৩০ জুন ২০২১, বুধবার, ১:৪৪

ডেল্টা বাড়াচ্ছে জটিল রোগী

হঠাৎ করে দেশে করোনা সংক্রমণের উদ্বেগজনক মেরুকরণ ঘটেছে। আগের দুই দফায় উচ্চমাত্রার সংক্রমণের চেয়ে এবার হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে গত ১০ দিনে ঢাকায় সাধারণ শয্যায় (বেড) রোগী বেড়েছে ৬২০ আর আইসিইউতে ১২৯ জন। এই সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এদিকে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত করোনা রোগীদের সংকট আরো বাড়াচ্ছে। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও নানা জটিলতা সেই রোগীদের পিছু ছাড়ছে না। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আগেই আশঙ্কা করেছিলেন ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।

এদিকে গত ১৬ মাসের দেশে সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছরের ২ জুলাই দেশে প্রথম দফা সর্বোচ্চ সংক্রমণের দিন মোট করোনা শনাক্ত হওয়া মানুষের চেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিল ৫.৬৯ শতাংশ (৪৮৩৮ জন), দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ শনাক্তের দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল ৫.৯০ শতাংশ (৫২০৮ জন), আর গত সোমবার তৃতীয় দফায় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের দিন হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ৮.৩৭ শতাংশ (৬২৬৫ জন)। এর মধ্যে আগের দুই দফার চেয়ে এবার করোনা শনাক্ত বেশি হলেও ওই সময় কভিড পজিটিভ মানুষের সংখ্যা কমে এসেছে। গত বছর ২ জুলাই ছিল ৮৪ হাজার ৯০৯, গত ৭ এপ্রিল ছিল ৮৮ হাজার ১৯২ এবং গত সোমবার সর্বোচ্চ শনাক্তের দিন ছিল ৭৪ হাজার ৮২১ জন।

এদিকে আগের দুইবার ঢাকার হাসপাতালে বেশি রোগী থাকলেও এবার রোগী বেশি রাজধানীর বাইরে। এ কারণে মৃত্যুও ঢাকার বাইরে বেশি হচ্ছে। তবে কয়েক দিন ধরেই আবার ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ। সেই ধারায় ঢাকার হাসপাতালেও বাড়ছে রোগী। এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার দিকে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে রোগী আর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গেল এক বছরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি আইসিইউ বেড-ভেন্টিলেটর বা অক্সিজেন সুবিধা আগের চেয়ে বেড়েছে কয়েক গুণ। এ ক্ষেত্রে উল্টো কমে গেছে সাধারণ শয্যাসংখ্যা।

আওতায় আনব। বিশেষ করে বিদেশে যাঁরা যাবেন, আগে তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের সব নাগরিককে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন দেব বলে ঘোষণা করেছি। এ জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা দেব। ভারত ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা সাময়িকভাবে সমস্যায় পড়েছি। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বর্তমানে আমাদের ব্যবস্থা হয়েছে। এখন আর সমস্যা হবে না। চীন, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছিল পৃথিবীর সব জায়গায় আমরা যোগাযোগ করি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দেওয়ার আগেই আমরা টাকা পাঠিয়ে ভ্যাকসিন বুক করেছি। ভ্যাকসিন কেনার জন্য বাজেটে ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি। বিভিন্ন উৎস থেকে এরই মধ্যে এক কোটি ১৪ লাখ ছয় হাজার ডোজ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘যাঁরা বিদেশ যাচ্ছেন তাঁদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে বিদেশে গিয়ে তাঁদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে না হয়। কর্মস্থলে সরাসরি যেন যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।’

নতুন বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত বছর আমরা করোনার প্রথম ঢেউ সফলভাবে মোকাবেলা করেছি। সেই অভিজ্ঞতায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। মহামারি মোকাবেলা করে জনস্বাস্থ্য ও জনজীবন সুরক্ষা করতে আমরা সক্ষম হব।’ তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ এখনো বিদ্যমান থাকায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মোকাবেলায় বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রেখেছি। দ্রুততম সময় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১০ হাজার চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য খাতে অভিঘাত থেকে মুক্তি পেতে সমন্বিত বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। বাজেটে এ খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’

পর্যায়ক্রমে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কোন ভ্যাকসিন কোন বয়স পর্যন্ত দেওয়া যাবে তার সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা বিবেচনায় রেখে আমরা স্কুল থেকে শুরু করে সবাই যাতে ভ্যাকসিন পায় সে ব্যবস্থা নিয়েছি। এর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।

