৭ জুন ২০২১, সোমবার, ১২:৪৪

বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংকঋণ গ্রহণযোগ্য সমাধান নয়

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এটি বাংলাদেশের পঞ্চাশতম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক ত্রয়োদশ এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট। করোনাকালে কেমন বাজেট উপস্থাপন করা হবে তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিভিন্নমুখী আলোচনা চলছিল। বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী অকপটে স্বীকার করেছেন যে, প্রস্তাবিত বাজেট সম্পূর্ণরূপেই ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসায়িদের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ। তাই ব্যবসায়বান্ধব বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বাজেট ব্যবসায়বান্ধব এবং এতে ব্যবসায়িদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়েছে। এটা দোষের কিছু নয় কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেট কতটা জনবান্ধব এবং কল্যাণমূলক সেটাই সাধারণ মানুষ জানতে চায়। বাজেটের মোট আকার হচ্ছে ৬ লাখ ০৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটাই বাংলাদেশের এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটে আয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে সার্বিকভাবে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটা মোট জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এখানেই। বিশ্বব্যাপী দু’ ধরনের বাজেট লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে উদ্বৃত্ত বাজেট এবং অন্যটি হচ্ছে ঘাটতি বাজেট। কোনো দেশের নির্ধারিত বছরের বাজেটে আয়ের পরিমাণ যদি ব্যয়ের চেয়ে বেশি হয় তাহলে সেই বাজেটকে উদ্বৃত্ত বাজেট বলা হয়। আবার ব্যয়ের চেয়ে আয়ের পরিমাণ যদি কম হয় তাহলে সেই বাজেটকে ঘাটতি বাজেট বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে সাধারণত ঘাটতি বাজেটই প্রণয়ন করা হয়। কারণ আমাদের মতো অর্থনীতিতে সরকারের আয়ের সামর্থ্য ব্যয়ের চাহিদার চেয়ে কম থাকে। ফলে তাকে ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করতে হয়। সাধারণত বাজেটের প্রেক্ষিত বিবেচনা করলে তাকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় বাজেট এবং অন্যটি ব্যক্তি বা পারিবারিক বাজেট। উভয় শ্রেণির বাজেটেই আয় ব্যয়ের খতিয়ান প্রকাশ বা হিসাব করা হয়। তবে পার্থক্য এটাই যে রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় বাজেটে সরকার চাইলেই আয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। কিন্তু ব্যক্তি চাইলেই তার আয় বাড়াতে পারেন না। রাষ্ট্রীয় বাজেটে ব্যয় বুঝে আয়ের খাত নির্ধারণ করা হয়। আর ব্যক্তিগত বাজেটে আয় বুঝে ব্যয়ের খাত নির্ধারণ করা হয়। ব্যক্তি তার ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের মাঝে সমতা বিধানের চেষ্টা করেন। সরকার চাইলেই তার আয় বাড়াতে পারেন। কিন্ত কোনো জনকল্যাণমূলক সরকার সাধারণত জনগণের উপর বর্ধিত হারে ট্যাক্স আরোপের মাধ্যমে তার আয় বাড়াতে চান না। কারণ এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। মানুষ সরকারের প্রতি বিরক্ত হয়। এমন কি ক্ষুব্ধও হতে পারে। তাই সরকার সব সময়ই চেষ্টা করে কিভাবে তুলনামূলক কম হারে ট্যাক্স আরোপের মাধ্যমে তার উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের মতো অর্থ যোগান নিশ্চিত করতে পারে। করোনাকালীন অবস্থায় এত বিশাল অঙ্কের বাজেট প্রণয়নের যৌক্তিকতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। কিছু কিছু উন্নয়ন প্রকল্প আছে যেগুলো জাতীয় স্বার্থে খুব একটা অত্যাবশ্যক নয়। এ ধরনের প্রকল্প কাটছাঁট করার মাধ্যমে বাজেটের আকার কমানা যেতো। কিন্তু আমাদের দেশের একটি প্রবণতা হচ্ছে বড় আকারের বাজেট দিতে পারলেই যেনো সরকারের কৃতিত্ব জাহির করা যায়।

