২৭ জুন ২০২১, রবিবার, ১:৩৯

নির্যাতনবিরোধী দিবসের অর্জন ও প্রত্যাশা

সৈয়দ মাসুদ মোস্তফা : ২৬ জুন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস’ পালিত হয়। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। কোভিড-১৯ বিপর্যয়ের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়েছে। বাদ যায়নি আমাদের দেশও। যদিও বৈশি^ক প্রেক্ষাপটে নির্যাতন, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পাচ্ছে। জাতিসংঘ দিবসটি উৎসর্গ করেছে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের উদ্দেশে। মূলত, এটিই হচ্ছে নির্যাতিতদের সবচেয়ে বড় অর্জন। এছাড়া জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এসব ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষদের জন্য বড় ধরনের কিছুই করতে পারেনি।

ফলে আন্তর্জাতিক এই দিবসটি এখন খানিকটা আনুষ্ঠানিকতা সর্বস্ব হয়ে পড়েছে। সারাবিশ্বে মানুষ যাতে নির্যাতনের শিকার না হয় তার বিভিন্ন উপায় নিয়ে এই দিবসে আলাপ আলোচনা হয় বেশ আড়ম্বরের সাথেই। নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসেনের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক পরিষদ বিষয়টি নিয়ে বরাবরই সোচ্চার মনে হয়েছে। সংগঠনটি নির্যাতিতদের ওপর নির্যাতন বন্ধ ও পুনর্বাসনের বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনার কথা বলে আসছে বরাবরই। এমনকি অধিকার বঞ্চিতদের পরিবারসহ সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন সে বিষয়েও সংগঠনটির সোচ্চার ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এসব ইতিবাচক কথা শুধুই কথামালার ফুলঝুড়ির মধ্যেই রয়েছে সীমাবদ্ধ। অর্জন বলতে যৎসামান্যই।

মূলত, সারাবিশ্বে নির্যাতিতদের পুনর্বাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদ কোপেনহেগেনের সদর দপ্তরে সারাবিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও তথ্য-উপাত্ত। এগুলোর মূল্যায়ন, পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনাও গ্রহণ করা হয়। পরে এসব বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাও লক্ষ্য করা যায়। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছরই চমকপ্রদ ও আকর্ষণীয় বিবৃতি দেয় বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। এসব বিবৃতিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা তথ্য তুলে ধরা হয়। যা কিছুটা গণসচেতনা সৃষ্টিতে সহায়ক হলেও নির্যাতিতদের জন্য বড় ধরনের কোন সুখবর বয়ে আনে না।

নির্যাতিতদের পুনর্বাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদের সদর দফতরটি ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহাগেনে। এখানে ২৭ জন এবং ব্রাসেলস শহরে দুইজন কর্মী কাজ করেন নির্যাতিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এসব কর্মীরা পরামর্শ, দান এবং অর্থ সংগ্রহ করে গোটা বিশ্বে নির্যাতিতদের পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করে থাকেন। বেশির ভাগ শিল্পোন্নত দেশই নির্যাতিতদের জন্য গঠিত পুনর্বাসন কেন্দ্রে সরাসরি সাহায্য দিয়ে থাকে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপর্যাপ্ত। ফলে তা বিশ্বের বিপুল সংখ্যক নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের জন্য খুব একটা ইতিবাচক ফল বয়ে আনে না। এমনকি বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও নির্যাতিতদেও জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। তাই হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের স্বাভাবিক কাজের বাইরে ঐচ্ছিকভাবে এবং কোন ফি না নিয়ে নির্যাতিতদের চিকিৎসা করে থাকেন। কিন্তু এ কাজে তাদের প্রয়োজন অর্থ। আর এই অর্থের বিরাট যোগানদাতা হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং নির্যাতিতদের জন্য গঠিত জাতিসংঘের স্বেচ্ছাতহবিল। যেসব দেশে নির্যাতন চালানো হয় সেসব দেশে সাহায্য যোগাতে এই দুটি সংস্থা কাজ করে। কিন্তু এসব উদ্যোগ নির্যাতিতদের সহায়তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।

জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে নানা কারণে মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ধর্ম-বর্ণ, সংখ্যার বিচারে নির্যাতনের হার বেড়েই চলেছে। ক্ষমতাহীন নিরীহ মানুষদের ওপর ক্ষমতাবান গোষ্ঠী ও শাসকের শোষণ-নির্যাতনের ঘটনা এখন প্রতিনিয়তই ঘটছে। যা কোন ভৌগলিক রেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং এর বিস্তৃতি ঘটছে প্রতিনিয়ত। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সংঘাত, নিরীহ ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইলের বর্বর হামলার ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। আফগানিস্তান, সোমালিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে হরহামেশা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মতপ্রকাশসহ নানা মৌলিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। কিন্তু জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এসব মানুষের পক্ষে তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা এখন বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জাতিতে পরিণত হয়েছে। বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু ও সরকারের পদ্ধতিগত নির্যাতনের কারণে এসব মানুষ মৌলিক অধিকার বঞ্চিত। প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় অসংখ্য গণকবরের সন্ধান মিলেছে। যেখানে বেশিরভাগই সংখ্যালঘু নিপীড়িত রোহিঙ্গার লাশ পাওয়া গেছে।

