করোনা আক্রান্ত রোগীকে অক্সিজেন লাগিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হচ্ছে : নয়া দিগন্ত
৯ জুলাই ২০২১, শুক্রবার, ৭:২৩

সংক্রমণে রেকর্ড, দুই দিনের গড় মৃত্যু ২০০

টানা তিন দিন ১১ হাজারের বেশি শনাক্ত; মৃত্যুর শীর্ষে ঢাকা বিভাগ

করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে বাংলাদেশে। গতকাল করোনায় মৃত্যু আগের দিনের চেয়ে দুইজন কমলেও শনাক্তে হয়েছে নতুন রেকর্ড। এ ছাড়া করোনার মৃত্যুর দিক দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী বিভাগগুলো এগিয়ে থাকলেও গতকাল মৃত্যুতে শীর্ষে ছিল ঢাকা বিভাগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে আবারো সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৫১ জন, যা এক দিনের হিসাবে সর্বোচ্চ। এর আগে গত মঙ্গলবার সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ৫২৫ জন। টানা তিন দিন ধরে শনাক্ত ১১ হাজারের বেশি। এ হিসাবে গত তিন দিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩৪ হাজারের বেশি করোনা রোগী। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১৯৯ জন। এর আগে গত বুধবার এক দিনে রেকর্ড ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জন। আর মারা গেছেন ১৫ হাজার ৭৯২ জন। এ পর্যন্ত দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে পুরুষ মারা গেছেন ১৩৩ জন, আর নারী ৬৬ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেলেন ১১ হাজার ১৩৫ জন এবং নারী মারা গেলেন চার হাজার ৬৫৭ জন।
এ দিকে করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে আবারো শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা বিভাগ। গতকাল মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৫ জন, খুলনা বিভাগের ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগের তিনজন, সিলেট বিভাগের পাঁচজন, রংপুর বিভাগের ৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ১০ জন। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই সর্বোচ্চ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ১৫ হাজার ৭৯২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন সাত হাজার ৯৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের দুই হাজার ৯১৫ জন, রাজশাহী বিভাগের এক হাজার ১৮৫ জন, খুলনা বিভাগের এক হাজার ৬৫৮ জন, বরিশাল বিভাগের ৪৬৪ জন, সিলেট বিভাগের ৫৬৩ জন, রংপুর বিভাগের ৭০৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ৩৬৪ জন।
খুলনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসের মৃত্যু এবং সংক্রমণ সামান্য কমলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা আশঙ্কাজনকই রয়ে গেছে। বিভাগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়। আর নতুন পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৭৩২ জনের। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় ১০ জন, যশোরে ছয়জন, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল ও মাগুরায় তিনজন করে এবং বাগেরহাট ও মেহেরপুরে একজন করে মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুর সাথে নতুন সর্বাধিক শনাক্ত হয়েছেন খুলনায়। জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩৩৮ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ১৭ হাজার ৮৯৮ জনের। মারা গেছেন ৩৬৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১৭২ জন।
ময়মনসিংহ মেডিক্যালে ১৭ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহে আবারো বেড়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক দিনে সর্বোচ্চ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় পাঁচজন এবং উপসর্গ নিয়ে ১২ জন মারা যায়। এদের সাতজন নারী ও ১০ জন পুরুষ। এ দিকে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪৫টি নমুনা পরীক্ষায় আরো ২৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ২৫০ জন। সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৩২২ জন। মারা গেছেন ৯৬ জন।
রামেক হাসপাতালে আরো ১৮ জনের মৃত্যু
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, করোনাভাইরাস ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে আটজন ও উপসর্গে নয়জন মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং চার জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে নয় জনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া নওগাঁর তিনজন, নাটোরের দুইজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই জন এবং পাবনা ও কুষ্টিয়ার একজন করে রয়েছেন। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর দুই ল্যাবে মোট ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৪১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
কুষ্টিয়ায় আরো ১৭ জনের মৃত্যু
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ জন এবং উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: এম এ মোমেন এ তথ্য জানান। এ দিকে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৪৩টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২২ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৬৬৪ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৩০ জন। মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৬ জনে।
টাঙ্গাইলে ১১ জনের মৃত্যু
