২৭ জুন ২০২১, রবিবার, ১:৩৯

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস লেখার সময় সতর্ক হতে হবে : নাহলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে

বাংলাদেশের স্বাধীনতা একটি পবিত্র আমানত। অসংখ্য লোকের জীবনদানের মধ্যদিয়ে এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সুতরাং এই স্বাধীনতার ইতিহাস লিখতে গেলে সকলকেই অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও সতর্ক হতে হবে। ছাত্রলীগের অন্যতম শীর্ষ নেতা পরবর্তীকালে জাসদের নেপথ্য নায়ক সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে কাদের অবদান রয়েছে সে সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন। কথা বলেছেন নিজের লিখিত একটি পুস্তকে। সিরাজুল আলম খান নিজে লিখেছেন, কথাটা এভাবে বলা যাবে না। তিনি বলে গেছেন এবং তারই একজন অনুসারী শামসুদ্দিন পেয়ারা তার শ্রুতি লিখন করেছেন। তিনি যে বইটি লিখেছেন তার নাম, “আমি সিরাজুল আলম খান বলছি”। এই বইটির মূল প্রতিপাদ্য হলো এই যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে অনেক আগে থেকেই ‘নিউক্লিয়াস’ নামে একটি গুপ্ত সংগঠন কাজ করেছে। সেই নিউক্লিয়াসের সদস্য ছিলেন সিরাজুল আলম খান নিজে। আরো ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রী মরহুম আব্দুর রাজ্জাক, মরহুম কাজী আরিফ প্রমুখ। ২৩২ পৃষ্ঠার এই বইয়ের অধিকাংশ জুড়ে রয়েছে নিউক্লিয়াসের কার্যকলাপের বিবরণ।

সিরাজুল আলম খানের এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় তুমুল বিতর্ক। বিতর্কের অগ্রভাগে ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু প্রমুখ। জনাব তোফায়েল ও জনাব আমু নিউক্লিয়াসের অস্তত্বিই স্বীকার করেন না। ঢাকার একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিকে সিরাজুল আলম খানের বক্তব্য ২/৩ কিস্তিতে ছাপা হয়। তার পরেই শুরু হয় একই পত্রিকায় সিরাজুল আলম খানের বিরুদ্ধে পাল্টা বক্তব্য ও আক্রমণ। ৫/৬ কিস্তি ধরে চলা এই আক্রমণের পর বিতর্কটি অকস্মাৎ থেমে যায়। এর সাকুল্য ফল এই দাঁড়ায় যে স্বাধীনতা আন্দোলনের আসল শেকড়টি কোথায় প্রোথিত সেটা নিয়ে জনগণের মধ্যে সৃষ্টি হয় বিরাট বিভ্রান্তি। জনগণের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দেয়, কাদের বক্তব্য সঠিক। সিরাজুল আলম খানদের? নাকি তোফায়েল আমুদের? একারণে আমরা মনে করি যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কারো এমন কিছু বলা ও লেখা উচিৎ হবে না যেটা বিতর্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

ঠিক এই ধরনের বিতর্কিত আরেকটি প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। সেটি হলো আফসান চৌধুরীর বিবরণ। ‘দৈনিক সমকালের’ গত ১৮ জুন সংখ্যায় এ সম্পর্কে তার ধারাবাহিক লেখার একটি অংশ ছাপা হয়েছে। শিরোনাম, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিকতা: ইস্ট বেঙ্গল লিবারেশন পার্টি ১৯৫৮’। তার এই লেখায় তিনি দেখিয়েছেন যে জামালপুরের কয়েকজন মানুষ জামালপুরেই স্বাধীনতার উদ্যোগ নেন। আফসান চৌধুরীর বিবরণ থেকেই দেখা যায় যে ইস্ট বেঙ্গল লিবারেশন পার্টির তৎপরতা তেমন কিছুই ছিল না। জামালপুরের নদীতে নৌকার মধ্যে দুই চার জন মানুষ মাঝে মাঝে বৈঠক করতেন এবং কিভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন করা যায় সেটা নিয়ে তারা মাঝে মাঝে আলোচনা করতেন। নৌকার মধ্যে এই আলাপ আলোচনাকেই লেখক স্বাধীনতার প্রথম প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেন। লেখক নিজেই বলেছেন যে ইস্ট বেঙ্গল লিবারেশন পার্টির নাম এখন মাত্র দুই ব্যক্তি জানেন।

