৯ জুলাই ২০২১, শুক্রবার, ৭:২৬

সরকারি ব্যাংককে ৬৭,৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে শিল্প-ট্রেজারি বন্ডে

চলতি অর্থবছরে সরকারি ছয় ব্যাংককে শিল্প ও ট্রেজারি বন্ডে বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। এই বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেশির ভাগই বিনিয়োগ করতে হবে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাথে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)-এর আওতায় এসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই ঋণের মধ্যে সোনালী ব্যাংককে ২৫ হাজার কোটি টাকা, জনতা ব্যাংককে ১৮ হাজার কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংককে ১৫ হাজার কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংককে পাঁচ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংককে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা ও বিডিবিএলকে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে এই ব্যাংকগুলো এই খাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল বলে জানা যায়।

এই বিনিয়োগের বাইরে আরো তিনটি খাতে এই ব্যাংকগুলোকে মোট ২০ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের টার্গেট দেয়া হয়েছে। এই খাতগুলো হচ্ছে কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ও প্রণোদনা ঋণ।

সূত্রমতে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে মোট দুই হাজার ৫২৫ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করতে হবে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংককে ৬০০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংককে ৭৫০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংককে ৬৮০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংককে ৪০০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংককে ৮০ কোটি টাকা ও বিডিবিএলকে ১৫ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করতে হবে।
অন্য দিকে ছয় ব্যাংককে মোট কৃষিঋণ আদায় করতে হবে এক হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংককে ৪৫০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংককে ৪০০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংককে ৮০ কোটি টাকা ও বিডিবিএলকে আট কোটি টাকা কৃষিঋণ আদায় করতে হবে।

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে এসএমই খাতে মোট ১২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করতে হবে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংককে এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংককে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংককে চার হাজার ২০০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংককে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংককে এক হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ও বিডিবিএলকে ১০০ কোটি টাকা এসএমই ঋণ বিতরণ করতে হবে। অন্য দিকে ছয় ব্যাংককে মোট এসএমই ঋণ আদায় করতে হবে সাত হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংককে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংককে দুই হাজার কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংককে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংককে ৬৫০ কোটি টাকা; বেসিক ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকা ও বিডিবিএলকে ৫০ কোটি টাকা এসএমই ঋণ আদায় করতে হবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতে বিশেষ চলতি মূলধন ঋণ (প্রণোদনা ঋণ) হিসেবে মোট চার হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করতে হবে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংককে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংককে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংককে ৯০০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংককে ১ হাজার কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংককে ১২০ কোটি টাকা ও বিডিবিএলকে ৪০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ বিতরণ করতে হবে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/593696