৪ এপ্রিল ২০১৭, মঙ্গলবার, ১০:০২

প্রতিরক্ষা বিষয়ে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক কোনোটিই নয়

সুশাসন

|| ইকতেদার আহমেদ ||

ভারতবর্ষ বিভাজন পূর্ববর্তী আমাদের এ উপমহাদেশটিকে বলা হতো ভারতীয় উপমহাদেশ। বিভাজন পরবর্তী এটি পাক-ভারত উপমহাদেশ নামে অভিহিত হতে থাকে যদিও পাকিস্তান ও ভারত ছাড়া বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানও এ উপমহাদেশের অন্তর্ভুক্ত। উপমহাদেশটির রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও ভারত জন্মলগ্ন থেকেই একে অপরের প্রতি বৈরীভাবাপন্ন। এ দু’টি রাষ্ট্রের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে সর্বশেষ যে যুদ্ধটি সংগঠিত হয় এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণতা পায়। ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর। ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের সাথে চীনের স্থলসীমান্ত রয়েছে। চীন ও পাকিস্তান পরস্পর বন্ধুভাবাপন্ন রাষ্ট্র। অন্য দিকে চীন ও ভারত পরস্পর বৈরীভাবাপন্ন। চীন ও ভারতের মাঝে দীর্ঘ দিন ধরে স্থলসীমানা বিরোধ রয়েছে এবং এ নিয়ে ১৯৬২ সালে দু’টি রাষ্ট্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়। সে যুদ্ধে চীন কাশ্মিরের লাদাখ অঞ্চলের ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি এবং ‘সেভেন সিস্টার্সে’র অন্তর্ভুক্ত অরুণাচল দখল করে নেয়। চীন কর্তৃক একতরফা যুদ্ধবিরতি পরবর্তী চীন স্বেচ্ছায় অরুণাচলের দখল ছেড়ে দিলেও লাদাখকে তিব্বতের অংশ দাবি করে দখল অদ্যাবধি অব্যাহত রেখেছে।
পাকিস্তান ও ভারতের মতো চীন পারমাণবিক শক্তিধর হলেও সামরিক সামর্থ্য ও শক্তির দিক থেকে দেশটির অবস্থান উভয় রাষ্ট্রের অনেক অগ্রে। অধিকন্তু চীন জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সরকারের আগমন ঘটলেও বঙ্গবন্ধু প্রণীত পররাষ্ট্র নীতি ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এর কোনো পরিবর্তন হয়নি।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতÑ এ তিনটি দেশের সর্বাধিকসংখ্যক সদস্য রয়েছে জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে। পৃথিবীর যেসব রাষ্ট্র জাতিগত বিভেদ ও রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে সশস্ত্র বিরোধে লিপ্ত, সেসব রাষ্ট্রে বিরোধ নিরসনে জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োগের আবশ্যকতা দেখা দেয়। এসব বিরোধপূর্ণ রাষ্ট্রের বিদ্রোহীরা ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া অথবা চীনে প্রস্তুতকৃত উন্নতমানের সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকে। শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিয়োজিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শান্তিরক্ষীদের সামরিক সরঞ্জাম সমমানের না হলে তাদের পক্ষে সার্থকভাবে দায়িত্ব পালন সম্ভব হয় না। বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা পৃথিবীর বিভিন্ন বিরোধ ও গোলযোগপূর্ণ রাষ্ট্রে দক্ষতা ও সফলতার সাথে শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছেন। আর সে কারণে পৃথিবীর যেকোনো বিরোধ ও গোলযোগপূর্ণ এলাকায় শান্তিরক্ষী নিয়োগের আবশ্যকতা দেখা দিলে সর্বাগ্রে যে রাষ্ট্রটির নাম চলে আসে, সেটি হলো বাংলাদেশ।
সামরিক শক্তি ও সামর্থ্যরে দিক থেকে পাকিস্তান ও ভারত প্রায় সম-অবস্থানে থাকলেও উভয় রাষ্ট্র পারমাণবিক শক্তিধর বিধায় এ দু’টি রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হলে তা ভয়াবহ বিপর্যয় ছাড়াও রাষ্ট্র দু’টির অস্তিত্বকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি স্থল সীমান্তে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ২৭১ কিলোমিটার ছাড়া তিন দিকেই ভারতবেষ্টিত। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা নীতি আত্মরক্ষামূলক এবং বাংলাদেশ কখনো প্রতিবেশীদের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব পোষণ করে না। একদা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সে সশস্ত্র বিদ্রোহ অব্যাহত ছিল। উভয় রাষ্ট্র একে অপরের বিদ্রোহীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে যে সাহায্য করত এটি অনেকটা স্বীকৃত। বর্তমানে রাজনৈতিক সমঝোতার কারণে এখন আর এক রাষ্ট্রের বিদ্রোহীরা অপর রাষ্ট্র থেকে কোনো ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা পাচ্ছে না।