আমি লেখকের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিনয়ের সাথে বলতে চাই যে এটিকে যদি স্বাধীনতার প্রথম প্রচেষ্টা বলেন তাহলে ৫০ এর দশকে এরকম প্রচেষ্টার সন্ধান আরো অনেক স্থানেই পাওয়া যাবে। এখানে আমি বগুড়ার কথা বলতে চাই। ৫০ এর দশকে যারা রাজনীতির খোঁজ খবর রাখতেন তারা অনেকেই বগুড়ার ৩/৪টি নাম স্মরণ করতে পারবেন। এরা হলেন আব্দুল মতিন, বুটু মাস্টার (খুব সম্ভব ভালো নাম জালাল উদ্দিন আহমেদ), কবিরাজ মোফাজ্জল বারী, চিত্ত সত্য ব্রাদার্স প্রমুখ। এদের মধ্যে একমাত্র মোফাজ্জল বারী ছাড়া অবশিষ্ট ৪ জন ছিলেন কমিউনিস্ট। তারা বেশির ভাগ সময়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকতেন। আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে গ্রামের মানুষদের নিয়ে উঠান বৈঠক করতেন এবং গ্রামবাসীদেরকে স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতেন। কবিরাজ মোফাজ্জল বারী প্রকাশ্য রাজনীতি করতেন। তিনি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টির বগুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য ভারতে না গিয়ে দেশেই থেকে যান। মুক্তিযুদ্ধকালে পাক বাহিনী তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারপর আজ পর্যন্ত আর ফিরে আসেননি।
কবিরাজ বারী অবশ্য প্রকাশ্যে স্বাধীনতার কথা বলেননি। তিনি বলতেন যে ১৯৪০ সালে তাঁর নেতা শেরে বাংলা যে লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন সেখানে দুইটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছিল। একটি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে। আরেকটি পূর্বাঞ্চলে। তিনি তার নেতার সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছেন যে তাঁর নেতা (শেরে বাংলা) মনে মনে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা চান। তিনি নিজেও চান। এখন বলুন, এই মতিন বুটু মাস্টার, চিত্ত সত্য ভ্রাতৃদ্বয় এবং কবিরাজ মোফাজ্জল বারীদের এসব প্রচেষ্টাকেও কি স্বাধীনতার প্রথম প্রচেষ্টা বলা যাবে? যদি বলা যায়, তাহলে আমার কোনো আপত্তি নাই। যদি এগুলোকে স্বাধীনতার প্রথম প্রচেষ্টা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে, ৪৭ সালে স্বাধীনতার প্রথম প্রহরেই এরকম অনেক জেলায় অনেক প্রচেষ্টা ছিল। ৪৭ এর স্বাধীনতার পর বিক্ষিপ্তভাবে একটি শ্লোগান শোনা যায়। সেটা হলো, “ইয়ে আজাদী ঝুটা হ্যায়/লাখো ইনসান ভূখা হ্যায়”।
॥ দুই ॥
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসংখ্য বই বের হয়েছে। লেখা হয়েছে হাজার হাজার প্রবন্ধ ও নিবন্ধ। এগুলো অত্যন্ত ভালো লক্ষণ। তবে এসব ইতিহাস লিখতে গেলে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ ইতিমধ্যেই বৃটিশ আমলের একটি প্রজন্মই বলতে গেলে গত হয়েছেন। পাকিস্তান আমলের প্রজন্মও গত হওয়ার পথে। আর ৫০ বছর পর বাংলাদেশ আমলের প্রজন্মেরও একটি অংশ গতায়ু হবেন। কিন্তু দেশ থেকে যাবে। ৫০ বছর পর যে প্রজন্ম ইতিহাস পড়বেন তাদেরকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। পিতার ইতিহাস জানতে হলে দাদার ইতিহাস জানতে হবে। দাদার ইতিহাস জানতে বলে দাদার পিতার ইতিহাস জানতে হবে। অনেকে বলতে চান যে ১৯৪৭ সালের ১৪ ই আগস্টের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস শুরু হয়েছে। দলীয় রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধ্বে উঠে যদি বিবেচনা করি তাহলে দেখবো যে একথাটি ঠিক নয়। কারণ আজ যেটা বাংলাদেশ তার সীমানা তো ১৯৪৭ সালের আগে তৈরী হয়নি। সেটি তৈরী হয়েছে ১৯৪৭ সালের ১৪ই ও ১৫ই আগস্ট।
১৯৪৭ সালের ১৪ই ও ১৫ই আগস্ট যে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মানচিত্র পাওয়া গেল সেটি তো একদিন অকস্মাৎ বজ্রপাতের মত মানুষের সামনে পড়েনি। এর আগে তো ছিল অখন্ড ভারত। সেই অখন্ড ভারত ১৯৪৭ সালে দুই ভাগে ভাগ হলো। একটি ভারত আর একটি পাকিস্তান। পাকিস্তানের মানচিত্রে দেখা গেল দুইটি ভূখন্ড। একটি ভারতের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে। আরেকটি দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে। এই দুটি ভূখন্ড মিলেই সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তান। দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে যে ভূখন্ডটি পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল ছিলো সেটি ছিলো পাকিস্তানের ৫ টি প্রদেশের একটি প্রদেশ। জন্মের সময় এটির নাম ছিল পূর্ব বাংলা। ১৯৫৬ সালের ২৩ শে মার্চ পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র গৃহীত হলে পূর্ব বাংলা নামক প্রদেশটির নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা ঘোষণা করে। নতুন নাম হয় বাংলাদেশ। খুব সহজ করে বলতে গেলে একদিনে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়নি। এর পেছনে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা।
