককেই তার নেয়া ঋণের অর্থ ফেরৎ দিতে হচ্ছে না। সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকও তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সাধারণত নেয়ও না। এর ফলে পুরনোদের পাশাপাশি নতুন অনেকেও ব্যাংকের মালিক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কারণ, ব্যাংকের মালিক হতে পারলেই যে কেউ ‘লাল’ হয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন- আঙুল কিভাবে ফুলে ‘কলাগাছ’ হয়ে থাকে!

ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের ওই কর্মশালায় উদ্বেগজনক অন্য কিছু তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে। এরকম একটি প্রধান তথ্য হলো, চলতি অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে সরকার যে ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছে তার জন্য ৯ শতাংশ নয়, ব্যাংকগুলোকে সরকার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সুদ দেবে!
এদিকে সরকার বেশি হারে সুদ দেবে বলে ব্যাংকগুলোও সরকারকে ঋণ দেয়ার ব্যাপারেই বেশি আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে। ফলে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা। তারা আসলে ঋণ পাচ্ছেন না বললেই চলে। ওদিকে রয়েছেন সাধারণ আমানতকারীরা, যাদের সুদের হার ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে। এমন অবস্থায় সমগ্র ব্যাংক খাতেই তীব্র সংকট অনিবার্য হয়ে উঠছে, উঠতে থাকবেও। এজন্যই উদ্বিগ্ন বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, এভাবে চললে চাঙ্গা হওয়ার পরিবর্তে গোটা দেশের অর্থনীতিই মহা সংকটের মুখে পড়বে। এর সঙ্গে করোনা যুক্ত হবে সর্বনাশের বিশেষ কারণ হিসেবে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, জাতীয় অর্থনীতির জন্য এমন অবস্থা ধ্বংসাত্মক হতে বাধ্য। সরকার নিজেই অনেক বেশি পরিমাণে ঋণ নেয়ার ফলে এরই মধ্যে দেশের ব্যাংক খাত কঠিন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৫০ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। এটা ২০১৯-২০ অর্থবছরের পুরো সময়ের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চাইতেও তিন হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ ওই অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে যে পরিমাণ ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা ছিল সাড়ে পাঁচ মাস বাকি থাকতেই সরকার সে পরিমাণের চাইতে তিন হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা বেশি ঋণ নিয়ে ফেলেছিল। দু’বছর পর চলতি অর্থবছরেও ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি পরিমাণ ঋণই নেয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে- যদিও সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে জানার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

এভাবে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেয়া সম্পর্কিত তথ্য ও সম্ভাবনা নিঃসন্দেহে গুরুতর এবং অত্যন্ত ভীতিকর। কারণ, এর ফলে তারল্য সংকটে পড়ে ব্যাংকগুলোকে নগদ অর্থের তীব্র সংকটের সম্মুখীন হতে হবে এবং কোনো ব্যাংক চাইলেও তার পক্ষে বেসরকারি খাতের জন্য ঋণ দেয়া সম্ভব হবে না। এসব কারণেই বিশেষজ্ঞরা ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়া বন্ধ করার এবং কমিয়ে আনার জন্য সরকারকে পরামর্শ ও তাগিদ দিয়েছেন।

অর্থনীতিবিদসহ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের উচিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের আড়ালে ব্যয়বহুল প্রকল্পের সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং এমন সব উৎপাদনমুখী খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, যেগুলোর মাধ্যমে একদিকে দেশে শিল্পায়ন হবে এবং অন্যদিকে বেকারদের জন্য সৃষ্টি হবে চাকরির সুযোগ। বলা দরকার, সরকার নিজেই যদি ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে সংকটের মুখে ঠেলে দেয় তাহলে দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়বে। তেমন অবস্থায় উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে না। এজন্যই সরকারকে ঋণ নেয়া কমাতে হবে এবং বেসরকারি খাতের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের আমানতকারীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সুদের হার নির্ধারণের ব্যাপারে বিকল্প সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করতে হবে। না হলে দেশের অর্থনীতি একেবারে স্থবির হয়ে পড়বে এবং উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি ঘটবে কেবলই কাগজেপত্রে।

প্রসঙ্গক্রমে সাধারণ মানুষের দুরবস্থা ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বলা দরকার। গণমাধ্যমের বিভিন্ন রিপোর্টে জানা গেছে, সরকার সঞ্চয় ও আমানতে সুদের হার অনেক কমিয়ে দেয়ায় বিপদে পড়েছেন বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা, এতদিন যারা ব্যাংকে জমানো অর্থের বিনিময়ে প্রাপ্ত মুনাফার টাকার ওপর নির্ভরশীল থেকেছেন। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানানো হয়েছে, নিকট অতীতেও যেখানে ১০ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যেতো, সেখানে সরকারের ‘নয়-ছয়’ সিদ্ধান্তের কারণে সুদের হার নেমে এসেছে মাত্র ছয় শতাংশে। এখানেও শেষ নয়। একই সঙ্গে আবার নানা নামে শুল্ক কেটে রাখারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে এফডিআর বা মেয়াদী আমানতে জমা রেখেও লাভবান হতে পারছেন না গ্রাহকরা।

এমন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই সঞ্চয়ের বিকল্প নিয়ে ভাবনার কথা প্রাধান্যে এসেছে। স্থায়ী আমানতের একটি বিকল্প হিসেবে সঞ্চয়ী হিসাব বা সেভিংস অ্যাকাউন্টের কথা বলা হলেও এর নেতিবাচক বিভিন্ন দিক সম্পর্কেও তথ্য রয়েছে প্রকাশিত রিপোর্টে। দেখা গেছে, স্থায়ী আমানতের বিপরীতে যেখানে ৬ শতাংশ হারে সুদ বা মুনাফা দেয়া হয়, সেখানে সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য ব্যাংক ভেদে মুনাফার হার মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ। কিন্তু সঞ্চয়ী হিসাবের অর্থ যেহেতু মাঝে-মধ্যে জমা দেয়ার পাশাপাশি উত্তোলনও করা হয় সেহেতু ব্যাংকগুলো সার্ভিস বা সেবার জন্য পৃথক মাশুল কেটে রাখে। ফলে অনেক আমানতকারী বছরশেষে এমনকি তার আসল টাকারও হদিস পান না। মুনাফার সব অর্থই ব্যাংকগুলো বিভিন্ন সেবার নামে কেটে নেয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেবার নামে দেশি ও বিদেশি ব্যাংকগুলো আসলে আমানতকারীদের সঙ্গে চাতুরিপূর্ণ প্রতারণা করছে। একই কারণে সরকারের উচিত এমন ব্যবস্থা নেয়া, আমানতকারী সাধারণ মানুষকে যাতে বিপন্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত না হতে হয়। এ উদ্দেশ্যে মুনাফার হার যেমন বাড়ানো দরকার, তেমনি দরকার আবগারি শুল্ক ও উৎস কর ধরনের বাড়তি ব্যয়ের কবল থেকে আমানতকারী তথা গ্রাহকদের নিষ্কৃতি দেয়া। এমন আয়োজন নিশ্চিত করা উচিত, যাতে আমানতকারীদের আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার না হতে হয় এবং যাতে মুনাফার ব্যাপারে আমানতকারীরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

বলা দরকার, আইন সংশোধন করার এবং সুদের হার বাড়ানোর মতো ব্যবস্থা নেয়া হলে মধ্যবিত্তসহ সাধারণ মানুষ আবারও ব্যাংকমুখী হবেন। এর ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট যেমন কাটিয়ে ওঠা যাবে তেমনি গতিশীল হবে জাতীয় অর্থনীতিও।

https://dailysangram.com/post/458355