৮ জুন ২০২১, মঙ্গলবার, ১:৫৩

টানা বর্ষণে ধসের আশঙ্কা

পাহাড় ধস রোধে টেকসই কোনো ব্যবস্থা নেই

টানা বৃষ্টি বা বর্ষা মানেই পাহাড় ধস। এতে প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। কিন্তু পাহাড় কাটা যেমন বন্ধ হয়নি, তেমনি বন্ধ হয়নি পাহাড় দখল বা এর পাদদেশে বসবাস। একদিকে উজাড় হচ্ছে পাহাড়, ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ, অন্যদিকে জীবনের ক্ষয়-অথচ ধস রোধ ও দখলদার উচ্ছেদে স্থায়ী ও টেকসই ব্যবস্থা বা পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি কখনো। উদ্যোগ নেওয়া হয় না বাধাগুলো দূর করার। সাময়িক উদ্যোগে এর সমাধান দেখেন না পরিবেশবিদরা।

পাহাড়ের পাদদেশে বসতি উচ্ছেদে বড় বাধা রিট

চট্টগ্রাম মহানগরী ও আশপাশের বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন হাজারো মানুষ। প্রতিবছর পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঘটলেও পাহাড়ের পাদদেশে বসতি স্থাপন থেমে নেই। সেখানে চরম ঝুঁকি নিয়ে নিু আয়ের মানুষ সংসার পাতেন।

‘মৃত্যুকূপ’ পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপন রোধ ও উচ্ছেদে প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ উচ্ছেদ-উদ্যোগে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনি জটিলতা। উচ্ছেদ করতে গেলেই স্বার্থান্বেষী মহল উচ্চ আদালতে রিট ঠুকে দেয়। তবে পাহাড় ধস ও প্রাণহানি রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দেয়। সোমবারসহ দুই দিনের বৃষ্টিতে এরই মধ্যে আবার পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছে। মাইকিং করাসহ বিভিন্ন পাহাড় থেকে দুই শতাধিক পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও লোকজনকে সরানো হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘রিট’।

যখনই কোনো পাহাড়ে উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হয় তখনই স্বার্থান্বেষী মহল উচ্চ আদালতে রিট ঠুকে দেয়। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পাহাড়ের পাদদেশে ঘর তৈরি করে নিু আয়ের মানুষদের কাছে ভাড়া দেয়। বিপদ হতে পারে জেনেও তুলনামূলক কম টাকায় থাকা যায় বলে নিু আয়ের লোকজন সেসব ঘর ভাড়া নেয়। এ প্রভাবশালীরাই মূলত রিট করে। এ কারণে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বছরের পর বছর ঝুলে থাকে।

চট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান যুগান্তরকে বলেন, পাহাড় থেকে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করতে গেলে একটির পর একটি রিট হয়। এ রকম অসংখ্য রিট রয়েছে। শুধু মতিঝর্ণা পাহাড়েই আছে সাতটি রিট। জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় আছে একটি। এভাবে গুনে শেষ করা যাবে না। এসব রিট না থাকলে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস স্থায়ীভাবে বন্ধ করা সহজ হতো।

চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের প্রকৃত সংখ্যা প্রশাসন বা অন্য কোনো সংস্থার কাছে নেই। পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির তালিকা অনুযায়ী ৩০টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি পাহাড় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। কমিটির গত বছরের হিসাব অনুযায়ী- ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা ৮৩৫টি।

ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো হলো- রেলওয়ের লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড়, পূর্ব ফিরোজ শাহ এক নম্বর ঝিল সংলগ্ন পাহাড়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মালিনাকানাধীন কৈবল্যধাম বিশ্ব কলোনি পাহাড়, পরিবেশ অধিদপ্তর সংলগ্ন সিটি করপোরেশন পাহাড়, রেলওয়ে, সওজ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ওয়াসার মালিকানাধীন মতিঝর্ণা ও বাটালি হিল পাহাড়, ব্যক্তিমালিকানাধীন একে খান পাহাড়, হারুন খানের পাহাড়, পলিটেকনিক কলেজ সংলগ্ন পাহাড়, মধুশাহ পাহাড়, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট সংলগ্ন পাহাড়, মিয়ার পাহাড়, আকবরশাহ আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড়, আমিন কলোনি সংলগ্ন ট্যাংকির পাহাড়, লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন পাহাড়, ভেড়া ফকিরের পাহাড়, ফয়’স লেক আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড় এবং এমআর সিদ্দিকী পাহাড়।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা কয়েক হাজার। বায়েজিদ ও আকবারশাহ থানা এলাকার অনেক পাহাড়ে টিনের ঘেরাও দিয়ে গোপনে পাহাড় কেটে বসতঘর তৈরি করা হচ্ছে। দখলদাররা একাধিক স্তরের পাহারা বসিয়ে বাইরের কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয় না। এখানকার বসবাসকারীরা প্রশাসনের অগোচরেই থেকে যায়।

নগরীর লালখানবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, ‘মতিঝর্ণাসহ আশপাশের বিভিন্ন পাহাড় ঘিরে লক্ষাধিক মানুষের বসতি রয়েছে। এসব এলাকায় শুধু ভোটারের সংখ্যা ১২-১৩ হাজার। অতিবৃষ্টিতে ভূমিধস হলে পাহাড়ের নিচের দিকে বসবাসকারীদেরও বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। শুধু পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ধসের ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। ধস নামলে প্রথমে তারাই হতাহতের শিকার হবেন।

কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, পাহাড়ধসে প্রাণহানি রোধে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এলাকায় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের সদস্যদের রেইনকোট ও বুটসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। ঘরে ঘরে গিয়ে তারা সতর্ক করছেন। লোকজনকে সরে যেতে বলছেন। তবে লোকজন সহজে সরতে চাইছে না। তিনি জানান, কিছু লোক এসব এলাকায় কাঁচা ও পাকা ঘর তৈরি করে ভাড়া দেয়। দিনমজুর, গার্মেন্ট শ্রমিকসহ অল্প আয়ের মানুষ এসব ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। আবার অনেকে নিজেরাই ঘর তুলে বসবাস করছেন।

৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম জানান, এ এলাকা ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ে ২০-৩০ হাজার মানুষ বাস করেন। এর মধ্যে অনেক পরিবার পাহাড় ধসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত বছর কিছু পরিবারকে সরানো হয়েছে। এ বছরও সরানো হচ্ছে। বেদখল হয়ে যাওয়ার ভয়ে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে চায় না। আকবরশাহ এক নম্বর ঝিল, রেলওয়ে হাউজিং, লেকসিটি এলাকাসহ আরও কয়েকটি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নাজমুল আহসান জানান, গত বছর কিছু পরিবারকে সরানো হয়েছিল। তবে পরে তারা আবার পাহাড়ে উঠে যায়। ৯ মে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়। এরপর থেকে অর্থাৎ বর্ষা শুরুর আগে আমরা বিভিন্ন পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে লোকজনকে সরানোর কাজ শুরু করেছি। রোববার সাতটি পাহাড় থেকে ২০০ পরিবারকে সরানো হয়েছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ভয়াবহ পাহাড় ধসে ১২৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরপর প্রতিবছর কমবেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

খাগড়াছড়িতে সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের ঝুঁকিতে বসবাস

তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে ধসের ঘটনা ঘটছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ঘটতে পারে ভয়াবহ পাহাড় ধস। অথচ ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে মানুষ বসবাস করছে। শুধু খাগড়াছড়ি পৌর শহরে পাহাড়ের পাদদেশে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি পরিবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। ভারি বর্ষণেও তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে ইচ্ছুক নয়। প্রশাসনের সতর্কতা বার্তাও তারা পরোয়া করে না। এদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ছয় পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, একটানা বৃষ্টি হলে খাগড়াছড়ি জেলার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লা টিলা, কলাবাগান, কদমতলীসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সরেজমিন সবুজবাগে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাঁচটি পাহাড়ের আংশিক ধস হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘর ধসে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে। এখানকার বাসিন্দা আব্দুল মোতাতেব, রহুল আমিন ও সানজিদা খাতুন জানান, মাত্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অথচ এর মধ্যে পাহাড়ের মাটি ধসে গেছে।

আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে বাস করছি। বৃষ্টি হলে ভয়ে রাতে তাদের ঘুম আসে না। গত বছর এখানে পাহাড় ধস হলেও তা রোধে প্রশাসন কোনো উদ্যোগই নেয়নি। তবে জানা গেছে, পাহাড় ধস রোধে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু সেগুলো মূলত সাময়িক। প্রশাসন স্থায়ী ও টেকসই কোনো পরিকল্পনা নেয় না। ফলে কাজের কাজ কিছুই হয় না। বরং প্রতিবছরই পাহাড় ধসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষ পাহাড়ের পাদদেশে বসতি গড়ে তুলেছেন। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এখানে আমরা বছরের পর বছর বসবাস করছি।

অন্য কোথাও আমাদের থাকার জায়গা নেই। এখনকার ভূসম্পত্তি ছেড়ে অন্য কোথাও আমরা যেতেও চাই না। অবৈধ বসতি স্থাপন এবং অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণের কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা রোধে প্রশাসন নির্বিকার থাকে।

এ কারণে ভূমিদস্যুরা পাহাড় কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে নিয়ম না মেনে সরকারিভাবে পাহাড় কাটা হয়। আবার পাহাড় রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। বাণিজ্যিক কারণে নির্বিচারে গাছ কাটায় পাহাড় প্রাকৃতিকভাবে ধস প্রতিরোধের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। ফলে পাহাড় ধস ঠেকানো যাচ্ছে না।

খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী জানান, পাহাড় কাটা রোধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ না থাকায় পাহাড় কাটার প্রবণতা বাড়ছে। আবার সরকারিভাবেও পাহাড় কাটা হচ্ছে। প্রতিবছর প্রাণহানি ঘটলেও পাহাড় ধস রোধে সরকারের কোনো টেকসই ব্যবস্থা নেই। খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, পৌর এলাকায় চারটি স্থানে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বসবাসকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের পৌরসভা সার্বিক সহায়তা করবে। ভবিষ্যতে পৌর আবাসন এলাকায় তাদের পুনর্বাসন করা হবে।

খাগড়াছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা মতিন জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।

হাটহাজারীতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা : হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মনাই ত্রিপুরাপাড়ার ছয় পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমে পাহাড়ের পাদদেশের মনাই ত্রিপুরাপাড়ার ছয়টি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে ?উপজেলা প্রশাসন। রোববার রাতে তাদের স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন জানান, মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণে মনাই ত্রিপুরাপাড়ার ছয়টি পরিবারের ৩১ সদস্যকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/428996/