বড় আকারের বাজেট দিতে গিয়ে কি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তা নিয়ে একটু আলেচনা করা যেতে পারে। চলতি অর্থবছরের (২০২০-২০২১) বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ছিল জিডিপি’র ৬ শতাংশের মতো। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই ঘাটতির পরিমাণ আরো দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৬দশমিক ২ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর আর কখনোই এত বিশাল ঘাটতির বাজেট প্রণীত হয় নি। সে হিসেবে এটি একটি রেকর্ডও বটে। একটি দেশের বাজেটে কত পরিমাণ ঘাটতি থাকতে পারে তার কোনো নির্ধারিত সীমা নেই। তবে একটি দেশ আর্থিক সমস্যার কারণে ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করতেই পারে। তবে সেই ঘাটতির পরিমাণ যত কম হয় ততই ভালো। আন্তর্জাতিকভাবে এটা স্বীকৃত যে কোনো দেশের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ মোট জিডিপি’র ৫ শতাংশে সীমিত থাকাই উত্তম। এটাই সহনীয়। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৫ শতাংশের বেশি হলে তাতে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলতি অর্থবছরের আগে বাংলাদেশের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কোনো বছরই জিডিপি’র ৫ শতাংশ অতিক্রম করেনি। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। আয় ও মুনাফা থেকে কর ১ লাখ ০৪ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। সম্পূরক শুল্ক ৫৪ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। কর ব্যতীত রাজস্ব আদায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা। আমদানি শুল্ক ৩৭ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। অর্থ আহরণের যে সব উৎসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা থেকে প্রয়োজনীয় বা লক্ষ্য অনুযায়ী অর্থ আদায়ের সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ অতীত অভিজ্ঞতা আমাদের সে কথাই বলে। কাজেই বাজেট ঘাটতির পরিমাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে আরো বেড়ে যেতে পারে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাজেটে ঘোষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭দশমিক ২ শতাংশ অতিক্রম করা সম্ভব হবে। এটা অতীতে কখনোই হয় নি। কাজেই অর্থমন্ত্রী বললেই জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা যাবে এ ধরনের বক্তব্যে আস্থা রাখা সম্ভব নয়। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তাতে প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য কয়েকটি খাতের কথা বলেছেন। মোট ২ লাখ ৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা ঘাটতির মধ্যে দেশের ব্যাংক অবস্থা থেকে আসবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। বিদেশী সূত্র থেকে ঋণ আসবে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে থেকে ঋণ ৩৭ হাজার ০০১ কোটি টাকা। আর বিদেশী অনুদান পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এখন বাইরে থেকে ঋণ পাওয়া আগের তুলনায় সহজ হয়েছে। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আগামীতে আমরা ঋণ গ্রহণ করবো না ঋণ প্রদান করবো। দু’জনের কথার মধ্যে ভিন্নতা লক্ষণীয়। আমরা আসলে কোনটা করতে যাচ্ছি? কিছু দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি মার্কিন ডলার ধার দিয়েছে। বাংলাদেশ অতীতে আর কখনোই কোনো দেশকে এভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ধার দিতে পারনি। অর্থমন্ত্রী যদি সে দিকে ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন তাহল ভুল হবে। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন অতিক্রম করেছে। এই অবস্থার বাংলাদেশ হয়তো চাইলে ডলার ধার দিতে পারে। কিন্তু এটা কোনো স্থিতিশীল সমাধান নয়। কারণ আগামীতে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে। এমন কি শিল্প খাত চাঙ্গা হলে কাঁচামাল এবং ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানিও বেড়ে যাবে। সেই অবস্থায় রিজার্ভ অর্থে টান পড়বে। বর্তমানে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়ের ক্ষেত্রে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করছি তা অব্যাহত নাও থাকতে পারে। আর রেমিটেন্সের নামে যা দেশে আসছে তার কতটা প্রকৃত রেমিটেন্স তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। শুধু ২ শতাংশ নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেবার কারণেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে এটা সর্বোতভাবে বিশ্বাসযোগ্য নয়। রেমিটেন্স বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা প্রয়োজন। আগামীতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল আমদানি, ভোগ্য পণ্য আমদানি ইত্যাদি কাজের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের উপর টান পড়বে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির মূল কেন্দ্র সৌদি আরবে আগামীতে বাংলাদেশী শ্রমিকরা বিপদে পড়তে যাচ্ছে। সেই অবস্থায় রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

