৪ জুলাই ২০২১, রবিবার, ৩:০৫

কিট সঙ্কট : রাজশাহীতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হঠাৎ বন্ধ

কিট সঙ্কটে রাজশাহী নগরীতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে প্রথমে পাঁচটি পয়েন্টে এই পরীক্ষা শুরু হয়। পরে পয়েন্ট বাড়ানো হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে। পরীক্ষা করাতে এসে মানুষ ফিরেও যাচ্ছেন। তবে কিট সঙ্কটের কারণে পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ৬ জুন থেকে রাজশাহী নগরীতে বেশ কিছু পয়েন্টে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দিকে এই পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ কম ছিল। পরে সপ্তাহখানেকের মধ্যে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ বাড়তে থাকে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে বুথে দাঁড়িয়ে ছিলেন নগরীর মিজানের মোড় এলাকার আবদুল আওয়াল (৪০)। তিনি এই বুথে গত ১৯ জুন পরীক্ষা করিয়েছিলেন। র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। তিনি নগরীর বেলদারপাড়া এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন। আব্দুল আওয়াল বলেন, সকাল ৯টা থেকে এই বুথের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু এখানে কেউ নেই। তার সাথে আরো কয়েকজন ছিলেন। তারা চলে গেছেন। তার চাকরিতে যোগদান করা জরুরি। করোনা নেগেটিভ ফল পেলে তিনি যোগদান করতে পারবেন।
একই বুথে মাকে নিয়ে নগরীর হোসেনীগঞ্জ এলাকা থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন মো: জুবায়ের (৩০)। তিনিও এর আগে করোনা পরীক্ষা করিয়ে পজিটিভ ফলাফল পেয়েছিলেন। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। তার মায়েরও করোনা পরীক্ষা করাতে চান তিনি।

শিরোইল এলাকার সাজ্জাদ হোসেন (৩৮) গত শুক্রবার কয়েক ঘণ্টা এসে অপেক্ষা করে গেছেন এই বুথে। এসে দেখেন চেয়ারটেবিল উল্টানো। মনে করেছিলেন, শুক্রবার পরীক্ষা করানো হয় না। তাই তিনি গতকাল শনিবার আবার এসেছেন। কিন্তু কারও কোনো দেখা পাচ্ছিলেন না। পরে তিনি জানতে পারেন, এখানে এখন পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, তারা রাজশাহী নগরীতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের পরীক্ষা করিয়েছেন। কিট ফুরিয়ে গেছে বলে পরীক্ষা গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে। কিটের জন্য তারা সিভিল সার্জন দফতরে চিঠি দিয়েছেন।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/592588/