সংসদ নেতা বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমার গৃহ আমার স্কুল, ঘরে বসে শিখিসহ সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণের কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এতে করে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর দীর্ঘ এক বছর শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা সম্ভবপর হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিরতণ করেছি। একইভাবে বৃত্তি ও উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু না থাকায় শিক্ষার্থীদের খুবই কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে তাদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসে সারা বিশ্ব যখন ক্ষতিগ্রস্ত এমন সময় আমরা বাজেট দিয়েছি। একদিকে সারা বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত, অন্যদিকে আমাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছি। একই সময় আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে পেরেছি। এই তিনটি গৌরবময় অধ্যায়ের মাঝে করোনায় জর্জরিত আমরা।’ তিনি বলেন, ‘মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সত্ত্বেও সরকারের পদক্ষেপে আমাদের অর্থনীতি পূর্ণাঙ্গভাবে পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। আমাদের সরকার সংকটকালে দেশের মানুষের পাশে আছে। জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, জীবন-জীবিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন হলে দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াব।’

করোনার কারণে দেশের অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অভিঘাত থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে আমরা ১৫.২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছি। এসব প্যাকেজ বাস্তবায়নে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কেনা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় নির্বাহ করতে আমাদের সব দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগীদের পাশে পেয়েছি। মহামারি নিয়ন্ত্রণে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের ২.৯ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা ঋণ পেয়েছি। আগামী ২০২১-২২ অর্থ বছরে আরো প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা পেতে যাচ্ছি। ভ্যাকসিন সাপোর্ট বাবদ আরো দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি বাড়িয়েছি, যার ফলে করোনাকালে আয়ের সুযোগ সংক্ষিপ্ত হয়ে সাধারণ মানুষের দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পাবে। আগামী অর্থবছর থেকে করোনাভাইরাসের গণটিকা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছি, যার ফলে অর্থনীতি দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ আবার বৃদ্ধি পাবে।’

উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন অর্থনীতির মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সমাজের অবহেলিত দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন ঘটাতে চাই। প্রবৃদ্ধির সুফলটা যেন তৃণমূলের মানুষ পায় আমরা সেটাই করতে চাই। সেভাবেই সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ২৭২ উপজেলায় এই কার্যক্রম চলবে। ২৫ হাজার নতুন উপকারভোগী যুক্ত হবে। অর্থাৎ ৫৭ লাখ বয়স্ক, ২৪ লাখ ৭৫ হাজার নারী এবং ২২ লাখ প্রতিবন্ধী ভাতা পাবে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যাঁরা মাত্র ১২ হাজার টাকা করে মাসে পেতেন তাঁদের ভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করেছি। তার জন্য অতিরিক্ত এক হাজার ৯২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’

জীবন-জীবিকা রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাধিক প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের বেতন-ভাতা প্রদানের ফলে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ জনগণের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রধান প্রধান খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নিত্যসামগ্রী আমদানিতে শুল্ককর অপরিবর্তিত রাখা, কৃষি খাতে বিশেষ প্রণোদনায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আরটিপিসিআরের কাঁচামাল শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করার সুযোগ প্রদান এবং উৎপাদনে ভ্যাট প্রত্যাহার সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

সংসদ নেতা বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ২.৫ শতাংশ করপোরেট কর হ্রাস করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ড করার উদ্দেশ্যে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ধারণা বিকাশে বিশেষ কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। দেশীয় শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে অটোমোবাইল, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন ও তথ্য-প্রযুক্তির ডিভাইস উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সম্প্রসারণ ও ১০ বছরের কর অব্যাহত রাখা এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে আগাম কর হ্রাস, জরিমানা ও সুদের হার হ্রাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য রেখেই আমাদের সব কার্যক্রম। আমরা যখন এই কাজগুলো করে যাচ্ছি তখন প্রাণঘাতী কভিড-১৯-এর আক্রমণ। আমি শুধু এটুকুই বলব—এই মহামারি কাটিয়ে উঠে উন্নয়নের অভিযাত্রায় আমরা পুনরায় শামিল হতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রবাস আয়, আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আয় ঊর্ধ্বগতি, সহনশীল মাত্রায় মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, সহনীয় চলতি হিসাব ভারসাম্য ইত্যাদি সূচক নির্দেশ করে, মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের গৃহীত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সফল হয়েছে। আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার পরিবারের ওপর নির্মম আঘাতের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই আঘাত করা হয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে যেন সাফল্য অর্জন করতে না পারে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে, স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

https://www.kalerkantho.com/online/national/2021/06/30/1048397