এখন প্রশ্ন হলো, সরকার আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য প্রধানত স্থানীয় ব্যাংকিং সেক্টর এবং বিদেশী ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভর করবেন। বিদেশী আর্থিক সহায়তা ও অনুদান পাবার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ করোনা উত্তর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য অনেক দেশই বিদেশী সাহায্য ও অনুদান প্রাপ্তির জন্য চেষ্টা করবে। কাজেই আগামীতে চাইলেই বিদেশী সাহায্য ও অনুদান পাওয়া নাও যেতে পারে। এমনকি বিদেশী সূত্র থেকে ঋণপ্রাপ্তিও সহজ হবে বলে মনে হয় না। কারণ উন্নয়নশীল এমন কি উন্নত দেশগুলোর ঋণ সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় নিয়োজিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকারের সামনে স্থানীয় ব্যাংকিং সেক্টর থেকে ঋণ গ্রহণ ছাড়া সরকারের তেমন কোনো গত্যন্তর থাকবে না। সরকার চাইলেই স্থানীয় ব্যাংক এবং আর্থিক খাত থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। কারণ সরকার চাইলে ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদানে বাধ্য। তাই সরকারকে স্থানীয় ব্যাংকিং সেক্টরের উপর নির্ভর করেই পরিস্থিতি সামাল দিতে হতে পারে। কিন্তু স্থানীয় ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অধিক হারে ঋণ গ্রহণ করলে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে দেশের অর্থনীতিতে। করোানাকালিন অবস্থায় ব্যাংকিং সেক্টরের ঋণ প্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। ব্যাংক ঋণের প্রবাহ কোনোভাবেই ৮শতাংশের বেশি নয়। আগামী অর্থবছরে ব্যাংক ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ শতাংশ। এটা কোনোভাবেই অর্জনযোগ্য নয়। এছাড়া সরার যদি ব্যাংকিং সেক্টর থেকে বর্ধিত মাত্রায় ঋণ গ্রহণ করে তাহলে ব্যাংকগুলোর স্বাভাবিক ঋণদান ক্ষমতা কমে যাবে। তারা চাইলেও তখন ব্যক্তি খাতে ঋণ দিতে পারবে না। বেশির ভাগ ব্যাংক এমনিতেই বিনিয়োগযোগ্য আমানত সঙ্কটে পতিত হয়েছে। তারা আমানত সংগ্রহণের চেষ্টা করেও তেমন কোনো সফলতা প্রদর্শন করতে পারছে না। ব্যাংকগুলোর মধ্যে আবার কিছু ব্যাংক আছে যারা উদ্বৃত্ত আমানত নিয়ে বসে আছে কিন্তু উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারছে না। উদ্যোক্তাগণ ঋণ নিচ্ছে না এটা সব সময় ঠিক নয়। বরং অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো ঋণ সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। কিছু দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হার ৯শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে আমানতের উপর প্রদেয় সুদ হার ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে আমানতের উপর সর্বোচ্চ সুদ হার সাড়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এটা নিয়ে মহল বিশেষ বাহবা নেয়ার চেষ্টা করেছেন ঠিকই কিন্তু তারা একবারও এটা চিন্তা করলেন না যে, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে এভাবে ঋণ এবং আমানতের সুদ হার নির্ধারণ করে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঋণ এবং আমানতের সুদ হার বাজার চাহিদা এবং যোগানের উপর ভিত্তি করেই নির্ধারিত হবে এটাই বিধান। ব্যাংকগুলোর ‘কস্ট অব ফান্ড’ বেশি হবার কারণে তারা নতুন করে ঋণ দিতে আগ্রহী হচ্ছে না। করোনাকালে ঋণের চাহিদা কমে গেছে এটা সর্বাংশে সত্যি নয়। এই অবস্থায় সরকার যদি বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যাংকিং সেক্টর থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাহলে ব্যাংকের ঋণদান ক্ষমতা আরো কমে যাবে। আগামীতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীল হলে ব্যাংক ঋণের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু ব্যাংক কি সেই চাহিদা পূরণের মতো অবস্থায় থাকবে?

https://dailysangram.com/post/454692