আমাদের দেশে এখন নানাবিধ জুলুম-নির্যাতনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এখন সকল সময়ের সীমা অতিক্রম করার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ শুধু দেশীয় গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই বরং তা বিস্তৃতি লাভ করেছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও। এতে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ নানাভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০২০ সালের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ৩০ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক সাংবাদিক সরকারের হয়রানি ও নির্যাতনের ভয়ে স্ব-প্রণোদিত হয়ে সরকারের সমালোচনার করার বিষয়ে নিজেদের উপর সেন্সরশিপ আরোপ করেছেন। এতে আরও বলা হয়, সংবিধানের সমালোচনাকে রাষ্ট্রদ্রোহের সাথে তুলনা করা হয়-যার সাজা তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত হতে পারে। আর এর যৌক্তকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে প্রায় সকল মহলেই।

প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, আইনে ‘হেইট স্পিচ’ বা ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও একে যথাযথভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। যার কারণে সরকার একে ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে। ‘সরকার যদি কোন বক্তব্যকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যায় বা বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্কে প্রভাব ফেলে বলে মনে করে, অথবা জনশৃঙ্খলা-নৈতিকতা-শালীনতার পরিপন্থী, বা আদালত অবমাননাকারী বা অপরাধে প্ররোচনা বলে মনে করে-তাহলে সরকার মত প্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে’।

এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির সময় সরকার ২০১৮ সালে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে মহামারি মোকাবেলায় সরকারের সমালোচনাকারী ব্যক্তিদের শায়েস্তা করতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে। এছাড়া অন্যভাবেও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে যে কমপক্ষে ১৯ জন সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট এবং অন্য নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে। যা কোন গণতান্ত্রিক ও সভ্যসমাজের জন্য মোটেই কাক্সিক্ষত নয়।

আমাদের দেশে রাজনৈতিক নির্যাতন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি এখন প্রান্তিকতায় নেমে এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বরাবর সোচ্চার হলেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি বরং ক্রমেই অবনতিই হচ্ছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) জানিয়েছে, বিগত বছরগুলোর মতো ২০২০ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক ছিল। এমনকি ক্ষেত্রে বিশেষে সার্বিক পরিস্থিতির অবনতিই হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে রাজনৈতিক নির্যাতন ও নিপীড়ন। যা কোন গণতান্ত্রিক ও সভ্য সমাজে মোটেই কাক্সিক্ষত নয়।

এমতাবস্থায় মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে আইন ও সালিশ কেন্দ্র বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে। এর মধ্যে মানবাধিকারের একটি সর্বজনগ্রাহ্য মান বজায় রাখার সুপারিশ এসেছে। সকল পর্যায়ের নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করাসহ একটি গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার বান্ধব কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে সরকারের কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়েছে। যেখানে মানুষের প্রতি কোন জুলুম-নির্যাতন থাকবে না; বরং দেশের প্রত্যেক নাগরিক নির্বিঘ্নে তাদের মৌলিক অধিকার ভোগ করবে। যা শুধু যৌক্তিকই নয় বরং সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় খুবই অপরিহার্য।

সুপারিশমালায় বলা হয়, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা কোনও ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় যেমন-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, দায়িত্বে অবহেলা ইত্যাদির অভিযোগ উঠলে তা দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সম্পৃক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ পর্যন্ত সংঘটিত সকল গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কাউকে আটক বা গ্রেফতারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। যা প্রায় ক্ষেত্রে মানা হয় না।

নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব না করা এবং কোনও ধরনের ভয়ভীতি বা প্রতিহিংসার শিকার হওয়া ছাড়াই নাগরিকরা যেন এ অধিকারগুলো চর্চা করতে পারে, সে পরিবেশ সৃষ্টি করা। গণমাধ্যম ও নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা। নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য নিরসনসংক্রান্ত সনদের (সিডও) ধারা ২ এবং ১৬(গ) থেকে আপত্তি প্রত্যাহার এবং নারীর ওপর সহিংসতা বন্ধে কার্যকর সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি জোরদার করা।

শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি, ইনডিজিনিয়াস, দলিত, তৃতীয় লিঙ্গ, অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও চা বাগানে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের পূর্ণ চর্চা নিশ্চিত এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করা। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিজ বিশ্বাস ও আচার পালনের, চর্চার অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী আইন দ্রুততার সঙ্গে অনুমোদন করা।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, আইন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর করা এবং এসব প্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত আমলা নিয়োগের যে ধারাবাহিকতা চলছে, তা বন্ধ করা। জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্বাধীনভাবে তাদের ম্যান্ডেট বাস্তবায়ন করতে পারে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও গুরুত্বারোপ করা।

স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আমলে নিয়ে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে উত্থাপিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। সকল নাগরিকের জন্য কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন (করোনার টিকা) প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।
জাতিসংঘভুক্ত সকল দেশেই দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা সভা, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেছে। কিন্তু এসব কার্যক্রম নির্যাতন প্রতিরোধে কতখানি সহায়ক হয়েছে বা হচ্ছে তা মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। কারণ, এই দিবসের অর্জন এখনও প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। তাই শুধু দিবস পালন নয় বরং নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষরা যাতে এ থেকে ইতিবাচক ফল লাভ করতে পারে সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ এসেছে বিশ্বের আত্মসচেতন মানুষের পক্ষ থেকে। যা খুবই যৌক্তিক ও কাক্সিক্ষত।

https://dailysangram.com/post/456815