বিগত বছরগুলোতে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে চীন বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং আরো বিপুল অর্থ বিনিয়োগের পথে রয়েছে। পাকিস্তানে চীনের এ বিনিয়োগ চীনকে অর্থনৈতিক দিক থেকে ব্যাপকভাবে লাভবান করছে। পাকিস্তানের সাথে ভারতের যেকোনো ধরনের যুদ্ধ চীনের বিনিয়োগকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেবে। আর তাই দু’টি রাষ্ট্রের মধ্যে যেন কোনো সশস্ত্র যুদ্ধ না হয় সে ব্যাপারে চীন পূর্বাপর সজাগ রয়েছে। পাকিস্তানে চীনের এ বিনিয়োগ পাকিস্তানের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা ছাড়াও সে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে বিরাট অবদান রাখবে। এ বিনিয়োগের ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতির চেহারার যে পরিবর্তন ঘটবে, তা পাকিস্তানকে বিশ্বদরবারে একটি সম্মানিত স্থানে পৌঁছে দেবে। চীন পাকিস্তানের সাথে যেরূপ অর্থনৈতিক সহযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে, ভূরাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের সাথেও অনুরূপ অর্থনৈতিক সহযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য প্রবলভাবে আগ্রহী। এরই বহিঃপ্রকাশে দেখা গেল সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের সময় পাকিস্তানের সাথে দেশটির যে পরিমাণ অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, বাংলাদেশের সাথেও প্রায় সম-অঙ্কের অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তির স্বাক্ষরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের সাথে চীনের এ সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন ঘটবে এবং বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হবে।
বাংলাদেশ ভারতকে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভাবলেও বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে ভারতের আচরণে দেশবাসী ক্ষুব্ধ। ভারতের সাথে আমাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্থল ও সমুদ্রসীমা বিরোধ এবং ছিটমহল বিনিময় নিষ্পন্ন হলেও ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে একমাত্র গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তা ছাড়া ইসরাইল ও ফিলিস্তিন এবং উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যে ধরনের কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে দেশটি অনুরূপ বেড়া দিয়ে স্থলসীমানায় আমাদেরকে অবমাননাকরভাবে আবদ্ধ করে রেখেছে। সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যা বন্ধে দেশটির আন্তরিকতায় ঘাটতি রয়েছে। গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে চুক্তি হলেও শুষ্ক মওসুমে আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত; অন্য দিকে বর্ষা মওসুমে চাহিদার অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যায় প্লাবিত হওয়ার উপক্রম ঘটানো হচ্ছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে ব্যাপক বাণিজ্য বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসনে ভারতের অবস্থান হতাশাব্যঞ্জক। ভারত থেকে চোরাই পথে যে পরিমাণ পণ্য প্রতি বছর বাংলাদেশ ঢুকছে, তা আমাদের সাথে দেশটির রফতানি বাণিজ্যের দু-তিন গুণ অধিক। বাংলাদেশীরা ভ্রমণ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কেনাকাটার জন্য প্রতি বছর ভারতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে তাও আমাদের সাথে দেশটির রফতানি বাণিজ্যের দ্বিগুণের কম নয়। আমাদের দেশে দক্ষ জনশক্তি বিবেচনায় আট লক্ষাধিক ভারতীয় বিভিন্ন পেশাভিত্তিক কাজে নিয়োজিত থেকে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ভারতে প্রেরণ করছেন তা দেশটির পঞ্চম বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। দেশটি থেকে আমাদের দেশে বিপুল মাদক ঢুকছে এবং এ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তারা অনেকটা নিরুদ্বিগ্ন।