যখন ভারতের স্বাধীনতার কথা বলা হয় তখন চটজলদি সামনে চলে আসে গান্ধী নেহরুর নাম। অথচ কঠোর ঐতিহাসিক বাস্তব হলো এই যে ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবী প্রকাশ্যে সর্ব প্রথম উত্থাপন করেন মওলানা হাসরাত মোহানী। ভারত বিভক্ত হয়েছিল বলেই তো সৃষ্টি হয়েছিল পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানের। পাকিস্তান সৃষ্টিতে যারা সম্মুখ সারিতে যোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তাদের মধ্যে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে ৪টি নাম। তারা হলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শেখ মুজিবুর রহমান। স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের দাবীতে ১৯৪৬ সালে যে নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে পূর্ববঙ্গ প্রদেশেই মুসলিম লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ওপরে যে চারটি নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার সাথে যুক্ত হবে আরেকটি নাম। সেই নামটি হলো বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম আবুল হাশিম। এই আবুল হাশিমকেও স্বাধীন পাকিস্তানে ভাষা আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করার জন্য কারাগারে যেতে হয়।
॥ তিন ॥
অনেকেই বলেন যে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে খাঁটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৯৭০ সালের আগে অর্থাৎ পাকিস্তান সৃষ্টির পর ২৩ বছর পর্যন্ত সারা পাকিস্তানভিত্তিক কোনো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। অথচ এরমধ্যে অন্তত চারটি সাধারণ নির্বাচন হতে পারতো। নির্বাচনের পরিবর্তে ছিল সামরিক শাসন। ছিল গোলাম মোহাম্মদ, ইস্কান্দার মির্জা এবং চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর মতো আমলাদের শাসন। নিয়মিত নির্বাচন হলে পূর্ব ও পশ্চিম অর্থাৎ পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলের পলিটিশিয়ানদের মন মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটতে পারতো। একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে পাকিস্তানের লেগেছে নয় বছর। ঐ শাসনতন্ত্রে বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের ব্যবস্থা ছিল। ১৯৫৮ সালে সমগ্র পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনের আগে জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক আইন জারি করেন, গণপরিষদ ভেঙ্গে দেন এবং শাসনতন্ত্র বাতিল করেন। যদি ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক আইন জারি না করতেন এবং তার পরিবর্তে যদি নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো তাহলে সেই নির্বাচনী ফলাফল ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ফলাফলের মতো নাও হতে পারতো। কারণ তখন ছয় দফাও আসেনি এবং পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগেরও প্রবল উত্থান হয়নি। ছয় দফা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল ১৯৫৮ সালের আট বছর পর ১৯৬৬ সালে। সেটিও উত্থাপিত হয়েছিল তৎকালীন নেজামে ইসলাম পার্টির প্রধান এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর করাচীর বাসভবনে। সেখানে বিরোধী দল সমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে শেখ মুজিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই তিনি ৬ দফা উত্থাপন করেন। যদি ৫৮ সালের নির্ধারিত নির্বাচন হতো, তাহলে পাকিস্তানের সামগ্রিক রাজনৈতিক দৃশ্যপটও হয়তো বদলে যেত।
স্বাধীনতার ইতিহাসের কথা বলতে গেলে অনেক কথাই বলতে হয়। আজকে আর একটি পয়েন্ট বলে এই আলোচনা শেষ করবো। আইয়ুব খানের হাত থেকে ক্ষমতা নিয়ে ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানে এক ইউনিট ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেন। অথচ এক ইউনিট ব্যবস্থা চালু করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রধান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। পুনরুজ্জীবিত হয় পশ্চিম পাকিস্তানের চারটি প্রদেশ। জনসংখ্যার ভিত্তিতে পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা নির্ধারিত হয়। এবং সেই ভিত্তিতেই ১৯৭০ সালে পাকিস্তানে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এই নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সারা পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। শেখ মুজিব যখন সারা পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের একক নেতা হিসাবে আবির্ভূত হন তখন ইয়াহিয়া এবং ভূট্টোর উচিৎ ছিল শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান কি করতেন বা না করতেন সেটি তার হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিৎ ছিল। তিনি ক্ষমতা পেলে পাকিস্তানকে কি ফেডারেশন রাখতেন, নাকি কনফেডারেল করতেন, নাকি পূর্ব পাকিস্তানকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতেন, সেটিও তার হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিৎ ছিল।
Email: asifarsalan15@gmail.com

https://dailysangram.com/post/456814