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, জেলায় করোনার ভয়াবহতা কমছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরো ১১ জনের। তাদের মধ্যে সাতজন ছিলেন করোনা পজিটিভ। বাকি চারজন মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু হলো ১৪৬ জনের। নতুন করে জেলায় এক দিনে ৬৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার শতকরা ৩৯ দশমিক ৫১ ভাগ। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫৭৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৯ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৫৪ জন। টাঙ্গাইল সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বগুড়ায় দুই নারীসহ ১২ জনের মৃত্যু
বগুড়া অফিস জানায়, জেলায় এক দিনে দুই হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে করোনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারীসহ ১২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে চারজন করোনা পজেটিভ এবং আটজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এর মধ্যে বগুড়া জেলার তিনজন এবং একজন অন্য জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭৩ নমুনার ফলাফলে নতুন করে ১৭২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ। এই জেলায় করোনায় এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৪৪৬ জন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন এক হাজার ৫৬১ জন।
চট্টগ্রামে এক দিনে ৭১৩ আক্রান্ত, মৃত্যু ৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে এক দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে মারা গেছেন নয়জন। ২০২০ সালের এপ্রিলে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর গত ১৫ মাসে চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ ছাড়ানোর রেকর্ড এই প্রথম। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী সংক্রমণের হার ৩৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা-সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফরিদপুরে আরো ৮ জনের মৃত্যু
ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরে ২৪৬ জনের মৃত্যু রেকর্ড করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ধাপে গত ১২ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। অপর দিকে জেলার ৯টি উপজেলায় পিসিআর ল্যাবে সর্বশেষ রিপোর্টে ৩৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৪টি পজিটিভ এসেছে। শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৮১ ভাগ। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড আক্রান্ত ১৯১
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে জেলা শহরসহ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। চলমান কঠোর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও জেলায় সংক্রমণের মাত্রা বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ছে চুয়াডাঙ্গায় করোনা সংক্রমণ।
এ দিকে চুয়াডাঙ্গায় বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ৫১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এর মধ্যে ১৯১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৭ শতাংশ। এ ছাড়াও করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৫ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা: এ এস এম ফাতেহ আকরাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাইবান্ধায় নতুন শনাক্ত ৪৭
গাইবান্ধা সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৪৭ জন। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৬৩ জন। এরমধ্যে ২৪ জন মারা গেছেন।
পাবনায় পাঁচজনের মৃত্যু, ১৭৭ জন আক্রান্ত
পাবনা সংবাদদাতা জানান, পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো পাঁচজন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় ২৮ জনের প্রাণ গেল। একই সময়ে নতুন করে ১৭৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৯৯৫ জন। মারা গেছেন মোট ২৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৮০০ জন। পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: কে এম আবু জাফর এসব তথ্য জানান।
নোয়াখালীতে আক্রান্তের হার ৩১ শতাংশ
নোয়াখালী অফিস জানায়, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এতে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১৬১ জন। মোট আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঝালকাঠিতে ৮৯ জন আক্রান্ত
ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ঝালকাঠি জেলায় ২৪০৯ জন আক্রান্ত এবং ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ৯২৯ জন হোম ও ৩২ জন হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা: রতন কুমার ঢালী এ তথ্য জানান।
সাতক্ষীরায় পাঁচ নারীসহ ১০ জনের মৃত্যু
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় কিছুতেই কমছে না করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর হার। করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আবারো পাঁচ নারীসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৩৯৬ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৬ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৮৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৪০ জন।
গাজীপুরে ৩ জনের মৃত্যু
গাজীপুর মহানগর সংবাদদাতা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজীপুরে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৪৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরো ২০০ জনের। শনাক্তের হার শতকরা ৪৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত গাজীপুরে করোনার সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৬২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন মোট ২৫৯ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৮ জন।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/593700/