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের অভিন্ন তিস্তা নদীর উজানে দু’টি বাঁধ দিয়ে ভারতের পানি প্রত্যাহারের কারণে নদীটি বাংলাদেশে শুষ্ক মওসুমে বর্তমানে অনেক জায়গায় পানিশূন্য এবং অনেক জায়গায় এর প্রবাহ খুবই ক্ষীণ। তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তির ধুয়া তুলে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তি স্বাক্ষর করার কাজে অযথা বিলম্বিত করছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পর এ দেশটি দ্বারা ভারত যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে এর বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি খুবই কম।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দীর্ঘ দিন ধরে চীনের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করে আসছে। চীন সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের দিক থেকে পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অন্যতম। দেশটি নিজের চাহিদার প্রায় শতভাগ সামরিক সরঞ্জাম নিজেই উৎপাদন করে এবং এই সরঞ্জামের একটি বড় অংশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি করে। ভারত তার সামরিক সরঞ্জাম চাহিদার একটি বড় অংশই বিদেশ থেকে আমদানি করে এবং দেশটি নিজে যে সামরিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন করে তা মানের দিক থেকে চীনে উৎপাদিত সামরিক সরঞ্জামের সাথে তুল্য নয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে দু’টি সাবমেরিন ক্রয় করায় ভারত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। এর পাশাপাশি দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহের জন্য চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। অথচ ভারতের নিজের এর চেয়ে অনেক উন্নতমানের সাবমেরিন রয়েছে।
বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী স্বদেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং শান্তিরক্ষী মিশনে দক্ষতা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালনের বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সামরিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। এ যাবৎকাল সামরিক সরঞ্জামাদির উল্লেখযোগ্য অংশ চীনের কাছ থেকে সংগ্রহ করার কারণে এগুলোর ব্যবহার বিষয়ে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী পারদর্শী হয়ে উঠেছে এবং সফলভাবে শান্তিরক্ষী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সমর্থ হচ্ছে। এ বাস্তবতায় ভারতের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা হলে তা দক্ষতা ও সফলতার সাথে শান্তিরক্ষী কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করবে। আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা এক থেকে তিনবার পর্যন্ত শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে এক দিকে যেমন নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করে চলেছেন, অন্য দিকে নিজের ও দেশের সম্মান বৃদ্ধিসহ আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জন করে চলেছেন। বাংলাদেশ এ সম্মান ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত হোক, তা দেশবাসীর কাম্য নয়।
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ভারতের সাথে আমাদের সুসম্পর্কের বিকল্প নেই। কিন্তু সে সুসম্পর্ক হতে হবে ন্যায়পরায়ণতা ও ন্যায্যতাভিত্তিক। ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিল, সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হতে দেশবাসী বিরত নয়। আমরা যেভাবে ভারতের সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি করেছি ভারত অনুরূপভাবে আমাদের সাথে তার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি করলে অচিরেই তা আমাদের অর্থনীতির জন্য স্বস্তির বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে। কিন্তু তা না হওয়ার বেদনায় আমরা যদি স্বস্তি লাঘবে ভ্রাতৃপ্রতিম অপর কোনো রাষ্ট্রের সহায়তা পাই তাতে ঈর্ষান্বিত না হয়ে এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলে আশা করা যায়, আমাদের দেশ ও উপমহাদেশের স্থিতিশীলতা আসবে। আর তাই ভূরাজনৈতিক কারণে সামরিক সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য ভারতের সাথে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক কোনোটিই প্রয়োজনীয় নয়। হ
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/209360